প্রতিষ্ঠানের নাম: অটো গ্রুপ

মূল অফিসঃ হামবুর্গ জার্মানী

কর্মচারীর সংখ্যা: ৫৪,২৫৭ (ফেব্রুয়ারি ২০১৪)

ওয়েবসাইটঃ www.ottogroup.com/en/

অটোগ্রুপ জার্মানীর প্রথম সারির একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি একটি পারিবারিক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। অনেকটা ভারতের টাটা গ্রুপের মতো। অটো গ্রুপে চাকরি করা অনেক জার্মানের জন্যে স্বপ্নের ব্যাপার। কারণ প্রতিষ্ঠানটি তাদের কর্মচারীদের বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে আর  এ জন্যে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরাও কখনো স্ট্রাইক করে নি। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারদের বলা আছে যে তারা যেন উইক-এণ্ড বা অন্যান্য ছুটিতে কাজ না করে।প্রতিষ্ঠানটি ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবসা করছে এর অর্জনও বিশাল। এটি বিশ্বের বৃহত্তম মেইল-অর্ডার রিটেইল অপারেটর।

Otto Group growth 2011-2014

গত বছরে ই-কমার্স থেকে অটো গ্রুপ আয় করেছে ৬.৫ বিলিয়ন ইউরো। ২০১৩ সালে তাদের আয় ছিল ৬ বিলিয়ন ইউরো। তাদের ই-কমার্স ব্যবসার আয়ের ৬৪.৬% আসে জার্মানী থেকে। এ বছরে তারা ই-কমার্স ব্যবসায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। ডঃ মাইকেল অটো এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং সুপারভাইজরি বোর্ডের চেয়ারম্যান। তাঁর বাবা ওয়ার্ণার অটো এ ব্যবসা শুরু করেন। আজকে অটোগ্রুপ যে অবস্থানে পৌছেছে তাতে ওয়ার্ণার অটো এবং মাইকেল অটোর বিশাল অবদান রয়েছে।

শুরুর কথাঃ

অটোগ্রুপের শুরুটা ছিল খুবই সাধারণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে মাইকেল অটোর বাবা প্রফেসর ডঃ এইচ সি ওয়ার্ণার অটো হামবুর্গে এসে ব্যবসা শুরু করেন। তখন তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। মাইকেল অটো তার মায়ের সাথে থাকতেন। অনেক রাত তিনি না খেয়ে কাটিয়েছেন। ওয়ার্ণার অটো নানা ধরণের ব্যবসা করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু কোনটিতেই সফল হন নি। এরপরে ১৯৪৯ সালে তার মাথায় একটি নতুন আইডিয়া আসল। তিনি ১৪ পৃষ্ঠার একটি মেইল অর্ডার ক্যাটালগ নিজহাতে তৈরি করলেন এবং তাতে আঠা দিয়ে ২৮ জোড়া জুতোর ছবি লাগালেন এবং দাম লিখে দিলেন। এরপরে তিনি হাতে লিখে এরকম ৩০০টি কপি তৈরি করে হ্যামবুর্গ শহরের লোকদের মধ্যে বিতরণ করলেন। ১৯৫০ এর দিকে তার এ ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে উঠতে লাগল কারণ তখন জার্মানীর অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে। আস্তে আস্তে অটো জার্মানীর সবচেয়ে বড় মেইল অর্ডার ক্যাটালগ ব্যবসা হয়ে দাড়াল। ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি ১০ লক্ষের বেশি ক্যাটালগ বিতরণ করে এবং প্রতিটি ক্যাটালগ ছিল ৭৪৮ পৃষ্ঠার।

