উপরের শিরোনামটি পড়েই আপনার মনে হচ্ছে এটা কিভাবে সম্ভব? অ্যামাজন শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। তাকে চ্যালেঞ্জ করবে কার সাধ্য? আজকে ই-কমার্সের নিউজের উপরে ঘাটতে গিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস এর দুটি আর্টিকেল আমার নজরে আসে। দুটোই ফরহাদ মঞ্জুরের লেখা। এ আর্টিকেল দুটির মূল বিষয় হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনকে কিভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চ্যালেঞ্জ করছে। যখন এ লেখাটি লিখতে শুরু করি তখন ভেবেছিলাম ই-ক্যাব নিউজের ছোট্ট খবর হিসেবে লিখব। কিন্তু লিখতে শুরু করতে গিয়ে দেখা গেল যে বিশাল বড় (১৫০০ শব্দ) হয়ে গিয়েছে। তাই আমি এটাকে ই-ক্যাব ব্লগে পোস্ট করলাম। এত বড় লেখা লিখবার জন্যে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে আমি চেষ্টা করেছি একটি ভাল তথ্য সমৃদ্ধ লেখা দিতে যেটা পড়ে পাঠকরা উপকৃত হতে পারে।
অ্যামাজন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এ সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে রিটেইল ইন্ডাস্ট্রিতে অ্যামাজন সর্বেসর্বা নয়। গত বছরের বড়দিনের সিজনে অ্যামাজন ২৯.৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য অনলাইনে বিক্রী করে কিন্তু ঐ বছর যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসীরা ১.২ ট্রিলিয়ন ডলারের পণ্য ক্রয় করে। এ বিচারে অ্যামাজনের শেয়ার মাত্র ২%। অনেক প্রতিষ্ঠানই (অনলাইন এবং অফলাইন) অ্যামাজনের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে অ্যামাজনের ব্যবসা নীতি বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির লোকদের সমস্যা হয়ে উঠেছে। এর সবচেয়ে ভাল উদাহারণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বই প্রকাশনী ইন্ডাস্ট্রি। অ্যামাজনের উপরে অনেকেই অসন্তুষ্ট এবং অ্যামাজনের এ উত্থানে অনেকেই শঙ্কিত।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে অ্যামাজনের আধিপত্যকে কিভাবে খর্ব করা যায়? দুটি উপায় আছে। একটি হচ্ছে বিশাল মূলধন নিয়ে বিশাল অবকাঠামো তৈরি করে অ্যামাজনের মতো অনলাইনে বিক্রী করা অর্থাৎ অ্যামাজনের সাথে সরাসরি প্রতিযোগিতা করা। আরেকটি উপায় হচ্ছে, নতুন বিজনেস স্ট্রাটেজি এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন ব্যবসা সৃষ্টি করা যেটা অ্যামাজন হয় তো এখনো শুরু করেনি।
এখানে আমি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করব যারা এ দুটো কৌশলের একটিকে বেছে নিয়েছে।
জেট ডট কমঃ
জেট ডট কম (http://jet.com/) প্রথম কৌশলটি বেছে নিয়েছে। জেট ডট কম এর নাম প্রথম শোনা যায় ২০১৪ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে এ প্রতিষ্ঠানটি গত বছরে ২২৫ মিলিয়ন ডলার ফাণ্ড যোগাড় করে বেশ হই-চই ফেলে দিয়েছিল। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠানটি আরও ১৪০ মিলিয়ন ডলার ফাণ্ড যোগাড় করে এবং আলিবাবাও এতে বিনিয়োগ করেছে। জেট ডট কম এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক লোর এর পরিকল্পনা হচ্ছে বিশাল মূলধন সংগ্রহ করে অ্যামাজনের মতো বিশাল অবকাঠামো তৈরি করে তার সাথে সরাসরি পাল্লা দেয়া। জেট ডট কম স্ট্র্যাটেজি হচ্ছে অ্যামাজন এবং অন্যান্য অনলাইন রিটেইলারদের তুলনায় কত কম দামে ক্রেতাকে পণ্য দেয়া যায়। একজন ক্রেতাকে জেট ডট কম এর সদস্য হতে হবে এবং বাৎসরিক ৫০ ডলার প্রদান করতে হবে। এটাই হবে জেট ডট কম এর আয়ের উৎস। এর পরে পণ্য কিনে যতটুকু পয়সা বাচানো যায় তা ক্রেতা করতে পারবে। কোন ক্রেতা যদি একসাথে বিশাল অর্ডার দেয় তখন পণ্যের ইউনিট প্রতি দাম আরো কম হবে। এটাই হচ্ছে জেট ডট কম এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক লোরের পরিকল্পনা। জেট ডট কম যুক্তরাষ্ট্রে নিম্ন-মধ্যবিত্তদের টার্গেট করবে যাদের কাছে টাকা বাঁচিয়ে কেনাটাই মূল লক্ষ্য।
