ই কমার্স: বাছাইকৃত প্রশ্নোত্তর

জাহাঙ্গীর আলম শোভন

ই ক্যাব পেইজে দেয়া ই কমার্স বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর: প্রেরিত ও স্বপ্রণোদিত

প্রশ্ন ১: শুধু অনলাইনে অর্ডার নিলে কি চলবে নাকি ফোনে অর্ডার নিতে হবে।?

উত্তর: প্রডাক্টস এর অর্ডার দেয়ার জন্য, ফোন একটা ভালো উপায় কাসটমারদের জন্য , এটা পরিক্ষিত। এক্ষেত্রে নাম্বারটিও গুরুত্বপূর্ণ কারণ সহজ ছোট নাম্বার কাস্টমারের সহজে মনে থাকে।তাই অনেকে বিটিসিএল থেকে ৫ ডিজিটের নাম্বার নিয়ে থাকেন, যেমন রকমারীর নাম্বারটা ১৬২৯৭, এতে করে কাস্টমারের মনে থাকে নাম্বারটা, এবং প্রয়োজনে অর্ডার করতে পারে। টেলিমার্কেটিং এর ক্ষেত্রে যদি কাস্টমারকে ক্লাসিফাইড করে বের করার যায় যে কোন নাম্বারটা কোন বয়সের কোন এলাকার কোন পেশার এটা জেনে কাসটমার বুঝে অপার করতে পারলে সফলতার হার বাড়বে।

প্রশ্ন ২: কাউকে একজন লোক রিক্রুট করলে তারা পরে নানা অভিযোগ করে। যে লোক ঠিকমতো কাজ করেনা ইত্যাদি।

উত্তর: আমরা নিজেরা যখন পরিচিত লেবেল থেকে লোক নিয়োগ করি তখনও কিছু সমস্যা হয়। সূতরাং কর্মী ভালো অথবা মন্দ, দক্ষ বা অদক্ষ হতে পারে। এজন্য নিয়োগ কর্তাকে তার সিস্টেম ডেভলপ করতে হবে। এবং নিজেদেরকে সঠিক লোক বাছাইয়ের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। কারণ ব্যবসাটা কর্মীর নয় নিয়োগকর্তার

 

প্রশ্ন ৩: প্রশ্ন:আমি তাজা শাক সব্জি নিয়ে কাজ করতে চাই। আমাকে একটি নাম সাজেস্ট করুন।

উত্তর: shaklota, sobjibangla, shaksobji, tajasobji, tajabazar, greenmarket, sobjibazar, sojib, sobujbazar, sobujmela, sobujbondhu, sobujshop, sobujdokan, sobjidokan, khamarbari, chasivai, krisani, greenfriend, ajkersobji, sobujbangladesh, sobujpata.

 প্রশ্ন ৪: কোন জেলার বিখ্যাত কি জিনিস একটু বলবেন কি? এসব পন্যের ই কমার্ সমভানা কেমন?

নোয়াখালির নারকেল, বরিশালের আমড়া, ফেনীর হাতে তৈরী কাগজ, কক্সবাজারের লবণ, চট্গ্রামের শুটকি, চট্টগ্রামের মেজবানী মাংশ, যশোরের খেজুরের গুড়, দিনাজপুরের চিনি, লিচু, রাজশাহীর আম, নাটোরের কাচাগোল্লা, সিলেটের হাতকড়া, রংপুরের চিনিগুড়া চাল, বরিশালের চিড়া, মুড়ি, পতেঙ্গার তরমুজ, গাজীপুরের কাঠাল, পার্বত্য এলাকার তৈরী ফার্নিচার, খাগড়াছড়ির হলুদ, পাবনার তাতের শাড়ী, কুমিল্লার খদ্দর, রাঙামাটির উপজাতীয়দের তৈরী কাপড়, খুলনার চিংড়ী, চাঁদপুরের ইলিশ, বগুড়ার দই, উত্তরবঙ্গের সবজি, কুমিল্লার আলু, আরো কতো কি?

