ভিডিওগ্রাফী টিপস
Tips for personal video graphy
জাহাঙ্গীর আলম শোভন
আপনার যদি ক্যামেরা অথবা ক্যামেরাপার্সন এ দুটো ভাড়া করে ভিডিওফুটেজ তৈরী করার সামর্থ না থাকে। আপনি নিজেই আপনার হাতে যে ক্যামেরা আছে সেটা দিয়েই কাজ শুরু করতে পারেন। আপনি একজন ক্ষুদ্র বা ই শপ ব্যবসায়ী হিসেবে এটা করতেই পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার জন্য কিছু টিপস।
ভিডিও বর্তমানে শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে। ইউটিউব ফেইসবুক সহ অন্যান্য মাধ্যমে ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ এর মাধ্যমে অনেকে ব্যবসায়িক কনসেপ্ট, পন্য বা সেবাকে তুলে ধরছেন। ই কমার্স উদোক্তাগণ বেশীরভাগ স্বল্পপুজির ব্যবসায়ী আবার অনেকে নিজেই তার ব্যবসার সব দিক দেখাশোনা করেন। ভিডিও ক্যামেরাম্যান ভাড়া করতে হবে এই ভেবে অনেকে ভিডিও মার্কেটিং করছেন না। আমি িবলবো আপনি কখনো যদি পারেন অবশ্যই প্রফেশনাল ওয়েতে ভিডিও মার্কেটিং করবেন। কিন্তু যতদিন তা না হচ্ছে। চেস্টা করে দেখতে পারেন। নিজেই পারেন কিনা। নিজের একটা ভিডিও এড বানাতে। হয়তো প্রথম প্রথম ভালো হবেনা। কিন্তু তবুও যদি কিছুটা প্রচার করা যায় মন্দ কি?
1. খুব বেশী ভালো না বুঝলে আউটডোরে শুট করুন।
2. ট্রাইপড ব্যবহার করতে পারেন। তা না থাকলে এমনভাবে ক্যাপচার করুন। যেন ক্যামরা না কাঁপে।
3. যেখাসে শুট করবেন সেটা আগে একবার ভিজিট করে আসুন। পারলে ডামি ভিডিও করে নিয়ে আসুন। এনে কম্পিউটারে দেখুন কেমন হয়।
৪, কিসের পর কি শুট করবেন। তার একটা তালিকা করুন। কোন শর্ট এর কোন শর্ট নেবেন তাও লিখে নিন। কোন ভিডিওতে কি ভাস্য যাবে তা ছোট ছোট বাক্যে লিখুন।
৫. যেখানে ক্যামেরা চালাবেন, আলো না থাকলে আলোর ব্যবস্থা করুন। 200-300 টাকার এলইডি লাইট ভালোমানের আলো দিতে পারে।
৬. ক্যামেরা যাই হোক এটা দিয়ে মাথা ঘামাবেন না। এইচডি ক্যামেরা হলে ভালো, ডিএসএলআর থাকলে আরো ভালো তা না থাকলে আপনার মুঠোফোনের ক্যমেরা দিয়েও কাজ শুরু করুন।
৭. ক্যামেরার ব্যাটারী, সেটিং ও মেমরী কার্ড সব ঠিক আছে কিনা দেখে নেবেন কিন্তু।
৮. ভিডিও করার সময় খেয়াল রাখুন যেন কোন অনাকাঙখিত বিষয় ফ্রেমে না থাকে। যা দেখাতে চান তা যেন ভালোভাবেই ফুটে উঠে।
৯. প্রয়োজন ছাড়া জুম, ট্র্যাক ও প্যান করবেন না। এবং প্রয়োজন হলেও খুব বেশী এসব ব্যবহার করবেন না।
১০. শুধুমাত্র কোথাও দূরত্ব বোঝানোর প্রয়োজন হলে হালকা ও স্লো জুম করুন।
