অনেকদিন ধরেই চিন্তা করছিলাম কন্টেন্ট রাইটিং এর উপরে একটি বড় আর্টিকেল লিখব কিন্তু তেমন ভাবে গুছিয়ে উঠতে পারলাম না। তাই পুরো জিনিস টা কয়েকটি পর্বে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। জানিনা কত ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে এটি। যারা নতুন শুরু করতে চাচ্ছে তাদের হয়ত কাজে লাগবে। নাও লাগতে পারে। তবে আমি যেভাবে কাজ করি সেভাবেই জিনিসটা তুলে ধরার চেষ্টা মাত্র। কারণ আমি যখন কাজ করতে শুরু করি বা করতে চাইতাম, শিখতে চাইতাম তখন কিন্তু এত সুযোগ ছিলোনা। আমার মত কেউ যেন সমস্যায় না পড়ে সে জন্যই আমার এই চেষ্টা।
যাদের জন্য এই চেষ্টাঃ
- যারা কন্টেন্ট রাইটিং নতুন করে শিখতে চান
- যারা ই-কমার্সের সাথে জড়িত এবং প্রোডাক্ট এর বর্ণনা লেখা শিখতে চান
- যারা জানার আগ্রহ নিয়ে জানতে চান
- যারা শখের বশে যেকোনো টপিক এর উপর লেখা লেখি করতে চান
কেন এই চেষ্টাঃ
- কন্টেন্ট এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আসলে নতুন করে বলার কিছু নেই তবে এটি অন্যতম কারণ।
- কন্টেন্ট এর কাজের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে কিছুটা সচেতন করে তোলা।
- কন্টেন্ট রাইটিং যে অন্য কোন কাজের তুলনায় কম নয় সেটিও কিছুটা তুলে ধরা।
আজকের লেখাটি কিছুটা আলোচনামূলক। আমাদের পুরো সিরিজটি কিভাবে সাজানো হয়েছে সেটা নিয়ে একটু আলোচনা থাকবে। মানে সিলেবাস। তারপর থাকবে কোন সিলাবাসের কোন পর্বে কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে সেটার একটু ধারণা।
পুরো সিরিজটা আমি নিচের মত করে সাজিয়েছি। একটি লেখার টাইটেল থেকে শুরু করে মান সম্মত হওয়া পর্যন্ত নিচের ধাপ গুলো অবশ্যই প্রয়োজন।
পর্ব শুন্যঃ সিলেবাস নিয়ে সামান্য আলোচনা (আজকের এই লেখাটি)
পর্ব একঃ এদিক সেদিক না তাকিয়ে কিভাবে মাঠে নামতে হবে (লেখা শুরু করতে হবে যেভাবে)
আমরা এই পর্বে শিখবো কিভাবে আশে পাশে তাকিয়ে সময় নষ্ট না করে লেখা শুরু করা যায়। এটি খুব সহজ একটি ধাপ। লেখা শুরু করে দিলেই হল। তবে কিছু নিয়ম কিন্তু থাকবেই লেখা মানসম্মত করতে হলে। সেটি আমরা আগামি পর্বেই দেখতে পারব।
পর্ব দুইঃ যা লেখা হয়েছে সেটা কতখানি বিশ্বস্ত ও মানসম্মত করা যায়
এই পর্বে আলোচনা করা হবে কিভাবে আপনার লেখাটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে সহজে। কন্টেন্ট সোর্স গুলো কিভাবে ঠিক করব, কি ধরনের সোর্স থেকে লেখার উপকরণ নিব, কোনটি থেকে নিব না এসব নিয়ে আলোচনা থাকবে বিশদ আকারে।
পর্ব তিনঃ যা লিখেছি টা কতখানি নিজস্বতা বহন করে সেটা কিভাবে নিশ্চিত করা যায়
কিভাবে আপনার কন্টেন্ট টি গুগল এর ইন্ডেক্সিং এ ভালো মার্ক পাবে সেটার কিছু পদ্ধতি এখানে আলোচনা করা হবে। মূলত ইউনিক লেখা কিভাবে লিখতে হবে সেটা নিয়ে আলোচনা থাকবে।
পর্ব চারঃ পুরো কন্টেন্ট টা পাঠকদের উপযোগী করে কিভাবে সাজানো যায়
সব কন্টেন্ট কিন্তু পাঠক পড়ে না। আবার সব কন্টেন্ট কিন্তু পাঠকের মনে ধরেনা। মানুষ কিভাবে বেশিদিন আপনার কন্টেন্ট টি মনে রাখবে এটি এই পর্বে আলোচনা করা হবে।
পর্ব পাঁচঃ সারমর্ম
উপরে যা আলোচনা হল সেটি আমরা শেষ পর্বে গিয়ে আবার আলোচনা করব। তবে আজকের আলোচনা ও শেষ পর্বের আলোচনার মাঝের শুন্যস্থান টি পূরণ করবে আপনার আত্মবিশ্বাস।
জানিনা কত টুকু সফল হতে পারব। সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। পরের পর্বে আমন্ত্রণ রইল। ধন্যবাদ।
কারো কোন মতামত থাকলে আমাকে জানাতে পারেনঃ
6,659 total views, 3 views today