JJJJJJJJJ

ব্রান্ডিং বাংলাদেশ: আইটি, ই কমার্স ও অন্যান্য, পর্ব :০১
জাহাঙ্গীর আলম শোভন

ব্রান্ডিং বাংলাদেশ কথাটা অনেক দিনের পুরনো। ইদানিং বেশী বেশী শোনা যাচ্ছে। সরকার বলছে বহি:বিশ্বে তাদের অনেক অর্জন। বিরোধীদল বলছে দেশকে আর্ন্তজাতিক বিশ্বের কাছে নেতিবাচক ভাবমূর্তির কারনে পরিচিত হতে হচ্ছে। আর মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবি শ্রেনির লোকেরা দুইগ্রুপে ভাগ হয়ে শোরগোল তুলছে। কেউ বলছে উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভেসে যাচ্ছে। আবার কেউ বলছে দেশ রসাতলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়িক সমাজের বক্তব্য সবচেয়ে প্রনিধান যোগ্য। ব্যবসায়ীরা বলছেন, হ্যাঁ দেশ এগিয়েছে সামাজিক সূচকে, আমাদের দেশ আমাদের সমপর্যায়ের দেশগুলোর তুলনায় এগিয়ে আছে, আমাদের ক্রিকেট উন্নতির কারণে দেশের নাম ছড়িয়ে পড়ছে, গার্মেন্টস ব্যবসা বারবার পড়তে পড়তে আবার ঘুরে দাড়াচ্ছে, পর্যটন কর্পোরেশন কক্সবাজারকে আর রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে বিশ্বে প্রচার করেছে, আমরা নাম পেয়েছি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের কারণেও। আবার  ব্যবসায়ীরাই বলছে, না ব্যবসায়ে আমরা সুবিধা করতে পারছিনা, আর্ন্তজাতিক বাজারে আমাদের বদনামের কারণে বিশাল তৈরী পোষাকের অর্ডার আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। বিদেশে জনশক্তির প্রেরণের হার তিনভাগের দুইভাগই কমে গেছে, কমদাম সত্বেও ফ্রি লান্সিং আমরা বার বার এগিয়ে বার বার পিছিয়ে পড়ছি, এডভান্স সফটওয়ার ফার্ম থাকা সত্বেও এবং বিশ্বে বিশাল বাজার সত্বেও আমরা সেল এর দিক থেকে পিছিয়ে আছে।

বাস্তবতা:
সরকারের যে অগ্রগতির দাবি রয়েছে তা বেশীর ভাগই সত্য। আমাদের দেশে সরকারী প্রতিষ্ঠান সাফল্যের ছক তৈরী করার জন্য কিছু তথ্যগত হেরফের করে থাকে। সেটুকু বাদ দিলে সামাজিক সূচক, অর্থনীতি, মাথাপিছু আয়, জীবনযাত্রার মান, বেসরকারী খাত অবকাঠামোগত উন্নয়ন এসব ক্ষেত্রে আমাদের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিশ্বে যেভাবে এগুচ্ছে সে তুলনায় আমাদের অগ্রগতি শ্লথ। অনেক রিসোর্স সত্বেও আমাদের অগ্রগতি দেশের বেশীরভাগ মানুষকে সন্তুষ্টি করতে পারেনি। বাস্তবতা হলো ৪৪ বছরে যতটুকু অর্জন তার দাবীদার রাজনৈতিক দল ও সরকারগুলো, জনগন, প্রাইভেট সেক্টর, আমলাযন্ত্র এবং শ্রমিকেরা। আর যতটুকু ব্যর্থতা রয়েছে- তার পুরোটাই রাজনীতির তথা সরকারের তথা বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত দলগুলোর। কারণ তারা বিশাল জনশক্তি ও অন্যান্য সম্পদ ব্যবহার করার মতো পলিসি তৈরী ও বাস্তবায়ন করতে পারেননি। আবার যতটুকু হয়েছে অনেকে হয়তো ততোটাও আশা করেনি। আমাদের সমসাময়িক কালে স্দাীন হওয়া আমাদের সমপর্যায়ের দেশগুলোর তুলনামূলক চিত্রই সঠিক জবাব দিতে পারবে। বির্তকের মাধ্যমে কেবল ঘোলাটে হবে সবকিছু।আজ যতই উন্নতির কথা বলা হোক দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে পরিচিত বাজার ব্যবস্থার সাথে জড়িত ব্যবসায়ী সমাজ যদি বলে না তারা সন্তুষ্ঠ নয়। দেশে তারা অনেক ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না, নানা লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবে। আর আর্ন্তজাতিক বাজারেও গার্মেন্টস আর জনশক্তি ও অন্য  বিষয়ে সুবিধা করতে পারছেনা ব্যবসায়ীরা দেশের ব্রান্ডিং এর অভাবে।

