আজকে আলিবাবা গ্রুপ নিয়ে ব্লগে পোস্ট দিলাম। আলিবাবা বিশাল একটি প্রতিষ্ঠান এবং একটি পোস্টে আলিবাবা নিয়ে সব কিছু লেখা সম্ভব নয়। তাই কয়েকটি পোস্টে আলিবাবা সম্পর্কে লেখা দেব। এটি সিরিজের প্রথম পোস্ট। এখানে আলিবাবা, এর ইতিহাস এবং ব্যবসা সম্পর্কে পাঠক প্রাথমিক ধারণা পাবেন।
আলিবাবা লোগো
প্রতিষ্ঠানের নাম: আলিবাবা গ্রুপ হোল্ডিং লিমিটেড
প্রতিষ্ঠাতা: জ্যাক মা
প্রতিষ্ঠা কাল: ১৯৯৯
মিশন: “To make it easy to do business anywhere” আলিবাবার প্রথম থেকেই ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি তাদের ব্যবসাও আরো বাড়াতে পারবে।
অফিস: আলিবাবা গ্রুপের কর্পোরেট ক্যাম্পাস হাংঝু প্রদেশের জিজি (Xixi ) জেলাতে অবস্থিত। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী (মার্চ৩১, ২০১৫) শুধুমাত্র চীনেই আলিবাবা গ্রুপের ১২৬টি অফিস এবং ২৯টি আন্তর্জাতিক অফিস আছে।
ওয়েবসাইট: http://www.alibabagroup.com/en/global/home
কর্মচারী সংখ্যা: সর্বমোট ৩৪,৯৮৫ জন ফুল-টাইম কর্মচারী (মার্চ ৩১, ২০১৫)
অর্থবছর: মার্চ ৩১
আলিবাবা নামকরণের কারণ:
জ্যাক মা তার প্রতিষ্ঠানের নাম আলিবাবা রাখার পিছনে কারণ হচ্ছে। আলিবাবা চরিত্রটি জনপ্রিয় এবং বিশ্বের অনেক দেশের মানুষ আলিবাবার গল্প জানে এবং এটি উচ্চারণ করাও সোজা। যারাই আলিবাবা চল্লিশ চোরের গল্প পড়েছেন তারাই জানেন সেই বিখ্যাত “খুল যা সিমসিম” মানে দরজা খুলে গেলেই জীবন বদলে গেল। ঠিক তেমনিভাবে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আলিবাবা ডট কম ছোট উদ্যোক্তাদের জন্যে সম্ভাবনার বিশাল দুয়ার উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
শুরুর কথা:
১৯৯৯ সালে জ্যাক মা মাত্র ১৮ জন কর্মচারী নিয়ে তার অ্যাপার্টমেন্টে আলিবাবা গ্রুপ শুরু করেন। জ্যাক মা এর আগে চীনের হাংঝু-তে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। আলিবাবা গ্রুপ প্রথম একটি বি-টু-বি সাইট হিসেবে শুরু করে। চীনের পণ্য রপ্তানিকারক এবং উদ্যোক্তাদের অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে আলিবাবা ডট কম এর যাত্রা শুরু হয়। ঐ বছরেই আলিবাবা চায়না মার্কেট নামে একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস চালু করে। আলিবাবা একটি বিনিয়োগ কনসোর্টিয়াম থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার পান।
সফট ব্যাঙ্ক সিইও মাসায়োসি সন এর সাথে জ্যাক মা
২০০০ সালে আলিবাবা ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পায়। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল জাপানের সফটব্যাঙ্ক।
২০০১ সালে আলিবাবার রেজিস্টার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা দশ লক্ষ অতিক্রম করে।
২০০৩ সালে জ্যাক মা এর অ্যাপার্টমেন্টে তাওবাও ডট কম অনলাইন মার্কেটপ্লেস চালু করা হয়।
২০০৪ সালে আলি-পে চালু করা হয়।
২০০৫ আলিবাবা গ্রুপ এবং ইয়াহু এর সাথে একটি স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশীপ করে।