১৯৬৫ সালে ওয়ার্ণার অটো ইসিই প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট নামে একটি রিয়েল-এস্টেট প্রতিষ্ঠান খোলেন। বর্তমানে এটি ইউরোপের বৃহত্তম রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। এ প্রতিষ্ঠানটি ইউরোপে বড় বড় শপিং মল নির্মাণ করে থাকে। ১৯৭০ এর দশকে জার্মানীর পোস্টঅফিসের কর্মকর্তারা প্রায়ই স্ট্রাইকে যেতেন এবং এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভীষণ ক্ষতি হতে লাগল। এ সমস্যা সমাধানে অটো নিজেই ডেলিভারি সার্ভিস শুরু করলেন। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানটি হার্মেস (www.hermesworld.com/us/ ) ইউরোপের সবচেয়ে বড় লজিস্টিক্স প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। প্রতিষ্ঠানটির বাৎসরিক আয় ১.৫ বিলিয়ন। এটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য ডেলিভারি করে থাকে যার মধ্যে অ্যামাজনও আছে। ওয়ার্ণার অটো ১০২ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন।

Dr Michael Otto

মাইকেল অটো

 

মাইকেল অটো ১৯৭১ সালে ২৮ বছর পৈত্রিক ব্যবসায় যোগদান করেন। তিনি নিজে একটি রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করেন এবং সে প্রতিষ্ঠানের আয় দিয়ে তিনি তার পড়াশোনার খরচ মেটান। পরে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রীও অর্জন করেন। ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি বিশাল সাফল্য অর্জন করেছেন। এত টাকা আয় করার পরেও মাইকেল অটো খুবই সাধারণ জীবন-যাপন করেন। তিনি অল্প দামের স্যুট পরেন। তার প্রিয় শখ বাগান করা এবং ঘুরে বেড়ানো।

অটোগ্রুপের ব্যবসাঃ

অটো গ্রুপের ব্যবসা মূলত তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত। প্রতিষ্ঠানটির ১২৩টি সাবসিডিয়ারি তিনভাগে বিভক্ত। বিশ্বের ২০টির বেশি দেশে অটো গ্রুপের ব্যবসা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ভাগ গুলো হচ্ছে

  • মাল্টি-চ্যানেল রিটেইল: এটি হচ্ছে অটো গ্রুপের মূল ব্যবসা। জার্মানী সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রতিষ্ঠানটি ই-কমার্স, ক্যাটালগ এবং দোকানের মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে পণ্য বিক্রী করে থাকে। প্রয়োজন ও সুবিধা অনুযায়ী ভোক্তারা এসব চ্যানেল থেকে পণ্য ক্রয় করে থাকে। জনপ্রিয় পণ্যের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফ্যাশন, ফুটওয়্যার, লাইফস্টাইল পণ্য, ফার্ণিচার, ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন আইটেম, খেলনা, প্রযুক্তি পণ্য, খেলার সামগ্রী ও অন্যান্য।
  • ফিন্যান্সিয়াল সেবাঃ অটোগ্রুপ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রিটেইল এর সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ফিন্যান্সিয়াল সেবা প্রদান করে থাকে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ভোক্তা ক্রেডিট, লিকুইডিটি ম্যানেজমেন্ট এবং পেমেন্ট।
  • অন্যান্য সেবা: এ ব্যবসার মধ্যে আছে লজিস্টিক্স এবং প্রকিউরমেন্ট সম্পর্কিত সেবা সমূহ।

অটোগ্রুপ এবং ই-কমার্সঃ

অটোগ্রুপ অনলাইনে ব্যবসা শুরু করে ১৯৯৫ সালে। ঐ একই বছরে অ্যামাজনও তাদের অনলাইন ব্যবসা শুরু করে। বর্তমানে অটোগ্রুপের বিক্রীর সিংহভাগ ইন্টারনেটের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়ে থাকে। তাদের মোট বিক্রীর ৫০% ১০০টি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সম্পাদিত হয়ে থাকে। অটোগ্রুপ বর্তমানে বিশ্বে ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল পণ্যের  বিশ্বের বৃহত্তম বি-টু-সি প্রতিষ্ঠান। অনলাইনে ব্যবসার দিক থেকে অ্যামাজনের পরে আছে অটো গ্রুপ। জার্মানীতে এটি সবচেয়ে বড় বি-টু-সি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান।  অটোগ্রুপের ই-কমার্স ব্যবসা কৌশল তিনটি মূল ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত

  • মাল্টি-চ্যানেল ব্র্যাণ্ডঃ অটোগ্রুপের বিভিন্ন মাল্টিচ্যানেল ব্র্যাণ্ড আছে। এসব ব্র্যাণ্ডের পণ্য প্রথাগত দোকান এবং সেলস ক্যাটালগ, এবং অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রী করা হয়। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্র্যাণ্ড হচ্ছে- OTTO, Bonprix, SportScheck, Witt, Crate and Barrel। ৬০ টি অনলাইন স্টোরে এসব ব্র্যাণ্ডের পণ্য বিক্রি হয়ে থাকে। একে বলা হচ্ছে “Everywhere-commerce.” এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি প্রতিনিয়ত নতুন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এখন মোবাইল কমার্সের জয়-জয়কার। অটোগ্রুপ তাদের ওয়েবপেইজ এবং স্টোরকে মোবাইল ডিভাইসের জন্যে নতুন করে ডিজাইন করেছে। এছাড়াও অ্যাপ্লিকেশন ডেভেনলপমেন্ট সহ নতুন নতুন নানা ধরণের সেবা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্রেতাকে তার সুবিধা এবং পছন্দমতো জায়গায় পণ্য পৌছে দিচ্ছে।
  • অনলাইনে স্বতন্ত্র স্টোর প্রতিষ্ঠাঃ অটোগ্রুপ অনলাইন স্টোর প্রতিষ্ঠা করেছে। এসব স্টোর জার্মানী ছাড়াও ইউরোপ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য বিক্রী করছে। এসব অনলাইন স্টোরকে কিভাবে আরও ক্রেতা-বান্ধব করে তোলা যায় এবং কিভাবে অনলাইনে ক্রেতাকে আরো ভাল সেবা দেয়া যায় সে লক্ষে নতুন প্রযুক্তি ও সেবা উদ্ভাবন সহ নানা বিষয়ে অটোগ্রুপ কাজ করে যাচ্ছে। উদাহারণ স্বরূপ বলা যায় মিরাপড (www.mirapodo.de ) অনলাইন স্টোরের কথা। এটি জুতা বিক্রী করে। ২০০৯ সালে এটি চালু করা হয়। এ ওয়েবসাইটে “Shoe Compass” নামে একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ক্রেতা জুতা কেনার সময়ে শু-কম্পাস ব্যবহার করে বলতে পারবে যে জুতা তার পায়ের মাপে হবে নাকি হবে না। পণ্য ক্রয়ের ১০০ দিনের মধ্যে পণ্য ফেরত দেয়া যায় এবং কোন চার্জ ছাড়াই। এছাড়াও ব্লগ এবং ফেইসবুকের মাধ্যমে মিরাপড ক্রেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে এবং তাদের নতুন পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের অবহিত করে। আবার ই-কমার্স অটোগ্রুপের প্রথাগত ব্যবসা অর্থাৎ রিটেইল এবং ক্যাটালগ বিস্তার করতে  সাহায্য করে। যেমন- মাই-টয়েজ (www.mytoys.de) অটোগ্রুপের সবচেয়ে সফল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলোর একটি। ১৯৯৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখানে বাচ্চাদের খেলনা বিক্রী করা হয়। বর্তমানে এটি জার্মানীতে বাচ্চাদের খেলনার সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন শপ। অনলাইনে সফল হবার পরে তাদের নিজস্ব রিটেইল আউটলেট চালু করেছে। ২০১০ সালে মহিলাদের ফ্যাশন পণ্যের অনলাইন শপ অ্যাম্বেলিস (www.ambellis.de ) চালু হয়। মিরাপড এবং অ্যাম্বেলিস মাইটয়েজ এর সাবসিডিয়ারি।২০১৩ সাল অটোগ্রুপ মাল্টিশপ কনসেপ্ট চালু করে। এতে করে একজন ক্রেতা একই সাথে মাইটয়েজ, মিরাপড এবং অ্যাম্বেলিস এর থেকে একসাথে অনলাইনে শপিং করতে পারবেন। ক্রেতা একই শপিং কার্টে এবং একটি অ্যাকাউন্ট থেকে এ তিনটি অনলাইন স্টোরে পণ্য কিনতে পারবে।
  • ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং ইনকিউবেশনঃ অটোগ্রুপ সবসময়ে নতুন ব্যবসায় বিনিয়োগ করে থাকে। অটোগ্রুপ তাদের ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানী ই-ভেঞ্চারস (www.eventures.vc) এর মাধ্যমে ইউরোপ, এশিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকাতে বিভিন্ন স্টার্ট-আপে বিনিয়োগ করে থাকে। প্রজেক্ট এ-ভেঞ্চার্স (www.project-a.com/welcome/ ) অটোগ্রুপের একটি সাবসিডিয়ারি। এটি একটি স্টার্ট-আপ ইনকিউবেটর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদেরকে তাদের ই-কমার্স ব্যবসা গড়তে সাহায্য করে প্রজেক্ট এ-ভেঞ্চার্স।