যেমন ধরা যাক আমেরিকার একজন ক্লায়েন্ট একটি কলসেন্টার ব্যবসা করার কথা ভাবলে প্রথমে ভাবে ভারতের কথা, বাংলাদেশের কথা তার মাথায় আসেনা। এখানে ইংরেজী জানা লোকের অভাব। এখন দেখুন সরকারগুলো যদি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ইংরেজী উপযোগী করে আজ থেকে ৩০/৪০ বছর আগে বা ২০ বছর আগেও ডিজাইন করতো তাহলে ইংরেজীর এই দূর্বলতা কেটে উঠতো। আইটির ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য। দেশে বিশ্বমানের আইটি ফার্ম থাকলেও ইউরোপের একজন ক্রেতাকে বাংলাদেশের কথা বোঝাতে অনেক ঘাম ঝরাতে হয়।

অথচ আমাদের রয়েছে
১.    বিশাল জনশক্তি যাদেরকে আমরা শিক্ষা ও প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষ সম্পদে পরিণত করতে পারি।
২.    আমাদের রয়েছে কম খরচে সেবা পন্য উৎপাদনের সুবিধা
৩.    আমাদের রয়েছে সমূদ্র উপকলীয় ও আরামদায়ক আবহাওয়ার এক চমৎকার অবস্থান
৪.    আমাদের রয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আতিথিয়েতার বিশ্বব্যাপী সুনাম।
৫.    আমাদের রয়েছে সৃজণশীল উদ্যোমী তরুন প্রজন্ম যারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সেক্টরে দেশে বিদেশে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।

তা সত্বেও যে বিষয়গুলো আমাদেরকে পিছিয়ে দিচ্ছে তথা আমাদের অবস্থানকে টলিয়ে দিচ্ছে সেগুলো হলো
১.    ভঙ্গুর দূর্বল এবং নড়বড়ে গণতন্ত্র আমি বলবো মিথ্যা গণতন্ত্র যা বার বার আমাদের অর্জনকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
২.    আমাদের বৈদেশিক মিশনগুলো এতই দূর্বল, অপেশাদার, অপূর্ণাঙ্গ, রাজনৈতিক আর স্ববিরোধী যে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ, আইটি, পর্যটন, ব্যবসা ইত্যাদি উন্নয়নের বিদেশে যে কাজ করা দরকার। তা তারা অত্যন্ত সফলতার সাথে এড়িয়ে চলে। কদাচিৎ ২/১ টা সফলতার গল্প শোনা যায়। রাজনৈতিক বিবেচনার নিয়োগ পেয়ে রাজনৈতিক তোষনেই তাদের সময় কেটে যায়।
৩.    আমাদের সরকার গুলো, বিরোধীদের প্রতি নির্যাতন, দলীয়করণ স্বজনপ্রীতি সব ধরনের নেতিবাচক কারণে এতটাই কুখ্যাত হয়ে পড়ে যে তারা আর সে ভাবমূর্তি থেকে বের হতে পারে না। আর রাষ্ট্র ব্ াসরকার বা সরকার প্রধান যেখানে খুন, গুম ও পিটিয়ে মারার ব্যাপারে উদাসিন, উৎসাহী অথবা প্রশ্রয়ী অথবা ইঙ্গিতবাহী সেখানে ভাবমূর্তি কোথায় ঠেকে তা সহজে অনুমেয়।
৪.    দূর্নীতির করাল গ্রাস এতটাই সর্বব্যাপী যে এ বিষয়ে আর্ন্তজাতিক আদালতে আমদের দেশের বদনাম  উঠে।
৫.    রাজনৈতিক অস্থিরতা এতটাই প্রকট যে দিনের পর দিন হরতাল, অবরোধ আর সহিংসতার কারণে আমরা বার বার সংবাদ শিরোনাম হই। বড়ো বড়ো দলগুলো নানা হিং¯্রতা দেখাচ্ছে প্রকাশ্যে রাজপথে সেটা আবার মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করছে প্রতিনিয়ত। এটা মারাত্বক নেতিবাচক ইতিহাস রচনা করছে এবং ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর বার্তা পৌছে দিচ্ছে।