এ ধরনের পন্য যেগেতু এলাকাভিত্তিক আবার এসব পন্যের চাহিদা এবং সূখ্যাতি সারাদেশে রয়েছে তাই এই ই কমার্স এর জন্য এ ধরনের পন্যের ব্যবসার ভবিষ্যৎ খুব ভালো।

 

প্রশ্ন ৫: কিছু কিছু ই কমাস সাইট আছে যারা প্রোডাক্টস এর অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে এর সমাধান কি?

উত্তর:এটাতো খুব সাধারণ একটা ব্যাপার। আমাদের দেশে একই জিনিস এক এক এলাকায় একএক মাকের্টে ভিন্ন ভিন্ন দাম হয়। এমনকি পাশাপাশি দোকানে পর্যন্ত দামের অনেক পার্থক্য থাকে। বিশেষ করে নতুন শপিং সেন্টারগুলোতে

বা নতুন দোকানে জিনিসপত্রের দাম একটু বেশী চায়। দুটো কারণ- 01: ব্যবসায়ে অনভিজ্ঞতা, 02: কাস্টমারের মানসিকতা না বোঝা। যদি সত্যি সত্যি তিনি দাম বেশী চেয়ে থাকেন। আপনি 6 মাস পর নখ করুন। দেখবেন তিনি কিছুটা বুঝে শুনে দাম বলছেন। এটা ই কমার্স এর সমস্যা নয়। এটা বাজার ব্যবস্থার একটা দূর্বল দিক। কারণ তিনিও এখনো নিশ্চিন্ত নন যে প্রতিমাসে তার কয়টি প্রোডাক্টস বিক্রি হবে। সূতরাং লাভ কত করবেন এটা ঠিক করাও তার জন্য কঠিন হয়ে পেড়েছে। এ কারণে এমনটা হচ্ছে। ব্যবসায় যদি গতি আসে এ সমস্যাটা থাকবেনা।

 প্রশ্ন ৬: ই কমার্স এর ক্ষেত্রে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন এর জন্য কেমন ফিস লাগে?

উত্তর: ভ্যাটএ তেমন কোন খরচ লাগেনা। 1- হাজার টাকা খরচ করেও রেজিস্ট্রেশন করা যায়। আসলে ব্যাপরটা তাই। ট্রেড লাইসেন্স এ ঢাকায় সরকারী খরচ ৭শ থেকে 11শ। কিন্তু করতে গেলে 3/4 হাজারের কমে হয়না। তবে কেউ যদি নিজে করনে। তাহলে আরো কম পড়তে পারে। ভ্যাটের ক্ষেত্রেও নিজে করতে গেলে 1/2 হাজারে হয়ে যাবে। টিন এর ক্ষেত্রে নিজে করলে কোন খরচ নেই। কিন্তু কাউকে দিয়ে করালে মিনিমাম 1 হাজার নেবে। আমাদের দেশে ব্যাপারগুলো এরকমই। তবে যাদের ইমপোর্ট এক্সপোর্ঠ লাইসেন্স তাদের ভ্যাটএ একটু খরচ আছে। গ্রামের ইউনেয়ন পরিষদে 4/5শ টাকা দিয়েও ট্রেড লাইসেন্স করা যায়। এসব খরচ সিটি ও এলাকাভেদে কমবেশী হতে পারে।

প্রশ্ন ৭: বিদেশ থেকে পন্যের অডার দিতে চাইলে কি করতে হবে?

দেশের বাইরে থেকে প্রোডাক্টস কিনতে চান? আমি ধরে নিচ্ছি আপনি একজন প্রবাসী বাংলাদেশী। এখন আপনি প্রোডাক্টস কি দেশে আপনার আন্তীয় স্বজনকে ডেলিভারী করতে চান? নাকি প্রবাসে নিতে চান? পেমেন্ট কি আপনি প্রবাস দিতে চান? এসব ক্ষেত্রে প্রত্যেকের নিজস্ব সিস্টেম আছে। যে শপে যে পন্যটি কিনবেন, সেখানেই আপনাকে পথ দেখাবে। দেশীয় ই শপগুলো একটু ভিজিট করুন।

প্রশ্ন ৮: বাংলাদেশী পন্যগুলো কিভাবে ডেলিভারী হবে ?

