ই কমার্স : বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ:  Gadget Shopinnovative-solutions.gif

জাহাঙ্গীর আলম শোভন

প্রযুক্তিপন্য বা গেজেট শপ নিয়ে যারা কাজ করবেন তাদের জন্য পরামর্শ

প্রস্তুতি পর্ব:
১. নাম: এমন নাম চাই যেন একবার শুনলে মনে থাকে। বিষয়ের সাথে মিল থাকে, খুব বেশী বড় না হয়। অর্থপূর্ন হয়।
২. শ্লোগান: খুব সহজ একটা শ্লোগান চাই, যাতে থিমটা পরিস্কার হয়। সহজে মানুষের মনে থাকে।
৩. লোগো: খুব ইজি লোগে হবে, পরিচিত কোন সিম্বল দিয়ে হলে ভালো। লোগোতে খুব বেশী কালার না থোকাই ভালো।
৪. ওয়েব: ভিজিটর ফ্রেন্ডলি হবে, এবং মোবাইল সাপোটার, খুব হিজিবিজি না হয়, পোডাক্টস কার্ট করতে যেসন সহজ হয়।
৫. পেইজ: সোস্যাল সাইটগুলোতে পেইজ থাকবে। এবং সেটা হবে লাইভ। থাকবে একটি ফুলচটাইম হটলাইনও।

প্রথম ধাপ:
১. পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট তৈরী: অবশ্যই সুন্দর, সহজ ও ইউজার ফ্রেন্ডলী হবে।
২. সব ধরনের পেমেন্ট সিস্টেম ইনক্লুড
৩. প্রথম ১০টি প্রোডাক্টস ঠিক করা যেগুলো বিক্রি হবেই।
৪. একটা ইউনিক বৈশিষ্ঠ্য ঠিক করা যাতে মার্কেটিং এর সুবিধা হয়।
৫. কোন পন্য কারা কিনবে কেন কিনবে সে মোতাবেক কাস্টমার গ্রুপ ঠিক করা।

প্রস্তাবিত স্লোাগান:
১. প্রযুক্তির পথে একটি পদক্ষেপ
২. প্রযুক্তির আলোতেই জীবন
৩. প্রযুক্তি পন্য জীবনের অংশ
৪. আপনার প্রযুক্তিবন্ধু
৫. যেখানে প্রযুক্তি সেখানে জীবন
৬. জীবন রঙিন প্রযুক্তির রঙে
৭. প্রযুক্তিপন্য জীবনের জন্য
৮. প্রযুক্তির ভূবনে স্বাগতম
৯. আপনার বাজেট আমাদের গ্যাজেট

প্রোডাক্টস পলিসি
১. এমন কিছু পন্য থাকবে যেগুলো অন্য কোথা থেকে কিনলে নকল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২. এমন কিছু গেজেট থাকবে যেগুলো এই প্রথম মার্কেটে আসলো।
৩. এমন কিছু আইটেম থাকবে যেগুলো বিশ্ববাজারের চেয়ে কম দাম।
৪. এমনকিছু জিনিস থাকতে পারে যেগুলো এভেইলেবল নয়। যেমন কিছু ক্যামেরা
৫. যেকোন একটা সাইডকে প্রাধান্য দিতে হবে।
৬. মধ্যবিত্তদের জন্য দামটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পলিসি।

রিচ টু কাস্টমার
১. প্রথাগত মার্কেটিং যা করা দরকার তাতো করবেনই।
২. সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা তো আছেই।
৩. এছাড়া বিক্রয় ও এখনইতে এড দিয়ে সেখান থেকে কাস্টমার আনা যায়।
৪. এলিফেন্ট রোড, এডিভি ভবন, ঢাবি, বুয়েট, প্রাবি, এসব জায়গায় লিফলেট বিলি করা যায়।
৫. বড়ো মার্কেটে সেযমন বসুন্ধরা সিটি, ফিউচার পার্ক, রাফা প্লাজা এগুলোতে সপ্তাহের জন্য প্রমোশনাল স্টল দেয়া যায়। এক টেবিল সাইজের হলে এনাফ । এতে শুধু পন্য দেখানো হবে ও অর্ডার নেয়া হবে কিন্তু সরাসরি বিক্রি হবেনা। মূলত বাসায় ডেলিভারী হবে।
৬. প্রথমে শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রুপ প্যাকেজ দেয়া যেতে পারে।
৭. এবং এভাবে হতে পারে নাম ক্যাম্পাস প্যাকেজ। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫জন শিক্ষাথী চাইলে সেখানে ৫টি আইটেম নিয়ে গিয়ে দেখানো যেতে পারে।
৮. বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ভিত্তিক মেলা হতে পারে।
৯. বিভিন্ন গ্যাজেট ব্যবহারের উপর ফ্রি প্রশিক্ষণ আয়োজন করা যেতে পারে।
১০. যদি কোন সফটওয়ারা বিক্রি করে থাকেন তাহলে তার সাথে ৩ দিনের প্রশিক্ষণ ফ্রি দিতে পারেন।
১১. কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস ও ওয়ারেন্টি গ্যারান্টির কথা মাথায় রাখুন।
১২. চাকুরীজীবিদের জন্য কিস্তিতে ব্যবস্থা থাকতে পারে। তবে এক্ষেত্রে নিয়োগকর্তার অনুমতি লাগবে।
১৩. মেম্বারশীফ সিস্টেম ও পয়েন্ট সিসটেম রাখা যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন
১. টিভি
২. লিফলেট
৩. এসএমএস
৪. ই মেইল
৫. কুপন
৬. মেম্বারশীফ
৭. পত্রিকা/ ম্যাগাজিন
৮. সোস্যাল মিডিয়া
৯. সিএসআর
১০. ফেস্টুন
১১. পোস্টারিং
১২. মেলায় অংশগ্রহণ

থিম: যেহেতু এ ধরনের আইডিয়া নিয়ে অনেকেই ব্যবসা আর এগুলো অনলাইন ব্যবহার কারীরা মোটামোটি দাম জানে। সেগুলোর দাম সীমাবদ্ধ রেখে এবং দামের কথা বলেই মার্কেটিং করতে হবে।

সতর্কতা
১. পন্যক্রয়ের সময় নকল পন্য যেন না হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
২. তুলনামূলক বাজারদামও মাথায় রাখতে হবে।
৩. কাস্টমার কেয়ারের সময় যথাসমভব হেল্পফুল হতে হবে।
৪. ডেলিভারীতে প্যাকিং ও সুপারভিশন শক্তিশালী হতে হবে।
৫. পন্যের মান, দাম ও সার্ভিস এই তিনটির সমন্বয় করতে হবে।

5,313 total views, 2 views today

Comments

comments