ekhushey-colour

আগের অংশের পর।

৫.এ ম্যান এন এন্টারপ্রেনার: (ই কমার্স উদ্যোগ)
বেকারদের দেশে আজ আর্শীবাদ হয়ে এসেছে ব্রজ্রীয় ব্যবসায়। উদ্যোক্তালঘু দেশে শুভ সংবাদ এই দ্যূতি ব্যবসায়, জনসংখ্যা ভারাক্রান্ত দেশে নতুন এক সম্ভাবনা এই ইলেকট্রনিক্র কমার্স। তাই আসুন আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে দেশে ১০ হাজার উদ্যোক্তা তৈরী করি তারা দশকোটি মানুষকে সেবা দেবে। আর এক লক্ষ মানুষকে দেবে সহযোগী উদ্যোক্তার সুযোগ ১০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান আর ৫০ লক্ষ মানুষের জীবিকার ফায়সালা। সরকারের উচিৎ, সহজ নীতিমালা, বিশেষ  ঋণ প্যাকেজ, ডাকবিভাগ ও রেলওয়ের মাধ্যমে পন্য পরিবহনে উন্নত সেবা দিয়ে এ খাতকে পাঁচ বছরের মধ্যে একটি শক্তিশালি ব্যবসায়িক খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। দেশের উন্নয়নে একটি অপরিহার্য সহযোগী হয়ে উঠবে আজকের ই কমার্স উদ্যোক্তারা। আসুন শুরু করি “একজন মানুষ একজন উদ্যোক্তা’’ এই কাজ প্রতিটি মানুষের একটি ই কমার্স সাইট থাকবে তা নয়। একজন মানুষ ই কমার্স বিজনেস এর উদ্যোগ নিলেন, একজন ই সেবার উদ্যোগ নিলেন, একজন ই শিক্ষার উদ্যোগ নিলেন, একজন ই ডাটা দিলেন, একজন ই ওয়েলফেয়ার করলেন। এভাবে দশজন সরাসরি যুক্ত হলেন। আরো দশজন এসবের সাপোর্ট ব্যবসায় এলেন আরো দশজন এতে কাজ করলেন। বাকীরা অন্তত ইকমার্স থেকে পন্য ও সেবা নিলেন। এভাবে প্রতিটি মানুষকে এর আওতায় আনার চিন্তা করতে হবে।

৬.    চলো বাংলাদেশ চলো বহুদূর: (প্রবাসী শ্রমিক)
এটা গ্রামীণফোনের শ্লোগান হলেও আমি এটাকে এখানে ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করছি। আমি শুধু কয়েকটা প্রশ্ন তুলবো হয়তো প্রশ্নের ভেতরেই সমাধান এর ইঙ্গিত রয়েছে। আমাদের প্রচুর বেকার জনশক্তি সত্বেও কেন আমরা নতুন নতুন দেশে তার জন্য নতুন দুয়ার খুলছিনা? আমাদের শ্রমিকদের চাহিদা থাকা সত্বেও কেন আমরা মধ্যপাচ্যে শ্রমিক পাঠানোতে দক্ষ কুটনীতির স্বাক্ষর রাখতে পারিনা। দক্ষ এবং কাজ জানা শ্রমিকেরা অদ্ক্ষ শ্রমিকদের চেয়ে ৫ গুণ বেশী রোজগার করে জেনেও কেন আমরা লাখ টাকা খরচ করে শ্রমিক পাঠাই আর কয়েক হাজার টাকা খরচ করে কোন কাজ শিখিয়ে শ্রমিক পাঠাইনা। অথবা শ্রমিকদের দক্ষ হয়ে উঠার জন্য কোন প্রচার প্রচারণা চালাইনা। আমাদের দেশের আর্থ সামাজিক সমস্যা রাজনৈতিক হানাহানির বদনাম আর শ্রমিকদের নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ার ঘটনার পরও আমরা কেন বিদেশী শ্রমিক পাঠানোর পূর্বে মনস্তাত্বিক কোনো প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করিনা। প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য কেন সরকারের মিশনগুলো থেকে আইনি সাহায্য দেয়া হয়না? কেন প্রবাসীদের স্বার্থরক্ষায় সরকারের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ। কেন দরিদ্র শ্রমিকদের আদম ব্যাপারিদের হাতে তুলে দেয় সরকার?
মালয়েশিয়ার মতো জি টু জি নয়, আবার মধ্যপ্রাচ্যের মতো পুরোটাই রিক্রুটিং এজেন্সির হাতেও নয়, সরকার ও বেসরকার উভয়ে মিলেতো শ্রমিক পাঠানো যায়। কারণ শুধু সরকার যদি কাজ করে তাহলে এখাতে জড়িত ৩ লক্ষ মানুষের জীবিকার সমস্যা হবে। আবার যদি পুরোটাই বায়রা করে তাহলে সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হবে। এজন্য কিছু প্রসেস সরকারী হাতে থাকা দরকার। আমরা প্রাইভেট সেকটরের পাশাপাশি সরকারও কিছু লোক পাঠাতে পারে অন্তত সরকারী ও আর্ন্তজাতিক কোম্পানীতে কাজ করার জন্য হলেও। যেমনটা হজ্জ ব্যবস্থাপনায় হয়ে থাকে। এখানে সরকারী ও বেসরকারী দুই ধরনের ব্যবস্থা থাকে যার যেটা খুশি।