ইতিমধ্যেই জেট.কম পরীক্ষামূলকভাবে তাদের সাইট চালু করেছে এবং ১০,০০০ রেজিস্টার্ড সদস্য এখানে পণ্য কিনছে। অফলাইন রিটেইল এবং অনলাইন রিটেইল প্রতিষ্ঠানের তুলনায় তারা কম দামেও পণ্য দিচ্ছে।
এঞ্জয়ঃ
এঞ্জয় (www.goenjoy.com) এর ব্যবসা মডেলটি একটু ব্যতিক্রমধর্মী। গতকাল (মে ৬, ২০১৫) তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ওয়েবসাইট চালু করেছে। এ প্রতিষ্ঠানটি একটি সেলেকটিভ অনলাইন স্টোর যারা উচ্চমূল্যের প্রযুক্তি পণ্য বিক্রী করে যেমন- ড্রোন, ল্যাপটপ, গো প্রো ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।
এঞ্জয় এর সিইও রন জনসন ২০০০-২০১১ পর্যন্ত অ্যাপলের রিটেইল ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অ্যাপলের রিটেইল স্টোর এবং রিটেইল স্ট্র্যাটেজি তারই করা। তাঁর নেতৃত্বে অ্যাপলের রিটেইল স্টোর বিশাল সাফল্য লাভ করে। রন জনসন বলেন যে, যে আইডিয়া তিনি এঞ্জয় এ ব্যবহার করছেন এ আইডিয়া তিনি অনেক আগে অ্যাপল স্টোরেও কাজে লাগিয়েছেন একটু ভিন্ন ভাবে। অ্যাপল স্টোরকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে জনসন এ কৌশল প্রয়োগ করেন। একজন ক্রেতা অ্যাপল স্টোর থেকে পণ্য কেনার পরে সে পণ্যটি তার জন্যে অ্যাপল স্টোরের কর্মীরা সেট-আপ করে দেয়। একে বলা হচ্ছে “ফ্রি-ইন-স্টোর-অ্যাসিস্টেন্স।” স্টিভ জবস রন এর এ আইডিয়া নিয়ে প্রথম সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু এ সেবাটি চালু করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেখা গেল যে অ্যাপল স্টোর থেকে ক্রয়কৃত পণ্যের অর্ধেকের বেশি স্টোরেই সেট-আপ করে দেয়া হচ্ছে।
এ আইডিয়াটিকে নিয়েই রন এঞ্জয় গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে তার ওয়েবসাইটে বর্তমানে ৬০টি পণ্য রয়েছে। ক্রেতারা অনলাইনে পণ্যের অর্ডার দেবার পরে ঐ পণ্যটি নিয়ে একজন টেক-এক্সপার্ট উক্ত ক্রেতাকে তার পছন্দ মতো সময়ে এবং পছন্দ মতো জায়গায় ডেলিভারি করবেন। শুধু তাই নয় উক্ত টেক-এক্সপার্ট এক ঘন্টা ধরে ক্রেতার সাথে বসে তার পণ্যটি সেট আপ করে তাকে কিভাবে চালাতে হয় তাও দেখিয়ে দেবেন এবং এ সেবার জন্যে ক্রেতাকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে না। ধরা যাক এঞ্জয় থেকে আপনি নতুন স্মার্টফোন কিনেছেন। এখন আপনার পুরানো স্মার্টফোন থেকে যাবতীয় তথ্য নতুন স্মার্টফোনে নেবেন গো এঞ্জয় ডট কম এর টেক এক্সপার্টরা আপনাকে তা করতে সাহায্য করবে এবং নতুন ফোনের বিভিন্ন ফাংশন আপনাকে দেখিয়ে দেবে।
শুধু তাই নয়। এঞ্জয় টেক-এক্সপার্ট সেবাও দেবে। ৯৯ ডলারের বিনিময়ে একজন টেক-এক্সপার্ট এক ঘন্টা বসে ভোক্তাকে সব কিছু দেখিয়ে দেবেন।
এঞ্জয় এর ওয়েবসাইট ভিজিট করলেই হোম পেইজে ব্যাকগ্রাউণ্ডে একটি ভিডিও দেখবেন যেখানে দেখান হচ্ছে কিভাবে এঞ্জয় এর টেক এক্সপার্টরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ক্রেতাদেরকে জিনিস বুঝিয়ে দিচ্ছে এবং কিভাবে চালাতে হয় তা দেখিয়ে দিচ্ছে। এ পুরো প্রক্রিয়াটিকে তিনি “পার্সোনাল কমার্স” অভিহিত করছেন।
“E-commerce today is primarily logistics and convenience — you order today and, boom, get it tomorrow,” Mr. Johnson said in a recent interview at Enjoy’s headquarters, a bustling warehouse in Menlo Park, Calif. That model, he said, would remain a primary way people buy things, but smartphone-powered local delivery networks have also opened up a potential new way of shopping that Mr. Johnson calls “personal commerce.”