তাহলে আসল ব্যাপারটা কি?
আমরা একদিকে বলছি আমাদের এই অর্জণ সেই অর্জন আছে, আমরা তথাকথিত তলাবিহীন জুড়ির দেশ থেকে বদনাম ঘুছিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হয়েছি এখন মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। আবার বলছি কিছুই হয়নি এখনো বছরে ৩০০ গার্মেন্টস ফ্যাকটরী বন্ধ হয়ে যায়। অনেকে কারখানায় শ্রমিকরা মুজুরি পায়না। ১৯ লক্ষ শিক্ষিত যুবক বেকার। তাহলে কিসের আর অর্জন গর্জন।
এ বারে আমি ব্যাপারটা একটু অন্যরকমভাবে ব্যাখ্যা করবো। মনে করুন আপনার পাড়ায় একজন লোক আছেন ভালো মন্দমিলিয়ে যিনি প্রতি মাসে একবার ভালো অর্জনের জন্য সবার কাছে বাহবা পান। আর বাকী তিন সপ্তাহে কোন না কোন নেতিবাচক ঘটনার জন্ম দেন এখন আপনি বলুন এই ভদ্রলোকের আলটিমেট ভাবমূর্তি কি দাড়াবে। বছরে ৫/১০টা কৃতিত্ব তাকে পরিচিত করাবে নাকি ৩০/৪০ টা কুকর্ম তার তকমায় লেগে যাবে। আমাদেরও একই অবস্থা। আমাদের খারাপ খবর এত বেশী আসে যে অর্জনগুলো দিয়ে আমাদের কেউ চিনেনা। এজন্য তলাবিহীন ঝুড়ি আর প্রাকৃতিক দূর্যোগের তকমা ছাড়িয়েছি আমরা ঠিকই কিন্তু উদীয়মান বাঘ, গার্মেন্টস লিজেন্ড, ফিউটার আইটিল্যান্ড, হার্ট অব এশিয়া, ল্যান্ড অব ফ্রেন্ডশীফ এরকম পজেটিভ কোনো তকমাই লাগাতে পারেনি। যতদিন না এটা করতে পারছি ততদিন আমাদের অর্জনগুলো ফিকে হয়ে যাবে আর ব্রান্ড বাংলাদেশতো দূর অস্ত।
সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ শ্লোগান নিয়ে কাজ করছেন। এগুলো করা সরকারের দায়িত্ব বা রুটিন ওয়ার্ক এটা করার মাঝে কোনো গৌরব নেই হয়তো না করার মাঝে সীমাহীন ব্যর্থতা আছে। কিন্তু তারপরও একটি শ্লোগান অনেক বিশাল ব্যাপার যেহেতেু আমাদের দেশে সঠিক কাজ সঠিক সময়ে হয়না সেক্ষেত্রে  একটি শ্লোগান কাজের জন্য অনেক সহায়ক। এমনকি কিছু কাজ হয়েছে। যদিও দূর্নীতি ও গুণগত উন্নয়নের কারণে মানুষ সঠিকভাবে উপকৃত হচ্ছেনা। তবুও যতটুক হয়েছে তাতেতো আমরা কয়েকদাপ এগুতে পারলাম। এখন নীতি ও পদ্ধতিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে সরকারের গৃহিত বিভিন্ন কাজের সুফল ঘরে তোলা সম্ভব হবে।

