cloud

ই-ক্যাব এ আজ আমার দ্বিতীয় পোস্ট। শুধুমাত্র হোস্টিং নিয়ে আলোচনা করব। আমার প্রথম পোস্ট এ আমি আলোচনা করেছিলাম ওয়েবসাইট তৈরির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। যারা পরেন নি তারা পরে আসতে পারেন আগের পোস্ট টি নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করে।

আগের পোস্টঃ  ই – কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির সম্পূর্ণ গাইড লাইন

যারা এই পোস্ট টি পরছেন তাঁদের অনেকেই ই-কমার্স সাইট তৈরী করছেন, ভবিষ্যতে করবেন। ই-কমার্স  অনেকে আবার সাইট তৈরীর অভিজ্ঞতা থাকায় বিভিন্ন ই-কমার্স থিম ইমপ্লেমেন্ট করে ই-কমার্স ব্যবসায় নামছেন। দুঃখ জনক হলেও সত্য বাংলাদেশের ই-কমার্স সাইট গুলো দেখলেই বুঝা যায় অধিকাংশ সাইট ই ভিজিটর কে ভালো কিছু দিচ্ছে না বা খুব গুরুত্ব দিয়ে তাদের সাইট ডেভেলপ করে না। যারা বিজনেস কঠোর ভাবে নিয়েছি তারা একটা পাওয়ারফুল ওয়েব ইঞ্জিন নিয়ে নেমেছে। আবার ওনেকেই সল্প জ্ঞান নিয়ে সখের বসে সখের ই-কমার্স দোকান নিয়ে মার্কেটে নামছি। একটা ই -কমার্স এর হোম পেজ টা কেমন হওয়া উচিত, প্রোডাক্ট পেজ টা কেমন হবে, কি কি থাকতে হবে, এ ব্যাপারে আমাদের চিন্তা কতদূর। একটা সাইট কে ভিসিটর এর কাছে ট্রাস্ট করাতে কি কি থাকা দরকার তাই ই বা কতটুকু আছে আমাদের সাইট এ। এছাড়াও রয়েছে অনেক ফ্যাক্টর। যেহুতু শুধু ই- কমার্স সাইট এর হোস্টিং নিয়ে আলোচনা করব সেহুতু অন্য বিষয় গুলো এই পোস্ট বাদ দিলাম।

 

হোস্টিং এর জন্য ই – কমার্সে কি কি সমস্যার মুখে পড়তে হয়?


সাইট এর আপটাইমঃ আপনারা হয়ত জানবেন পহেলা সেপ্টেম্বর ২০১৫ ব্র্যানোর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে “হ্যাপি সেল ডে” র ঘোষণা দেয়া হয় দুই সপ্তাহ আগে। তারা আগেই নিখুঁত পরিকল্পনা করে রেখেছিলো। তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি প্রস্তুতি সম্পর্কে তাদের অপারেশন হেড সাগর দে বলেন – ” ব্র্যানো সবসময় ১৬টি প্রসেসরযুক্ত ৩২জিবি র্যাম সম্পন্ন সার্ভার ব্যবহার করে। কিন্তু “হ্যাপি সেল ডে” উপলক্ষে বাড়তি সাবধানতা হিসাবে সার্ভার মেমোরি দ্বিগুণ করা হয় এবং সার্ভারকে ২৪X৭ ঘণ্টা নজরদারিতে রাখা ছিলো যাতে করে কোন রকমের হ্যাকিং অথবা সার্ভার ডাউনটাইমের শিকার না হয়।  ব্রানো.কম এ রয়েছে দক্ষ সার্ভার নিয়ন্ত্রক। সাইট এর আপটাইম ঠিক রাখতে প্রয়োজনে সার্ভার মেমোরি বারাতে হয়। নাহলে সাইট ডাউন হয়ে যাবে যাতে ভিজিটর আপনার সাইট এ ঢুকতে পারবেনা।

সাইট লোডিং টাইমঃ লোডিং,,,,লোডিং,,,,লোডিং, এভাবে সাইট রেসপনস করলে ভিসিটর থাকতে চাইবে না। বিশ্ব খ্যাত ই-কমার্স আমাজন এর সাইট যদি লোড হতে ১ সেকেন্ড লেট হয় এতে বছরে কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হয় আমাজনের।(সুত্র:ইন্টারনেট)