আন্তজাতিক কোম্পানী গুলোতে পেপল এবং কার্ডের অপশন আছে। আছে ডেলিভারী অপশনও। যদি আপনি প্রবাসে মূল্য পরিশোধ করে বাংলাদেশে গ্রহণ করতে চান পন্য তাহলে তাদের ডেলিভারী এরিয়ার মধ্যে যদি পড়ে তাহলে পাঠাতে পারবে। তবে অনেক চার্জ করবে।

আপনাকে আমি পরামর্শ দেবো দেশীয় ই শপ থেকে পন্য ক্রয় করার জন্য আপনার জন্য সহজ হলো- পেপল, পেঅনএয়ার, ইজিপে, বিডিপেমেন্ট বা ব্যাংকের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করে দেশে আপনার আত্মীয়র মাধ্যমে পন্য গ্রহণ করা। এত ঝুকি মনে হলেও মূল্যটাও পন্য গ্রহনের পর আপনার স্বজনকে দেশ থেকে পরিশোধ করতে বলতে পারেন।

প্রশ্ন ৯: আমি USA থেকে কিছু মোবাইল ফোন কিনে আনতে চাইছি। বিক্রেতাকে আমি চিনিনা। কিন্তু উনি Fedex or Dhl এ পণ্য পাঠাবেন এবং আমাকে tracking no দিবেন।আমাকে তো অগ্রিম টাকা দিতে হবে।নির্ভরতা কতটুকু? আর Fedex বা DHL এর কি Cash on delivery system আছে কিনা? এই বিষয়ে জানতে চাচ্ছিলাম। অথবা আমাজন থেকে পণ্য গুলো কি used নাকি new জানতে চাচ্ছিলাম

উত্তর: পন্য যদি সেকেন্ড হ্যানড হয়। সেটা ফিচারে লেখা থাকবে। ব্রিক্রেতা যদি তৃতীয় পক্ষ হয় তাহলে সাবধানে কাজ করতে হবে।আর প্রথম পক্ষ হলে অতটা ভয় নেই। অর্াৎ আপনি যদি স্যামসং এর পন্যটা স্যামসং থেকেই কেনেন তাহলে তেমন ভয় নেই। কিন্তু তৃতীয় কোন পক্ষ েহতে কিনলে অবশ্যই একটু সতর্ হবেন।

 প্রশ্ন: ১০: import korte hole ki kono dhoroner government license er proijon hoi?

উত্তর: import license er proijon hoi.

 প্রশ্ন ১১: ই কমার্ পন্য ক্রয়ে কি বিষয়ে সতর্ থাকবো?

উত্তর : সতর্কতার বিষয় 5 টা, ১ সঠিক জায়গা থেকে কিনছেন কিনা? ২ সঠিক সেবা বা পন্য কিনা?৩ সঠিক দাম কিনা? ৪ মানের ক্ষেত্রে ঠিক আপনি যা চাচ্ছেন তা কিনা? আর ৫ সঠিক জায়গায় সঠিকসময়ে ডেলিভারী।

প্রশ্ন ১২: ই কমাস কি দর কষাকষির অপশন রাখা যায়?

উত্তর: দরকষাকষি মূলত, প্রচলিত বাজার দরের উপর হবে। আর একটু এদিক সেদিক হলে সেটা নির্ভর করবে সাভিস ও মানের উপর। তবে দর কষাকষি না বলে এটাকে আমরা দাম নির্ধারণ বলবো। দাম নির্ারণ করাই থাকবে দরদাম করার ব্যাপার থাকলে বিষয়টা জটিল হয়ে যাবে। তবে একটা জিনিস থাকতে পারে। আপনি দামটা পাশে দামটা কম বা যুক্তিসঙ্গত এ ব্যাপারে কোন টেক্সট বা নোট থাকতে পারে।