অ্যামাজনের সাথে প্রতিযোগিতাঃ  

দীর্ঘদিন ধরে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা করে আসলেও অটো গ্রুপ এখন বিশাল প্রতিদ্বন্দ্বীতার সম্মুখীন হয়েছে আর এ প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নয় অ্যামাজন ডট কম। ২০১৩ সালে জার্মানীতে অ্যামাজন অটো গ্রুপের থেকে বেশি বিক্রী করে। ঐ বছরে অ্যামাজনের বিক্রী ছিল ১০.৫ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে অটো বিক্রী করে ৯ বিলিয়ন ডলার। মন্দার পরে অটোগ্রুপের বিক্রী জার্মানীতে বেড়েছে ১৭% আর অ্যামাজনের বিক্রী ২০১০ সাল থেকে দ্বিগুণ হারে বেড়ে চলেছে।

অ্যামাজনের ফুলফিলমেন্ট সেন্টারের মাধ্যমে অর্ডার সরবরাহ করে থাকে। বিভিন্ন শহরে তাদের এসব ফুলফিলমেন্ট সেন্টার রয়েছে যেখানে কোটি কোটি ডলারের পণ্য রাখা। এসব ফুলফিলমেন্ট সেন্টার গুলোতে লোকদের প্রচণ্ড চাপের মধ্যে কাজ করতে হয় এবং পরিবেশও তেমন ভাল না। উল্লেখ্য যে, এ খারাপ কাজের পরিবেশের জন্যে ২০১৩ সালে জার্মানীতে অ্যামাজনের ফুলফিলমেন্ট সেন্টারের কর্মীরা স্ট্রাইক করে।কিন্তু এসব সমস্যার পরেও অ্যামাজন অটো গ্রুপকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মঃ

Benjamin-Otto-1

বেঞ্জামিন অটো

মাইকেল অটোর এখন বয়স হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী প্রজন্ম এখন ব্যবসার হাল ধরছে। মাইকেল অটোর ছেলে বেঞ্জামিন অটো এখন অটো গ্রুপের ম্যানেজিং পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বেঞ্জামিন অটো গ্রুপের অন্যতম সফল সাবসিডিয়ারি কলিন্স (www.project-collins.com) এর সিইও হিসেবে কাজ করেছেন। কলিন্স একটি ফ্যাশন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। বেঞ্জামিন কলিন্সের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

ব্যবসা বিস্তারঃ 

অটো গ্রুপ আস্তে আস্তে তাদের ব্যবসা বাড়াচ্ছে। অটোগ্রুপ অনলাইনে গাড়ির টায়ার বিক্রেতা টিরেন্ডো (www.tirendo.com ) -তে বিনিয়োগ করেছে। এছাড়াও তারা ইয়াপিটাল (www.yapital.com/ ) নামে একটি ডিজিটাল ওয়ালেট চালু করেছে। ব্রাজিলে এটি এখন ব্যবসা করছে। ভবিষ্যতে চীন, মেক্সিকো এবং ভারতের বাজারেও ইয়াপিটাল প্রবেশ করবার উদ্যোগ নিয়েছে।

সূত্রঃ

অটোগ্রুপ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

ফোর্বস

ইন্টারনেট রিটেইলার

11,251 total views, 5 views today

Comments

comments