ব্রান্ডিং বাংলাদেশ কি?
এককভাবে মেইড ইন বাংলাদেশ বা ডিজিটাল বাংলাদেশ অথবা হার্ট অব এশিয়া ব্রান্ড হতে পারে। সেজন্য সংশ্লিষ্ঠ সেক্টরে অনেক কাজ রয়েছে। এগুলো করার মাধ্যমে আস্তে আস্তে দেশ এগিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে গতিটা বাড়াতে হবে। বাড়াতে হবে ক্ষেত্র। আবার শুধু একটি সেক্টরে ব্রান্ডিং এর মাধ্যমে কাংখিত লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব নয়। এজন্য সব খাত বিশেষ করে রিলেটেড সেকশনে কার্যকর পদক্ষেপ, চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন, বেসিক এডভান্সমেন্ট দরকার। তাহলে আমরা জেনে নিই আমাদের ব্রান্ডিং আইটেমগুলো সম্পর্কে।

১. মেড ইন বাংলাদেশ: (উৎপাদনমূখী অর্থনীতি)
আমাদের এই ব্রান্ডিংটার অবস্থা যে কত করুন। এর প্রমাণ আমরা নিজেরা। আমরা কতজন লোক বাজারে গিয়ে বিদেশী পন্য খুজিনা। যদিও অবস্থাটা একটু বদলেছে। কিন্তু যতটা প্রত্যাশা এবং প্রয়োজন তার তুলনায় কিছুই নয়। অথচ সরকারের মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা, ভোক্তা অধিকার আদায় কতৃপক্ষ সঠিকভাবে কাজ করলে এটা একসময় উন্নতি লাভ করবে। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্রেডেশান ও ষ্টান্ডার্ড ঠিক করলেও অনেক কাজ হয়। দূর্বল পন্যটি বাজারে আছে আমরা জানি পাশাপাশি আমরা ভালোটিও দিতে পারি এই ধারণাটা অন্তত তৈরী হতো। যখন সবাই জানবে যে বাংলাদেশী ডেউটিনে ৫টি গ্রেড আছে, এ বি সি ডি ই, তখনএই মেসেচটাও ক্যারি হয় যে এখানে এ গেডটাও আছে। যেমনটা মেড ইন চায়না ব্রান্ডে রয়েছে। অন্যযেকোনো ব্রান্ডের আগে মেড ইন বাংলাদেশ ব্রান্ডটি যদি প্রতিষ্ঠিত করা যায় সেটা অনেক কাজে লাগবে। পৃথিবীর ইতিহাস তাই বলে।