৭.    কালকের পৃথিবীটা আমাদের হবে: (নতুন প্রজন্ম)
প্রথম আলোর এই শ্লোগানের সাথে মিলিয়ে বলতে হয় নতুন প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষা দিতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ভালো বাংলা শেখাতে হবে। প্রয়োজনীয় ইংরেজী শেখাতে হবে। একটি তৃতীয় ভাষা সিলেবাসভুক্ত করতে হবে। আইটি শেখাতে হবে। কাল নয় এগুলো শুরু করতে হবে আজ থেকেই। আজ শিখলেইনা কাল কাজে লাগবে। শুধু চাকরী নয় নতুন প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরী করতে হবে। চাকরী সবাই করতে পারে কিন্তু চাকরী সবাই দিতে পারেনা। যেকোনো দেশের নতুন প্রজন্মই দেশের মূল শক্তি। একজন মানুষ যদি চাকরী পেতে পেতেই ৩২ বছর পেরিয়ে যায় তখনতো নানা পারিবারিক ঝামেলায় টেনশনে থাকতে হয় তখন নিজের উদ্ভাবণী শক্তি আর প্রাণবল কতটাই আর খাটানো যায়। তাই ২০-৩০ বছরের তারণ্যকে কাজে লাগোতে হবে। যাতে করে তারা ৩০-৪০ বছরে লিডারশীফ প্রাকটিস করতে পারে আর ৪০-৫০ বছরে সিদ্ধান্তগ্রহণ পক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে আর ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সে একজন সুপরামর্শ দাতা হতে পারে। এজন্য প্রথম কাজটি হলো কর্মসংস্থান করা আর দ্বিতীয় কাজটি হলো রাজণীতিসহ সব বড়ো পদ থেকে প্রবীণ নাগরিকদের সরে যাওয়া অবশ্য অফুরন্ত  প্রাণশক্তি সম্পন্ন আন্তরিক ও ত্যাগীদের জন্য ব্যতিক্রম হতে পারে।

৮.    আমিই বাঙালী আমিই বাংলাদেশ: (প্রতিনিধিত্ব):

উন্নয়ন ও অংশীদারিত্বে নিয়ে আসতে হবে জনগন ও উদ্যোক্তাকে। সরকারী উন্নয়ন কর্মকান্ডে জনগনের বা বেসরকারী খাতের অংশগ্রহনের সুযোগ দিতে হবে। আবার বেসরকারী খাতেও সাহয্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। সরকার তবেইনা পাঁচে পাঁচে দশ। যারা বেশী দান, অনুদান ও বিনিয়োগ করবে। তাদেরকে ডব্লিওআইপি -ওয়েলফেয়ার ইমপরটেন্ট পার্সন, স্যোস্যাল ইমপরটেন্ট পার্সন এবং কমার্সিয়াল ইমপরটেন্ট পার্সন এর মর্যাদা দিতে হবে। এতে করে জনকল্যানের অনেক কাজের চাপ সরকারের উপর থেকে কমে যাবে এবং তা সকলের ভাগ হয়ে অনেক কাজ করা সম্ভব হবে। আর বিদেশেও প্রবাসীদের মধ্য থেকে সরকারের গুডইউল দূত নিয়োগ করে তাদেরকে কাজে লাগানোর কথা ভাবতে হবে।