প্রশ্ন ১৩: ফাস্টফুডের ব্যবসায় ই কমার্ চালূ করতে চাই।

উত্তর: শুকনো ফুড দিয়ে শুরু করুন। যেমন, বিদেশী বিস্কুট, ফ্রাই চিকেন, ফ্রাই ফিস, ফ্রাই বিফ, যাতে বাসায় নিয়ে গরম করে খেতে পারে। আরো এরকম প্যাকড শুকনো খাবার। পরে বাড়াবেন। অভিজ্ঞতা থেকে সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রশ্ন ১৪: কৃষি পন্য নিয়ে ব্যবসা করতে চাই। কি নাম দেয়া যায়?কিভাবে শুরু করবো?

নাম দিবেন আমার কৃষক ডট কম। শুরু করবেন একটা এক্সক্লসিভ আইটেম দিয়ে। প্রথম ঢাকা শহরকেন্দ্রীক ট্রায়াল সার্ভিস দিন। শহরের বাজারগুলোর সামনে ফেস্টুন লাগিয়ে দিন। শপিং ব্যাগ ছাপুন বিজ্ঞাপনসহ। ডেলিভারি দেয়ারপর কাস্টমারের ভিডিও সাক্ষাৎকার নিয়ে ইউটিউবে ছেড়ে দিন। জাস্ট 30 সেকেন্ড করে।

ই কমার্ সাইট তৈরীরর জন্য কিকি কাজ জানা জরুরী?

১. ব্যবসায় সম্পর্ ধারণা্। ই কমার্টা সহজভাবে বোঝা।

২. যে প্লাটফরমে ই কমার্ সাইট ভিজিট করা যায় সে ধরনের প্রোগাম সম্পর্ ধারনা পাওয়া

৩. ই কমার্স সাইট এর জন্য প্রয়োজনীয় কাজ (ছবি এডিট,ব্যানার বানানো,লোগো) করার জন্য ফটোশপ,গ্রাফিক্স এর কি কি কাজ জানা জরুরী।(শুরুর মুহূর্তে)

৪. বাংলাদেশে প্রচলিত সরবরাহ ব্যবস্থা ও পেমেন্ট পক্রিয়া সম্পর্কে জানা

৫. প্রচলিত বাজার ব্যবস্থা ও কাস্টমার চাহিদা সম্পর্ ধারণা থাকা।

প্রশ্ন ১৫: ই কমার্রর্সস সাইটের জন্য পন্যে সঠিক ও সুন্দর ছবি পোষ্ট বা এডিট করতে কোন প্রোগ্রাম জানতে হবে?

উত্তর: ফটোশপে ফটো এডিটিং জানাটা বেশী দরকার তবে আর ইলাস্ট্রেটর যেকোন অবজেক্ট তৈরী পাথ করা এসব জানলে কাজে লাগবে যদি আপনার ডিজাইন ও কালার সেন্স ভালো হয়।

প্রশ্ন ১৬: ই-কমার্সের মাধ্যমে মিস্টি জাতীয় দ্রব্য বিশেষ করে কুমিল্লার রসমলাই অথবা বগুড়ার দই অর্থাৎ ও টাঙ্গাইলের ছমছশ এই জাতীয় পণ্যগুলো কীভাবে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতে পারি?

উত্তর: প্রথমত এ জাতীয় পন্য আপনি বাজারে আনার পর আপনার প্রমোশনটা করতে হবে। আপনাকে সবচে বেশী মনোযোগ দিতে হবে প্যাকিং এর বিষয়ে। আপনাদের নিশ্চয় সৈয়দ মুজতবা আলীর রসগোল্লা গল্পের কথা মনে আছে। তিনি ভারতবর্ষ থেকে সূদূর ভেনিসে মিস্টি নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই ভ্যাকুয়াম প্যাক মিস্টান্ন যদি জাহাজে করে এতদূর পাড়ি দিতে পারেন। আপনারাও চেষ্টা করুন সফল হবেন। শক্ত প্লাস্টিকের বক্স সংগ্রহ করার কথা ভাবুন যেটা ভাংবেনা, ফাটবেনা। আর কুমিল্লাস্থ এস এ পরিবহন, সুন্দরবন পার্সেল, জননী, করতোয়া এসব জায়গায় গিয়ে কথা বলে আসুন। কিভাবে প্যাক করলে নিরাপদ হবে। আর কত চার্জ নেবে। মিস্টি সাধারণত ৮/১০ দিনে নস্ট হয়না । তবে যদি সুযোগ পান ভ্যাকয়াম অর্থাত বায়ুশূণ্য প্যাকিং করার ব্যবস্থা নিতে পারেন।