২. ডিজিটাল বাংলাদেশ: (আইটি)
পার্সপোর্ট ফরম অনলাইনে পূরন করা যায় কিন্তু ঘুষ ছাড়া পার্সপোট বানানো যায়না। আগারগাঁও অফিসে সম্ভব হলেও উত্তরা অফিসে সেটা স্বপ্ন। প্রায় সব ক্ষেত্রেই একই অবস্থা। এই যদি হয় ডিজিটাল বাংলাদেশ। তাহলে এই ব্রান্ডের ভবিষ্যৎ কি হবে আমি জানিনা। আমি শুধু এতটুকু জানি একবার যদি এই ব্রান্ড নেতিবাচক পরিচয় পায় তাহলে সে ভাবমূর্তি থেকে আর কখনোই বের হওয়া যাবেনা। সূতরাং এখানে গূণগত পরিবর্তণ আবশ্যক। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ এই প্রচারণা আভ্যন্তরীণ প্রচারে হয়তো ভোটের রাজণীতির পালে হাওয়া দিতে পারে কিন্তু আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্রে এর সঠিক প্রচারণা না হলে এর থেকে সুফল পাওয়া যাবেনা। যেহেতু সরকার সুন্দর একটি ব্রান্ড শুরু করেছে এখন এটাকে বিশ্বে প্রতিষ্ঠা করে এর সুফল ভোগ করতে হবে। এই ব্রান্ডিং এর জন্য একটি সিলিকন ভ্যালি প্রতিষ্ঠা অতি জরুরী সেটা যেন সবাই ভুলে বসে আছে।  এমনকি পাশ্ববর্তী দেশের দেখেও ব¥এদর কারো কারো সেই মতি আসছেনা। তবুও কিছু কাজ হচ্ছে এজন্য ধন্যবাদ। আমরা শুধু এটুকু বলতে চাই যা হচ্ছে তাতে যদি আমরা আত্মতৃপ্তিতে ভুগি তাহলে পিছিয়ে পড়বো। কারণ আমাদের আরো যে অনেক কাজ হওয়ার বাকি রয়ে গেছে।

৩. হার্ট অব এশিয়া: (ট্যুরিজম)
মালয়েশিয়ার ট্রুলি এশিয়া, ভারতের ইনক্রিডেবল ইন্ডিয়া ইত্যাদি শ্লোগানের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য “হার্ট অব এশিয়া” শ্লোগানের কথা বলা হয়েছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে তেমন একটা সাড়া মেলেনি।  আমাদের কিছু ইউনিক জিনিস ছিলো পর্যটনের জন্য। বিশেষ করে কক্সবাজার ও সুন্দরবন কিন্তু অবকাঠামো ও এন্টারটেইনমেন্ট আইটেম ক্ষেত্রে গত বছরগুলোতে আমাদের খুব একটা উন্নয়ন হয়নি। একটি লাভজনক খাত হওয়া সত্বের ভোটের বাক্সে প্রভাব ফেলতে পারেনা বলে সব সরকারগুলো এ ব্যাপারে উদাসীন রয়েছে। অনেক দেশই তাদের অন্যান্য রিসোর্স গুলিকে ব্যবহার করার জন্য পর্যটনকে বেছে নিয়েছে। বিদেশী ব্যবসায়িক পর্যটকদের সরকারী উদ্যোগে ইপিজেড ভ্রমন ও তাদের সাথে নানা মত বিনিময়ের মাধ্যমে খুব সহজে এটা করা যায়। বেসরকারী উদ্যোক্তাদের সাহায্য নিয়েও সরকার কিছু কাজ করতে পারে।

৪. উই আর নাম্বার ওয়ান: (গার্মেন্টস শিল্প)
অন্তত একটা খাতে আমাদের নাম্বার ওয়ান হওয়ার সব যোগ্যতা রয়েছে। এবং আমরা নাম্বার ওয়ান হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। তাহলে আমরা কেন সেটা হওয়া এবং শীর্ষস্থান ধরে রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবনা। আমাদের দরকার দক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিক ও কর্মকর্তা তৈরীর জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণসহ ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী এ খাতের ধারাবাহিতক উন্নয়নের জন্য কাজ করা। তবে এক্ষেত্রে  যতটা অজন রয়েছে তাতে শ্রমিক মালিক এবং সরতার তিন পক্ষেরই সহযোগিতা ও অবদান রয়েছে।  চলতি সরকারের আমলে কয়কেটা নেতিবাচক ঘটনা ঘটলেও ব্যবসাটা আবার দাড়িয়েছে, এতে সরকারের প্রশংসনিয় ভূমিকা ছিলো। এভাবে সব ক্ষেত্রেই সরকার এগিয়ে আসবে এটাই আশা করে ব্যবসায় সমাজ।  এবং সেটা সময়মত হবে, এটা একটা গুরুত্বপূরণ বিষয়।