৯.    এসো গড়ি বাংলাদেশ: (শিক্ষা)
শিক্ষাটাকে সময়োপযোগী করা সময়ের দাবী। ব্রিটিশ আমলের শিক্ষা ব্যবস্থা পৃথিবীর কোথাও বহাল তবিয়তে নেই। (ক) শিক্ষার একটা নীতিমালা তৈরী করে প্রতিটি বোর্ডকে স্বাধীনভাবে আলাদা আলাদা পাঠ্যবই ও পাঠক্রম প্রণয়নের সুযোগ দিতে হবে। এতে প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠবে। (খ) চতুর্থ শ্রেণী থেকে ইংরেজী ও ধর্ম আলাদা  বিষয় হিসেবে থাকবে এবং প্রতিটি বিষয়ে ইংরেজী ও ধর্মের উপর আলাদা অধ্যায় থাকবে।  ইংরেজী আমরা সাহিত্য আর গ্রামার এর জন্য শিখবোনা জীবনের সব ক্ষেত্রেই ইংরেজীর প্রয়োজন রয়েছে। ধর্ম  নৈতিক শিক্ষা মসজিদ বা মন্দিরের জন্য নয় জীবনের সব ক্ষেত্রেই এর প্রয়োজন। (গ) পঞ্চম শ্রেণী থেকে বাংলা ইংরেজীর পর তৃতীয় একটি ভাষা অর্ন্তভুক্ত করতে হবে। হোক সেটা আরবি, চায়নিজ, মালয়, সৌদি, কোরিয়ান, জাপানিস, ফ্রেঞ্চ, ফার্সী ও জার্মান। এটা একটা মেসেজ দেবে বিভিন্ন দেশে যে আমাদের শিক্ষা অগ্রসর হচ্ছে। আবার সংশ্লিষ্ঠ ভাষার দেশে কর্মসংস্থান তৈরীতে সহজ হবে। একজন ছাত্র মাধ্যমিকে ফেল করলে কি হবে! কোরিয়া যাবার রাস্তাতো তৈরী হবে। (ঘ) ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে একটি করে ক্রীড়া সপ্তম শ্রেণী থেকে একটি করে সংস্কৃতি এবং অস্টম শ্রেণী থেকে একটি করে কর্মমুখী শিক্ষা অর্ন্তভুক্ত করতে হবে। শিক্ষার বর্তমান বাড়ির কাজ ভিত্তিক পন্থা হ্রাস করে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। (ঙ) নবম দশম শ্রেণী থেকে আইটি এর একটা বিষয় যোগ করতে হবে। এসব অতিরিক্ত বিষয়গুলো পূর্ণ ১০০ নম্বরের না হয়ে ৫০ নম্বরের হতে পারে। (চ) দেশের আইন বিষয়ে একটি, সমাজকল্যাণ বিষয়ে একটি, রাজনীতি বিষয়ে একটি এবং মানবাধিকার বিষয়ক একটি করে অধ্যায়ে বাধ্যতামূলক সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের সাথে যোগ করতে হবে। (ছ) কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পদ্ধতি পুরোপুরি আর্ন্তজাতিক মানের হতে হবে। (জ) শিক্ষার মাধ্যমে কার্যকর মেধাবী নাগরিক তৈরী করতে হবে।  (ঝ) বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কূটনীতির মাধ্যমে দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করতে হবে। (ঙ) বিদেশ থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা এবং বিমানের পক্ষ থেকে টিকেটে ছাড় দিতে হবে। বাড়াতে হবে বৃত্তিও।