প্রশ্ন ১৭: কিভাবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ই কমার্স কে সংযুক্ত করা যায়?

উত্তর:কিভাবেপ্রউত্ যে লেবেল থেকে ব্যবসা শিক্ষা শুরু সে ক্লাস থেকেই ই কমার্স নামে একটি চ্যাপ্টার থাকবে। এটা নবম শ্রেণী থেকেই হওয়া ভালো। (2) একাদশ শ্রেণীতে ১০০ মার্ক এর্িকেটি বিষয় থাকতে পারে।দক্ষ করার জন্য থিয়রির পাশাপাশি ব্যবহারিক থাকতে পারবে। শিক্ষাথীরা ফেইসবুকে ফেইজখুলে ই কমার্স প্রাকটিস করতে পারে। প্রয়োজনে বাইরে থেকে আইটি এক্সটারনারল বা গেস্ট টিচার নিতে পারে। আর কলেজগুলোতে 1 বছরের ডিপ্লোমা কোর্স থাকতে পারে। কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হবে এটা ।

 

প্রশ্ন: ১৮: ই কমার্স এর জন্য ট্রেড লাইসেন্স সম্পর্কিত স্পষ্ট ধারনা দরকার। কিভাবে করতে পারি ? কেমন টাকা খরচ হতে পারে ? আমার অফিসের ঠিকানা হবে মহাখালীর দিকে।

উত্তর: ইকমার্স বলে কোনো ক্যাটাগরি বাংলাদেশে নেই। আপনাকে আইটি অথবা সপ্টওয়ার অথবা জেনারেল ক্যাটাগরিতে নিতে হবে। ভোটার আইডি ও বাড়িভাড়ার চুক্তিপত্র লাগবে ৩ কপি ছবি লাগবে, আর লাগবে কোনো একটা ইউটিলিটি বিল অথবা সার্স চার্জ বিলের কপি। আপনার জন্য উত্তর সিটি কর্পোরেশন যেহেতু আপনার অফিস মহাখালীতে। মূল ফিস ১২/ ১৪ শ টাকা হবে। তবে সাইনবোর্ড চার্জ ও অন্যান্য অফিস খরচ মিলে কম বেশী বেশী| হাজার খরচ।আপনি নিজে গেলে হয়তো আরো কম পড়দত পারে। ক্ষেত্রবিশেষে আরো বেশীও লাগে। হবে। (সাইনবোর্ড ট্যাক্স বাধ্যতামূলক)

প্রশ্ন১৯: ই কমার্ সাইটের ডিজাইন কেমন হওয়া উচিত?