বর্তমানে ৬০ জন টেক এক্সপার্ট এঞ্জয়ে কাজ করছেন। তারা এঞ্জয়ের নিয়মিত বেতনভুক কর্মচারী। এদের সকলেই আগে অ্যাপল স্টোরে চাকরি করতেন। টিঅ্যাণ্ডটি, গো-প্রো, মাইক্রোসফট, স্যামসাং এবং হিউলেট প্যাকার্ডের সাথে এঞ্জয় এর চুক্তি আছে। এঞ্জয় এদের পণ্য বিক্রী করছে। এ পর্যন্ত এঞ্জয় বিনিয়োগকারীদের কাছে থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলার ফাণ্ড যোগাড় করেছে।
পোস্টমেইটসঃ
পোস্টমেইটস আরেকটি চমৎকার স্টার্ট-আপ (https://postmates.com)। যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি শহরে বর্তমানে এদের কার্যক্রম আছে। পোস্টমেইটস মূলত একটি অন-ডিমাণ্ড ডেলিভারি সার্ভিস। ২০১২ সালে এটি শুরু হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন আউটলেট থেকে পণ্য নিয়ে ডেলিভারি করে থাকে। ধরা যাক, আপনার এখন চাইনিজ খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি আপনার স্মার্টফোনের পোস্টমেটস অ্যাপ থেকে আপনার পছন্দের রেস্টুরেন্টের খাবার অর্ডার দিলেন। এবার পোস্টমেইটস এক ঘন্টা সময়ের মধ্যে এসে আপনার বাসায় খাবারটি দিয়ে যাবে। আপনাকে পণ্যের দাম, সার্ভিস ফি, ডেলিভারি ফি এবং বকশিস/টিপ দিতে হবে। ডেলিভারি ফি নির্ভর করে দূরত্বের উপরে। শুধু খাবার নয় পোস্টমেইটস এরকম নানা ধরণের পণ্য ডেলিভারি করে থাকে।
পোস্টমেইটস এখন আস্তে আস্তে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানীয় দোকান এবং রিটেইলের সাথে কাজ করছে। ক্রেতা পোস্টমেইটস ব্যবহার করে অ্যামাজন এর বদলে এসব রিটেইল স্টোর থেকে অর্ডার করতে পারে এবং পোস্টমেইটস এর এজেন্টরা বাসায় এসে ডেলিভারি দিয়ে যাবে। এর ফলে স্থানীয় রিটেইল স্টোরগুলো এখন অ্যামাজনের মতো ক্রেতার বাসায় একই দিনে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারছে।
ইন্সটাকার্ট এবং কার্বসাইডঃ
আরও দুটি স্টার্ট আপ প্রতিষ্ঠান ইন্সটাকার্ট (www.instacart.com) এবং কার্বসাইড (https://www.shopcurbside.com)। এ দুটি স্টার্ট আপ গ্রোসারি অর্থাৎ দৈনন্দিন নিত্যপণ্য ডেলিভারি করে থাকে। ইন্সটাকার্ট অনেকটা পোস্টমেইটস এর মতো। ক্রেতা কোন পণ্য অর্ডার করলে ইন্সটাকার্ট স্থানীয় দোকান বা শপিং মল থেকে পণ্যটি ক্রেতার কাছে ডেলিভারি দেয়। Forbes America’s Most Promising Companies তালিকায় ইন্সটাকার্ট এর নাম অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি প্রদেশে ইন্সটাকার্ট এর কার্যক্রম রয়েছে।
কার্বসাইড টার্গেট (www.target.com) নামে একটি ডিসকাউন্ট রিটেইল স্টোরের সাথে কাজ করছে। ক্রেতা পণ্য অর্ডার করলে কার্বসাইড নিকটস্থ টার্গেট স্টোর থেকে পণ্য কিনে বাসায় দিয়ে যায়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এসব প্রতিষ্ঠান কিভাবে অ্যামাজনের একচেটিয়া ব্যবসাকে রুখবে। উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো একটি বাজার বেছে নিয়েছে যেখানে অ্যামাজন তীব্রভাবে প্রতিযোগিতা করছে না। অ্যামাজন যুক্তরাষ্ট্রের রিটেইল ইন্ডাস্ট্রির সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। টার্গেট, ওয়ালমার্ট অ্যামাজনের প্রতিদ্বন্দ্বী। অ্যামাজনের সাথে এসব রিটেইল প্রতিষ্ঠানগুলো পেরে উঠছেনা কারণ অ্যামাজনের মতো তাদের একই দিনে পণ্য ডেলিভারি দেবার ব্যবস্থা নেই। এখন ইন্সটাকার্ট এবং কার্বসাইডের মতো স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠানগুলো এসব রিটেইল প্রতিষ্ঠানকে ক্রেতার বাসায় একই দিনে ডেলিভারি দেবার ক্ষমতা দিচ্ছে। এর ফলে তাদের ব্যবসা বাড়ছে।