১০.    জনগনের নেতৃত্ব: (গণতন্ত্র)
দেশ গঠনে জনগনের প্রতিনিদিত্ব আজ সময়ের দাবী। রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করবে তাদের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হবে এটা অত্যন্ত সহজ ও স্বাভাবিক ব্যাপার। শুধু দেশ পরিচালনায় এবং সিদ্ধান্তগ্রহণ পক্রিয়ায় সকল শ্রেনী, পেশা, ধর্ম, বর্ণ বয়স ও সম্প্রদায়ের লোকদের অংশগ্রহণ জরুরী হয়ে পড়েছে। যদিও প্রতিনিধিসভা ও পেশাজীবি পরিষদ গঠনের মাধ্যমে দ্বি কক্ষ ও ত্রিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট হলে একাজটা সহজ হতো। তা না করেও বিভিন্ন পর্যায় ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণ বিভিন্ন প্রতিনিধিত্বমূলক পরিষদের এ মাধ্যমে সিদ্ধান্তগ্রহণ পক্রিয়ায় আরো বেশী লোকের অংশগ্রহণ পয়োজন। জনগনের রায়ে নির্বাচন এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে মনোনোয়ন দু’ভাবে হতে পারে এ ধরনের প্রতিনিধত্বমূলক ব্যবস্থার বিকাশ। বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ মতামতও দরকার এবং সেটা এখনি শুরু করা দরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি নয় থাকা দরকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা পরিষদ। যাতে বিভিন্ন শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, নির্বাচিত প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ এমনকি অভিভাবক ও শিক্ষাথীদেরও অংশগ্রহণ থাককে। আইটি ক্ষেত্রেও তাই, পরিবশে ও ধর্ম সবক্ষেত্রে। অর্থনীতি বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞই অর্থনীতির  ব্যাপারে ভালো জানবেন সেটাই স্বাভাবিক নয়কি।

১১.    টাইগার অব বেঙ্গল: ( খেলার জগত)
খুবই আশার কথা ক্রিকেটে বাংলাদেশ শীর্ষদশে। এতে করে ক্রিক্রেট খেলুড়ে দেশগুলোতে শুধু বাংলাদেশকে নয় বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের পর্যন্ত মানুষ চেনে। অন্যান্য দেশে এই পরিচয় বাড়ানোর জন্য অন্য খেলাগুলোর উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। এর মধ্যে ফুটবলের জন্য সরকারের চেষ্টা চোখে পড়ছে। হকিসহ আরো কিছু খেলায় উদ্যোগ দরকার। শুটিং ও দাবায় বাজেট দরকার এগুলোর নাম করছি এজন্য যে এগুলোতে ভালো করার সুযোগ আছে।

১২.    আমরা করবো জয় (জাহাজ নির্মাণ শিল্প)
একটা অশেষ সমভানা তৈরী হয়েছে। একে কাজে লাগানোর জন্য যা যা দরকার তার সবই করতে হবে। আপাতত রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বড়ো একটা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং জরূরী দরকার হয়ে পড়েছে।

১৩.    বাংলাদেশ ফর ওয়ার্ল্ড (ওষধ শিল্প)
আমাদের দেশকে ব্রান্ডিং করার এর থেকে ভালো রাস্তা ও সুযোগ আর হতে পারেনা। রফতাণীমুখী ঔষধশিল্প স্থাপনে সরকারের উচিৎ বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করে কাজ শুরু করে দেয়া। প্রয়োজনে একটা মেডিসিন ইন্ডাস্ট্রি জোন গঠন করা যেতে পারে।

১৪.    ল্যান্ড অব ব্রাদারহুড: (সম্প্রীতির দেশ)
আর নয় দল, মত, ধর্ম আদর্শ নিয়ে ভাগাভাগি। আমরা সবাই বাঙালী আমরা বাংলাদেশী এর হোক আমাদের আসল পরিচয়। এর অর্থ এই নইযে যিনি মুসলিম অথবা হিন্দু তিনি তার পরিচয় ভুলে যাবেন। দেশের জন্য যখন কাজ করবো তখন দেশের পরিচয় হবে আমাদের আসল পরিচয়। আমরা বাঙলাদেশী।