১১. শুধুমাত্র বিস্তৃতি বোঝানোর জন্য প্যান ব্যবহার করুন। তাও খুব দ্রুত এবং বেশী নয়।
১২. ট্র্যাক প্রয়োজন না হলে ব্যবহার করবে না। কোথাও জার্নি বা মুভমেন্ট বোঝাতে এটি প্রয়োজন জলেও ব্যবহার করবেন না যদি বিষয়টি আপনি ভালো না বোঝেন ।
13. সাউন্ড ভালো পাওয়ার জন্য ভয়েস ওভার থাকলে সেটা স্টুডিওতো রেকর্ডি ং করতে পারেন।
14. আর এমিবিয়েন্ড বা পারিপাশ্বিক সাউন্ড সহ কন্ঠ নিলে বুম ব্যবহার করুন।
15. অবশ্যই স্টেডি শর্ট এর উপর বেশী নির্ভর করবেন। অর্থাৎ ক্যামেরার মুড চেঞ্জ না করে এক ধরনের ফুটেজ নেবেন।
16. যদি অটো সেট আপ না থাকে। তাহলে ােহয়াইট ব্যালেন্স করতে ভুলবেন না।
17. ফোটসটা দেখে সেট করে নেবেন। শ্যুটিং শুরু আগে।
18. মিজ অন শর্ট ব্যবহার করতে পারেন। তবে যদি আপনি স্বার্থক ব্যবহার কারী হোন।
19. এছাড়া লংশর্ট, মিডশর্ট, ক্লোজশর্ট ব্যবহারে সর্তক হোন। যেখানে যেটা দরকার কেবল সেখানেই সেটা ব্যবহার করুন।
20. একই জিনিস বার বার করুন। মনের মত আউটপুট না আসা পর্যন্ত কাজ করুন।
21. একই স্থানে একই বিষয়ে যদি অনেকক্ষণ শর্ট নিতে হয় তাহলে প্রয়োজন বুঝে ১০-১৫-২০ সেকেন্ড পর পর ফ্রেম চেঞ্জ করতে পারেন।
22. পর পর একই ধরনের শর্ট ব্যবহার করবেন না। যেমন ক্লোজ শর্ট এর পরের শর্টটা যেন ক্লোজ শর্ট না হয়। লং শর্ট এর পরের শর্টও লং শর্ট না হয়।
23. ভিডিও এডিটিং করার সময় জটিল কোনো ফিচার ব্যবহার করবেন না। কাট টু কাট পালিসি ধরে এগিয়ে যাবেন।
24. এডিটিং এর সময় নতুন নজরকাড়া সৃজনশীল কোন কাট কোনকিছু ব্যবহার করতে পারেন। তবে বেশী নয়।
25, ক্যামেরা যেন বেশী নাড়াচড়া বা জার্ক না করে সেদেক খেয়াল রাখুন। এবং ফ্রেমটা যেন নড়ে না যায়।
26, ফ্রেম বোঝার জন্য আমার লেখা স্টিল ছবি তোলার উপর টিপসগুলো পড়ে নিতে পারেন।
27. প্রয়োজনীয় কেটকস ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
28. এডিটিং এর সময় খেয়াল করুন সব ফাইলের কালার, কে ও রেজুলেশান সমান কিনা?
29. এডিটিং এ সময় দিন। কোন দৃশ্য প্রয়োজন মনে করলে পুনরায় ধারণ করুন।
30. মডেল ব্যবহার করলে পোষাক ও মেকআপের প্রতি নজর দিন। আবার খুব বেশী মেকআপ কিন্তু আপনার বক্তব্যকে হালকা করে দিতে পারে। এগুলো বিষয় ব্ক্তব্য ও চরিত্রের সাথে মিলিয়ে করতে হবে।
31. সবার আগে শ খানেক ছোট ছোট ভিডিও দেখে নিন। যেগুলো আপনার মত ব্যবসায়িরা তাদের ব্যবসাকে প্রমোট করার জন্য তৈরী করেছেন।
ছবিতে ক্লোজ শর্ট, মিড শর্ট, ফুল শর্ট ও লং শর্ট
8,090 total views, 5 views today