৫.এ ম্যান এন এন্টারপ্রেনার: (ই কমার্স উদ্যোগ)
বেকারদের দেশে আজ আর্শীবাদ হয়ে এসেছে ব্রজ্রীয় ব্যবসায়। উদ্যোক্তালঘু দেশে শুভ সংবাদ এই দ্যূতি ব্যবসায়, জনসংখ্যা ভারাক্রান্ত দেশে নতুন এক সম্ভাবনা এই ইলেকট্রনিক্র কমার্স। তাই আসুন আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে দেশে ১০ হাজার উদ্যোক্তা তৈরী করি তারা দশকোটি মানুষকে সেবা দেবে। আর এক লক্ষ মানুষকে দেবে সহযোগী উদ্যোক্তার সুযোগ ১০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান আর ৫০ লক্ষ মানুষের জীবিকার ফায়সালা। সরকারের উচিৎ, সহজ নীতিমালা, বিশেষ  ঋণ প্যাকেজ, ডাকবিভাগ ও রেলওয়ের মাধ্যমে পন্য পরিবহনে উন্নত সেবা দিয়ে এ খাতকে পাঁচ বছরের মধ্যে একটি শক্তিশালি ব্যবসায়িক খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। দেশের উন্নয়নে একটি অপরিহার্য সহযোগী হয়ে উঠবে আজকের ই কমার্স উদ্যোক্তারা। আসুন শুরু করি “একজন মানুষ একজন উদ্যোক্তা’’ এই কাজ প্রতিটি মানুষের একটি ই কমার্স সাইট থাকবে তা নয়। একজন মানুষ ই কমার্স বিজনেস এর উদ্যোগ নিলেন, একজন ই সেবার উদ্যোগ নিলেন, একজন ই শিক্ষার উদ্যোগ নিলেন, একজন ই ডাটা দিলেন, একজন ই ওয়েলফেয়ার করলেন। এভাবে দশজন সরাসরি যুক্ত হলেন। আরো দশজন এসবের সাপোর্ট ব্যবসায় এলেন আরো দশজন এতে কাজ করলেন। বাকীরা অন্তত ইকমার্স থেকে পন্য ও সেবা নিলেন। এভাবে প্রতিটি মানুষকে এর আওতায় আনার চিন্তা করতে হবে।

বেকার মানুষের দেশে ব্যবসা দাড় করানোর জন্য সরকারের ৫টি কাজ একবারেই ফরজ। এগুলো হলো প্রশিক্ষণ,ঋণ, অবকাঠামো বা লজিস্টিক, নীতিমালা এবং বিদেশে ব্যবসা প্রসারে সহযোগিতা আর এজন্য আমরা বিভিন্ন ভাবে সরকারের কর্া ব্যক্তিদের বোঝাবো এবং জনমত গঠনের পাশাপাশি ই কমার্কে জনপ্রিয় করার জন্য কাজ করবো। এ ব্যাপারে আমাদেরকই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। কারণ আমাদের দেশে এমন অনেক ঘটনাই আছে যে বিদেশী দাতা সংস্থা অর্ থ দিয়েছে কিন্তু সে ার্ নেয়ার মতো প্রস্তাবনা কেউ জমা দিতে পারেনি। আর সেজন্য অর্ ফেরত গেছে। অবশ্য আমরা জানি আইটি বা ই কমার্ খাতে এমনটা হওয়ার আশংকা নেই।

(চলবে)

4,526 total views, 2 views today

Comments

comments

Your email address will not be published.