১৫.    শান্তি প্রতিষ্ঠায় আগুয়ান: (বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা)
শুধু জাতিসংঘ বাহিনীতে সৈন্য পাঠানো নয়। আমাদের স্বেচ্ছাসেবক অসামরিক যুবারা সারাবিশ্বে শান্তি ও মানবতার কল্যানে কাজ করতে চ্য়া। তদের সেই সুযোগ করে দিতে হবে।

১৬.    পজেটিভ বাংলাদেশ (ইতিবাচক রাজনীতি)
আমূল পরিবর্তণ চাই এই রাজনীতি চড়–ইভাতি খেলার (এ বিষয়ে আলাদা লেখার প্রয়োজণীয়তা রয়েছে, অচীরেই অন্যকোন ব্লগে সেটা দেখতে পাবেন।)
১৭.    বাংলাদেশ ইজ গ্রীণ (সুন্দর পরিবেশ)
আমাদের দেশটারে কত ভালোবাসি, সবুজ ঘাসের বুকে শেফালীর হাসি। এই সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন দেশ চাই। পরিবেশ বিষয়ক আইন চাই । আইনের বাস্তবায়ন চাই। পরিবেশ পুলিশ চাই। প্রয়োজনে পরিবশ ট্যাক্স চাই।

১৮.    ফোকলেন বাংলাদেশ: (দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ)
একটি জাতির আইডেন্টিটি কখনো কতটা প্রগতিশীল, আধুনিক আর পশ্চিমা ঘেষা হয়েছে সেটার উপর নির্ভর করেনা। নির্ভর করে তাদের নিজেদের কৃষ্টি কালচার কতটা সমৃদ্ধ পুরনো বনেদি আর শৈল্পিক তার উপর। এর শতভাগ রয়েছে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিতে। বিদেশী সংস্কৃতি ভালো লাগলে সেটা থাকুক কিন্তু নিজের সংস্কৃতি বাদ দিয়ে নয়। আমাদের লোকসংস্কৃতি আমাদের সম্পদ সেটাই আমাদের পরিচিতি বহন করবে।  সংস্কৃতির জন্য পর্যটন বাড়ে, সংস্কৃতির কারণে পন্য ব্রান্ডিং হয়। আফ্রিকান ভুভুজেলার কথা নিশ্চয় আপনাদের মতে আছে। আমাদের নকশীকাঁথা সহ এরকম অনেক কিছু আছে। আমরা যেটাকে ¯্রফে কাঁথাভেবে পিঠের নিচে ঘামে ভেজাই সেটা একজন পশ্চিমাকে উপহার দিলে তিনি আয়নাতে বাঁধিয়ে দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখেন। এটাও আমাদের সংস্কৃতির গৌরব। আমাদের সংস্কৃতি ও শিল্প আমাদের জীবনেরই অংশ। রিকশার গায়ে আকাঁ ছবি যে শিল্প সেটা কোনো বিদেশী না বলে দিলে আমরা হয়তো খেয়ালই করতাম না। সেখানে কি আঁকা রয়েছে।

১৯.    শান্তিই একমাত্র সমাধান: (সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ)
জঙ্গিবাদ, রাজনৈতিক সন্ত্রাস, সামাজিক গুন্ডামি এই তিনটির মধ্যে কোনটির মাধ্যমে সবচে বেশী লোক খুন হয়। সেটা আমরা চাইলে বের করতে পারবো। এই তিনটির মধ্যে কোনটি বড়ো সমস্যা সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু তিনটাই যে মারাত্বক সমস্যা এ ব্যাপারে আশা করি কোন দ্বিমত হবেনা। সূতরাং আসুন আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ি। এটা সরকারের একার কাজ নয়। এটা জনগনের কাজ। বিশেষকরে জঙ্গিবাদ দমনে বৃহত্তর মুসলিম সমাজ, ধর্মীয় নেতা, ইসলামী সংঘঠনের কার্যক্রম ও স্পষ্ট ভূমিকা থাকতে হবে। তাতেই সবচে বেশী কাজ দেবে। রাজনৈতিক দলের ভেতর থেকের আসতে হবে সন্ত্রাস বিরোধী প্রতিরোধ। আর বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে সামাজিক অপরাধ ও এলাকাভিত্তিক মাস্তানদের আধিপত্য খর্ব করতে হবে। সামাজিক সংগঠনের বিকল্প নেই।

