পন্য  গুদামজাত করণ টিপস

Jahangir Alam Shovon

পন্য গুদামজাত করণ যেকোনো পন্যভিত্তিক ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা ভেদে ২দিন ৭ দিন ১মাস কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১ বছরের জন্য পন্য স্টক করতে হয়। অবশ্য ই কমার্সে এমনটা নাও হতে পারে। কিন্তু অনেক সময় কিছু স্পর্শকাতর পন্য থাকে যেগুলো ২দিন গুদামে রাখলেও খেয়াল রাখতে হয়। সেজন্য এ বিষয়ে ক‘টা টিপস দেয়া হলো।

তবে পন্য্য গুদামজাত করার আগে কতগুলো বিষয় ভেবে পন্য্য ক্রয় করতে হয়। যেমন

১. যে পন্যটি ক্রয় করা হবে সেটি কতদিন পর্যন্ত স্টকে থাকবে যাতে নস্ট হবেনা।

২. যে পন্যটি কেনা হেচ্চে আসলেই এত পরিমাণ চাহিদা পন্যটির আছে কিনা?

৩. এ পন্্যটি কিনতে যতটাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে ততটাকা এমুহুর্ তে বিনিয়োগ করলে অন্যকোন খাতে অর্থ প্রবাহের সমস্য্রা হবে কিনা?

৪. পন্যটি রাখার জন্য যে ধরনের ব্যবস্্যথা থাকা দরকার তা আপনার গুদামেঘরে আছে কিনা।

৫. পন্যটি কোন কারণে সেল না হয়ে অনেক পরিমাণ রয়ে গেলে কি করবেন বিকল।প ব্যবস্থা আছে কিনা।

go

পন্য  গুদামজাত করণ

১. গুদামঘরের তাপমাত্রা সঠিক আছে কিনা? কোথাও পানি পড়ার আশংকা রয়েছে কিনা? কোন কারণে পানি আসলে তা নিষ্কাসন ও ঢালিয়ে যাবার সুবিধা রয়েছে কিনা?
২.  আগুন লাগতে পারে এধরেনের জিনিস থেকে গুদামঘরকে দূরে রাখতে হবে। ধুমপায়ী স্টোরকিপার নিয়োগ দেয়া যাবেনা। কোন কারণে আগুন লাগলে তার প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৩. গুদামঘরের দেয়াল ও ছাদ মজবুত আছে কিনা পরীক্ষা করে নিন। প্রয়োজনীয় আলো বাতাসের ব্যবস্থা নিন। কোল্ড স্টোর হলে কারিগরি ও বৈদ্যুতিক ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
৪. পন্য সাজিয়ে রাখার সময় যেগুলো আগে দরকার হবে সেগুলো সামনে অথবা উপরে রাখুন।
৫. যে পন্যগুলো চাপ সহনশীল নয় গেুলো নিচে রাখবেন না।
৬. ভারী পন্য হলে মানুষের পরিবর্তে টেকনোলজি ব্যবহার করুন। শ্রমিক  দ্বারা করালে এক সাথে সব সময় দুই এর অধিক শ্রমিক রাখুন।
৭. পন্য রাখার সময় দুটি সারির মাঝখানে এমনভাবে ফাঁক রাখুন যাতে সেখানে দিয়ে পন্যসহ মানুষ যাতায়াত করতে পারে।
৮. পন্য এমনভাবে উপরের দিকে সাজাবেন যাতে পড়ে না যায়।
৯. ইঁদুর বিড়াল ঢুকতে পারে এ ধরনের ব্যবস্থা যেন না থাকে।
১০. স্টক হিসাব রাখার জন্য একটি ভালো ব্যবস্থা রাখতে পারেন। পয়োজনে সফটওয়ার ব্যবহার করতে পারেন।
১১. বন্যার সময় পানি উঠবেনা, বর্ষায় পানি জমবেনা, ঝড়ে উড়ে যাবেনা এমন করে বানাতে হবে গুদামঘরটি।
১২. ২/১ দিন পর পর ভিতরে সামনে পেছনে চেক করতে হবে।
১৩. যদি খুব রুলাবাণি জমে সেজন্য মোছা বা হালকা ঢাকনি ব্যবহার করতে হবে। পলি বা কাপড়ের।
১৪. পাশ্ববর্তী কোন ঘরে কেমিক্যাল বা বিপদজনক কোনকিছুর স্টোর বা ওয়ারহাউজ যেন না থাকেভ
১৫. যেকোন ব্যক্তি যেকোন সময় স্টোওে ডুকতে পারবেনা। এ অধিকার সীমিত তরুন। প্রয়োজনে কারা কখন যাচ্ছে সে তথ্য সংরক্ষণ করুন।
১৬. বড়ো ধরনের ব্যবসা হলে বীমা কওে রাখুন।
১৭. হাতের কাছে হোস পাইপ ও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রাখুন রাখুন একটি নিরাপত্তা দরজাও।
১৮. স্টোর কিপার ও সংশ্লিস্টদের ফায়ার সার্ভিস থেকে অগ্নি নির্বাপন বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন।
১৯. স্টোর কিপার ও সংশ্লিস্টদেও কাছে থানা, ফায়ার সার্ভিস সহ প্রয়োজনীয় ফোন নাম্বার ও ফোন করার সুবিধা রাখুন।
২০. জরুরী বিপদে সংকেত দেয়ার জন্য ঘন্টা বা হুইসেল ব্যবস্থা রাখুন।
২১. মালপত্র চুরি ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলুন।
২২. ভেজা মাল, শুকনা মাল, রঙীন মাল, সাদাকালো মাল, কুচি মাল, ধুলীয় মাল আলাদা রাখুন।
২৩. দাহ্য পদার্থ ও অন্যান্য স্পর্শকাতর পন্যের ব্যাপারে সর্তক থাকুন।
২৪. কোন ছোটো খাটো ঘটনা ঘটলে থানায় ডায়রী করতে ভুলবেন না। এটা পরে কাজে লাগবে।
২৫. গুদামের আসে পাশে সন্তেজনক কোনকিছু দেখলে ব্যবস্থা নিন।
২৬. সম্ভব হলে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান।
২৭. কয়েকদিন পর পর চেক করে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নিন।

২৮. পন্যের গায়ে বা সারিতে বা দেয়ালে অবশ্যই লিখে রাখবেন পন্যটি কি তার প্রবেশ ডেট কবে। আর মেয়াদ কতদিন।

২৯. একটি পন্য নস্ট হওয়ার প্রবণতা থাকলে কতদিনে কত শতাংশ নস্ট হতে পারে তার একটা ধারণা নোট্ করে রাখবেন। পরে এটা মিলিয়ে নিতে পারবেন।

৩০) গুদামঘরের বীমা করে রাখতে লবেন না।

[email protected]

 

8,652 total views, 7 views today

Comments

comments

Your email address will not be published.