অ্যামাজন বড় কোম্পানী সত্যি কিন্ত অনেক সময় দেখা যায় যে, ক্রেতা যেটা চায় অ্যামাজন সেটা দিতে পারে না। ক্রেতা হয়তো তার স্থানীয় বাজার থেকে জিনিস কেনা পছন্দ করে কিন্তু অ্যামাজনে সেটা করার সুযোগ নেই। অ্যামাজনের সাথে যেসব প্রতিষ্ঠানের চুক্তি আছে বা যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে তারা পণ্য সংগ্রহ করে সেসব পণ্যই সে ক্রেতাকে সরবরাহ করে। এটা করতে গিয়ে অ্যামাজন অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি করেছে এবং অনেককে ক্ষেপিয়ে দিয়েছে। ইন্সটাকার্ট ও কার্বসাইডের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতা করছেনা উলটো তারা স্থানীয় রিটেইল এবং প্রথাগত রিটেইল স্টোরের ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করছে। ক্রেতা যেখান থেকে চায় সেখান থেকে পণ্য এনে দিচ্ছে। এই যে যেখান থেকে ইচ্ছে সেখান থেকে কেনার স্বাধীনতা এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার।
অ্যামাজনেরও ব্যর্থতা আছেঃ
অ্যামাজন সবসময়ে বিভিন্ন ধরণের পণ্য ও সেবা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে। অ্যামাজনের অনেক পণ্য আছে যেগুলোর পিছনে অ্যামাজন অনেক টাকা ঢেলেছে কিন্ত সে সব পণ্য জনপ্রিয়তা পায় নি। এরকম কয়েকটি উদাহারণ হচ্ছে অ্যামাজন ফায়ার ফোন, অ্যামাজন কিন্ডল ফায়ার ট্যাবলেট পিসি, ফায়ার টিভি কোনটিই সাফল্যের মুখ দেখেনি।
অ্যামাজনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জঃ
অ্যামাজনের জন্যে সামনে আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে অ্যামাজন এখনো পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের লাভের মুখ দেখাতে পারে নি। অ্যামাজন এ পর্যন্ত যা আয় করেছে তার সবটুকুই সে বাজার বিস্তারের জন্যে কাজে লাগিয়েছে যেমন-অবকাঠামো বৃদ্ধি, নতুন সেবা সৃষ্টি ও সেবা প্রদান ইত্যাদি। কিন্তু অন্যান্য রিটেইল প্রতিষ্ঠান যেমন-ওয়ালমার্ট তার বিনিয়োগকারীদের লাভ করে দেখিয়েছে। এখন পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা অ্যামাজনের এ নীতি নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলেনি কিন্তু এ অবস্থা চিরকাল থাকবে না। তখন দেখা যাবে, অ্যামাজন এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে কতটা সফল হয়।
ওয়ালমার্ট নিয়ে আমার পূর্বের লেখার লিঙ্কঃ
সূত্রঃ
www.nytimes.com/2014/12/18/technology/personaltech/amazon-not-as-unstoppable-as-it-may-appear.html
http://techcrunch.com/2012/07/02/postmates-courier-for-a-day/
www.macrumors.com/2015/05/06/ron-johnson-talks-enjoy-apple-ahrendts/
www.fastcompany.com/3039887/under-fire
8,553 total views, 2 views today