২০.    ক্লিণ বাংলাদেশ : (দূর্নীতিমুক্ত দেশ ও ই গর্ভনসে)

দূর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের রাস্তা বন্ধ করতে হবে। গত ৪০ বছরের দূর্নীতির হিসেব ধরে টান দিতে হবে। দূর্নীতির সকল রাস্তা বন্ধ করতে হবে। স্বচ্ছ ই গর্ভনেসই পারে একাজকে সহজ করে দিতে।  আমরা একাজগুলো এমনভাবে করবো যাতে এর সুফল জনগনের দ্বোরগোড়ায় পৌছে যায়। আর বিশ্ববাসী সেটা দেখতে পারে। তবেই একটি স্পস্ট উন্নয়নের লক্ষণ দেখিয়ে আমরা আমাদের ইতিবাচক ভাবমূর্ত প্রতিষ্ঠা করবো। আর তাতেই ব্রান্ডিং হবে এক নতুন বাংলাদেশের।
২১. সব সাধকের বড় সাধক: (কৃষি খাত)
অনেক কিছু না হলেও আমরা বেঁচে থাকবে। কিন্তু খাবার না খেলে বেঁচে থাকার পথ নেই। আর খাবারের প্রাথমিক উৎস হলো কৃষি। কৃষিতে আমাদেও পেশাজীবি লোকের সংখ্যা কমেছে। আবাদী জমি কমেছে কিন্তু উৎপদন ঠিকই বেড়েছে। আর সেজন্যই আমরা ঁেবচে বর্তে আছি। আর উন্নয়নের কথা ভাবছি। তা না হলে কেবল খাদ্যেও কথা ভেবেই কুল পেতাম না। সরকার এবং সকলের প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু সত্যি বলতে কি? চীন জাপান মালয়েশিয়া থাইল্যান্ড তো বটেই। এমনকি ভারত পাকিস্তান কম্বোডিয়া ভিয়েতনামের চেয়ে আমরা পিছিয়ে আছি কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার ও উৎপাদনবৃদ্ধিও হারের দিক থেকে। শত বছর ধওে বলা হচ্ছে কৃষক ন্যায্য মূল্য পায়না, মধ্যসত্বভোগীরাই লুটে নেয় সব। আমাদেও দেশে কৃষি বান্ধব একটা বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আজ পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই। একে অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। খাদ্যে আজ আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ মানে শুধু চালে। এখনো তেল ঢাল পেয়াজ রুসুন আরো কতো কিছু বাইওে থেকে আনতে হয়। সেটা আমরা কেবল ভুলেই যাই।

একটা ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পালাটাতে হবে। আমরা সফলতা কাকে বলে সেটা বুঝিনা। আমরা সফলতা বলতে বুঝি একটা ঘরে আগুন লাগলো, ৫ ঘন্টা পর আগুন নেভাতে পারলে  আমরা বলি ৫ ঘন্টার সফল চেষ্ঠায় ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে পেরেছে। ৫ ঘন্টা কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হলো সেদিকে আমি আর গেলামনা। এক্ষেত্রে আগুন না লাগাটাই হলো আসল সফলতা, আমরা অগ্নিকান্ড এবং অগ্নিকান্ড জনিত ক্ষতি কত শতাংশ কমাতে পেরেছি সেটাই সফলতা। ১২০০ মানুষ মারা যাওয়ার পর ধ্বংষস্তুপ সরিয়ে আমরা বলছি এটা আমাদের সফলতা এমন নির্বোধ অনুভূতি পৃথিবীর কোন জাতির আছে বলে আমার জানা নেই। সূতরাং সফলতা সফলতাই সেখানে বিন্দুমাত্র ক্ষয়ক্ষতি হলে সেটা ব্যর্থতার পর্য়ায়ে পড়ে। এ অনুভূতি উন্নয়ন করলে আমরা হয়তো আরো ভালো করতে পারবে।

(সমাপ্ত)

5,741 total views, 2 views today

Comments

comments

Your email address will not be published.