লিমিটেড রিসোর্স এর কারণে সাইট বন্ধঃ  সাধারণত হোস্টিং এর ব্যান্ডউইথ, র্যাম, সি পি ইউ বাবহারে লিমিট থাকে। লিমিট পর্যন্ত পৌঁছে গেলে সাইট বন্ধ হয়ে যায়। ধরুন আমি আজ বসুন্ধারা মার্কেট আজ খলা থাকার কথা কিন্তু গিয়ে দেখলাম বন্ধ আছে। তাহলে পরের বার কষ্ট করে আর ঐ মার্কেটে যেতে ইচ্ছা করবেনা। তেমনি আপনার সাইট বন্ধ থাকলে প্রচুর কাস্টমার এভাবেই হারাবেন।

সিকুরিটিঃ শেয়ারড হোস্টিং এ একই সার্ভারে অনেকের সাইট থাকায় সাইট এর সিকুরিটি নেই বললেই চলে কারণ হ্যাকার যদি WHM এক্সেস নিয়ে নিতে পারে তাহলে সব সাইট তাঁর দখলে চলে যাবে।

 

এসব সমস্যার সমাধান কি হতে পারে ?


সার্ভার আপটাইমঃ অনেকেই মনে করেন অতিরিক্ত সার্ভার এর বাবস্থা করা বা ডেডিকেটেড হোস্টিং ব্যাবহার করাই সাইট সব সময় সচল রাখে আসলে ব্যাপারটা অনেকটা এরকম হলেও কম খরচে আরও সহজেই সাইট এর আপটাইম ঠিক রাখা যায়। এখানে আপনাকে সাহায্য করবে ক্লাউড হোস্টিং। ক্লাউড টেকনোলজি ব্যাবহারের মাধ্যমে আপনার সাইট একটি সার্ভারে সীমাবদ্ধ থাকেনা পৃথক পৃথক সার্ভারে সাইট সংরক্ষিত হয়। র্যাম, সি পি ইউ ইউজ ইত্যাদির লিমিট শেষ হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে অতিরিক্ত র্যাম , ব্যান্ডউইথ যুক্ত হবে সুতরাং ঠিক যত টুকু প্রয়োজন ততটুকের ই বিল দিতে হবে অতিরিক্ত বিল প্রদান করতে হবেনা। আর যেহুতু সম্পূর্ণ প্রসেস অটোমেটিক তাই সার্ভার ম্যানেজ করতে বা মনিটরিং করতে কাউকে রাখতে হবেনা। সুতরাং স্বল্প খরচেই সার্ভার আপটাইম ঠিক রাখতে পারবেন।

সাইট লোডিং টাইম কিভাবে কমাবেনঃ প্রথমেই সাইট লোডিং টাইম নির্ভর করে ভাল হোস্টিং এর উপর। তাই বুঝে শুনে হোস্টিং নির্বাচন করুন। তাছারা অতিরিক্ত জাভাস্ক্রিপ্ট এর ব্যাবহার কমাতে হবে সাইট যতটা সম্ভব লাইট রাখা ভাল। সাইট এর স্ট্যাটিক কন্টেন্ট পৃথক সার্ভার থেকে লোড করালে স্পিড অনেক বেশি পাওয়া যায়। ই- ক্যাব রেজিস্টার্ড হোস্টিং কোম্পানিও এরুপ সেবা প্রদান করে। এছাড়াও CDN সার্ভিস ব্যাবহার করতে পারেন।

লিমিটেড রিসোর্স এর কারনে সাইট বন্ধ হওয়াঃ এখানেও আপনাকে সাহায্য করবে ক্লাউড হোস্টিং কারণ প্রয়োজনে অটোমেটিক রিসোর্স যুক্ত হতে থাকবে। তাই আপনি থাকবেন চিন্তামুক্ত।

রাজীব স্যার এর থেকে শুনেছিলাম ই -কমার্স ব্যাবসার প্রধান সমস্যা প্রোডাক্ট ডেলিভারি এবং ওয়েব হোস্টিং আশা করি ক্লাউড হোস্টিং ব্যাবহার করলে হোস্টিং সমস্যা থেকে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।  আশা করি লিখাটি কাজে আসবে। ই-কমার্স ব্যবসায় নামতে হলে নামার মত নামুন কম দামী হোস্টিং দিয়ে শুরু না করে ভাল মতোই শুরু করুন। তবে সাবধান অনেক পরিচিত কোম্পানি ক্লাউডের নামে শেয়ারড KVM হোস্টিং দেয়। তাই ভাল ভাবে জেনে তারপর ব্যাবহার করবেন। ই ক্যাব রেজিস্টার্ড ক্লাউড হোস্টিং কোম্পানি আছে প্রয়োজনে তাঁদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।  ক্লাউড হোস্টিং সম্পর্কে আরও জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন।

ফেসবুক এ আমিঃ Zaied Sifat

 

 

7,202 total views, 2 views today

Comments

comments