উত্তর-ওয়েব সাইট ডিজাইন: আপনার ই কমার্সেও ডিজাইন হবে সিম্পল কিন্তু সুন্দর। আপনি ৫০টা ই কমার্স সাইট ভিজিট করুন কোন্িট আপনার কাছে সুন্দরও সহজ মনে হয়। সেগুলোকে মনে রাখুন। আজকাল তো সব কিছুই বোঝা সহজ। অন্য ১০টি সাইটের ভালো মন্দের উপর নিজেরটা ঠিক করা যায়।
সবচে গুরুপূর্ণ বিষয়: ইউজার ফ্রেন্ডলী, অপারেটিং সিস্টেম ইউন্ডোজ এর জনপ্রিয়তার কারণ ইউজার ফ্রেন্ডলী ফিচার। নকিয়া এবং সিম্পনী মোবাইলের জনপ্রিয়তার কারণ একইসাথে টেকসই এবং সহজ অপারেটিং। এজন্য খেয়াল রাখতে হবে। খুব সহজে যেন ক্রেতা পন্য খুঁজে পায়, এবং সেল সাবমিট করতে পারে। এটা অতীব জরুরী। রকমারী ও সাইটটা বেশ ভালো, এখানে বইয়ের নাম, বিষয়, লেখক, প্রকাশনী বিভিন্ন ভাবে সার্চ দিয়ে বই সম্পর্কে জানা যায়। এবং সিলেক্ট করলে বই সামনে চলে আসে। যে বই খোজা হয় সে লেখকের বা সে কোম্পানীর বা সে বিষয়ের অন্যান্য বইগুলো শো করে। আইডিয়াটা আমি এর আগে অনেককে দিয়েছিলাম। অনেকসময় ক্রেতা পন্য সম্পর্কে ভালোভাবে জানেনা। কাস্টমারের গাইড হিসেবেও আপনার সাইট টাকে সাজাতে পারেন।।
প্রোডাক্স ফোকাসের জন্য পন্যের ভালো একাধিক ছবির পাশাপাশি পন্য সম্পর্কিত সব তথ্য থাকা ভালো। যেমন সাইজ, ওজন, দাম, উৎপাদন তারিখ, মেয়াদ, কয়টাতে এক প্যাক হয়। কালার, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং ফিচার বা কি কাজে লাগে বা বিষয়বস্তু। এবং অন্তত এক লাইনে কেন পন্যটি অন্য পন্যেও চেয়ে আলাদা বা সেরা সেটাও বিবরণ এ থাকবে। যিনি পন্যটি আগেই কিনবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি হয়তো পুরোটা পড়বেন না। কিন্তু যিনি পন্যটা সম্পর্কে জানতে চান তিনি এটি কিনতে আগ্রহী হতে পারেন।
আর একটা বিষয় হলো সহজ পেমেন্ট মেথড। এর কোনো বিকলপ নেই। এটা আদর্শ ই কমার্স সাইটের জন্য জরুরী।
আরো কয়েকটা বিষয় আছে। যেমন পন্যটির মোট কত কপি আপনার স্টক এ আছে এটা যদি শো কওে আরো ভালো। পাঠাতে কি সময় লাগবে। সেটা থাকলে ভালো। মোট কথা যে ই কমার্স সাইটে গ্রাহকের যত বেশী সুবিধা থাকবে সেটা তত ভালো ই কমার্স সাইট। সবচে গুরুত্বপূর্ হলো কনটেন্ট ও ছবি।

 প্রশ্ন ২০: কি ধরনের প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করলে আমরা বাংলাদেশে খুব দ্রুত ই-কমার্স কে খুব দ্রুত জনপ্রিয় করতে পারব ?
উত্তর: এমন একটি পন্য বাছাই করুন। যেটি সর্বত্র পাওয়া যায়না। অথচ সর্বত্র চাহিদা রয়েছে। উদাহরণ, যেমন সুন্দরবনের মধু, বগুড়ার দই, টাঙ্গাইলের ছমছম ইত্যাদি। আরো অনেক কিছুই আছে। অনেকে সেগুলো নিয়ে কাজও করছে॥ তারপর ধরুন কক্সবাজারের ঝিনেুকের শো পিস, নাম লেখা শংখ এইসব দিয়ে শুরু করতে পারেন। একসময় আপনি ভালো বুঝবেন। তবে কাজ শুরু আগে বাজারটা য্চাাই করে নেবেন।

তবে পন্যটি আসল নয় আসল কথা হচ্ছে আপনার পেশাদারিত্ব, পন্যের মান, সময়মতো পৌছানো, প্রমোশন ও যুক্তিসঙ্গত দাম।

প্রশ্ন২১: দেশের ভেতর সবচেয়ে ভালো কুরিয়ার সার্ভিস কোন প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে ? এবং সার্ভিস রেট সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি । কেমন সময় নেয় ?

উত্তর: কন্টিনেন্টাল এর সার্ভিস ভালো কিন্তু রেট হাই। সে তুলনায় সন্দর বনের রেট কম। তবে আপনি যদি শহরের মধ্যে ডেলিভারি দিতে চান তাহলে চিফ রেটে অনেক কোম্পানী তা দিতে পারে। তবে যারা প্রোডাক্টস সাপ্লাই দিবেন তাদের জন্য এস এ পরিবহন বেটার কারণ এতে কন্ডিশন ডেলিভারি ব্যবস্থা আছে। অর্থ্যাৎ গ্রাহক মাল ডেলিভারি নেয়ার সময় দাম দিয়ে তারপর ডেলিভারি নেবে। সমস্যা হলো এস এ পরিবহন হোম ডেলিভারি দেয়না। তাদের অফিস থেকে ডেলিভারি আনতে হয়, আবার দামও বেশী। আপনি গ্রাহককে দুটো অপশন দিতে পারেন। অগ্রিম পেমেন্ট হলে কুরিয়ার আর বাকী হলে পার্সেল। তবে এস এ পরিবহনের চেয়ে অর্ধেক দামে সার্ভিস দেয় জননী, করতোয়া, বাংলাদেশ পার্সেল, ইসলামিয়া ট্রান্সপোর্ট এবং সুন্দরবন পার্সেল। উদাহরণ একমণ ওজনের একটা বুক পার্সেল এস এ পরিবহনে ৬শ, সুন্দরবনে ৩শ, জননী ও অন্যানতে ২শ বা ২শ৫০। এটা কিন্তু বুক ডকুমেন্টের রেট। এবং পার্সেল , কুরিয়ার নয়। কুরিয়ার এর চেয়ে ৭/৭ গুন বেশী অর্র্থাৎ সেটা কেজি হিসেবে প্রতি কেজি ১৫-২৫ টাকা।

 প্রশ্ন ২২: বিদেশ থেকে পন্য আনার এবং বিদেশে পন্য পাঠানোর জন্য কি্ আলাদা লাইসেন্স প্রয়োজন হয়?

বিদেশ থেকে পন্য আনার এবং বিদেশে পন্য পাঠানোর জন্য আপনার ইমােপর্ট এক্সপোর্ট লাইসেন্স লাগবে। এর সরকারী খরচ হয়তো ১০,০০০ টাকা কিন্তু এতে শেষ পর্যন্ত ২০/৩০ পড়ে যায়। তবে ভালো চ্যানেল পেলে আরো অনেক কমেও করাতে পারবেন। তা না থাকলে যাদের লাইসেন্স আছে আপাতত তাদেও সাহায্য নিতে পারেন। তারপর আপনাকে যেতে হবে ক্লিয়ারিং এবং ফরোয়ার্ডিং এজেন্সির কাছে। তারা শিপিং এর দায়িত্ব নেবে। পন্য এবং দূরত্ব বুঝে খরচ। হয়। অস্ট্রেলিয়া এবং চায়নার শিপিং খরচ নিশ্চই এক হবেনা। আর অল্প কিছু হলে অনলাইনে পেমেন্ট দিয়ে কুরিয়ারেই আনতে পারেন।

প্রশ্ন ২৩: পোস্ট অফিসে কি সঠিকভাবে পন্য ডেলিভারী হয়?

পোষ্ট অফিসে কোন চিঠি আসলে পোস্ট অফিসের দায়িত্ব সেটা ঠিকানা মোতাবেক ডেলিভারী করা। একটা চিঠি পোস্ট অফিসে গিয়ে নিজের নামে ােপষ্ট করে আসুন দেখুন ঠিকানা মত আসে কিনা? আমার ধারণা শহরে ডেলিভারী ঠিকমতো হয়। হয়তো টাইম একটু এদিক সেদিক হতে পারে।

 

 

প্রশ্ন24:আমি ফ্যাসন ওয়ার নিয়ে কাজ করতে চাই। আমাকে একটি নাম সাজেস্ট করুন।

উত্তর: charulota, bilasi, lilaboti, songi,

 

10,314 total views, 20 views today

Comments

comments

Your email address will not be published.