২০০৬ তাওবাও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্চেন্ট এবং ক্রেতা কিভাবে অনলাইনে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করবে তার উপরে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
২০০৭ হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে আলিবাবার শেয়ার ছাড়া হয়।
২০০৮ আলিবাবা গ্রুপ গবেষণা ইন্সটিটিউট স্থাপিত হয়। তাওবাও মার্কেট প্লেসের সাথে তাওবাও মল চালু করা হয় (সংক্ষেপে টিমল)
২০০৯ আলিইয়ুন নামে আলিবাবা ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয় এবং আলিবাবা গ্রুপের দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত।
২০১০ চায়না মার্কেট প্লেস এর নাম বদলে ১৬৮৮ ডট কম করা হয়। এ বছরের মার্চে অনলাইন গ্রুপ বাইং মার্কেটপ্লেস জুহুয়াসুয়ান, এপ্রিলে আলিএক্সপ্রেস স্থাপিত হয়।
২০১১ তাওবাও মল আলাদা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চালু করা হয়। আগে এটি তাওবাও মার্কেটপ্লেসের অংশ হিসেবে ছিল।
২০১২ সালে তাওবাও এর দশম বর্ষপূর্তি উদযাপিত হয় এবং এ উপলক্ষে চীন ও চীনের বাইরে থেকে আলিবাবা গ্রুপের কর্মচারীরা হাংঝুতে আসে। আগস্ট মাসে আলিবাবা গ্রুপ জিজি জেলাতে তাদের কর্পোরটে হেডকোয়ার্টার স্থানান্তরিত করে।
২০১৪ ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক ব্র্যাণ্ডের পণ্য চীনের ক্রেতাদের কাছে বিক্রী করার জন্যে টিমলের নতুন প্ল্যাটফর্ম টিমল গ্লোবাল চালু করা হয়। জুন মাসে মুভি এবং টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রোডাকশন প্রতিষ্ঠান চায়নাভিশন এর ৬০% স্টেইক ক্রয় করে। বর্তমানে এটি আলিবাবা পিকচার্স গ্রুপ নামে পরিচিত। জুন মাসে ইনটাইম নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে জয়েন্ট ভেঞ্চারে চীনে অনলাইন-টু-অফলাইন ব্যবসা শুরু করে। ঐ বছরের সেপ্টেম্বরে আলিবাবা গ্রুপ নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে তাদের শেয়ার ছাড়ে। প্রথম দিনেই আইপিও থেকে ২ হাজার ১১৮ কোটি টাকা আয় করে আলিবাবা। এরপরে আরো ৪ কোটি ৮০ লক্ষ শেয়ার বাজারে ছাড়া হয়। সব মিলিয়ে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তহবিল সংগ্রহ করে যা বিশ্বের শেয়ার বাজারের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। অক্টোবর মাসে অ্যান্ট ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস গ্রুপ চালু হয় ।
সাবসিডিয়ারি সমূহ:
তাওবাও মার্কেটপ্লেস: ২০০৩ সালে তাওবাও মার্কেটপ্লেস চালু হয়। যুক্তরাষ্ট্রে যেরকম অ্যামাজন ডট কম। চীনে তাওবাও ডট কম। যুক্তরাষ্ট্রে ই-বে এর মতো তাওবাও ডট কম এ অনেক মার্চেন্ট স্টোর খুলে পণ্য বিক্রী করে থাকেন। তবে ই-বে এর মতো এখানে নিলাম করা যায় না। সব পণ্যের মূল পূর্ব নির্ধারিত।তাওবাও এর মূল আকর্ষণ হচ্ছে এখানে কম দামে অনেক ধরণের পণ্য পাওয়া যায়।
টিমল ডট কম: ২০০৮ এর এপ্রিলে টিমল ডট কম চালু করা হয়। এটি একটি বি-টু-সি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ব্র্যাণ্ড চীনের ক্রেতাদের কাছে তাদের পণ্য বিক্রী করে থাকে। এনবিএ, পুমা, সনি, লিভাইস (জিন্স ব্র্যাণ্ড) এর মতো বিখ্যাত ব্র্যাণ্ড গুলো তাদের পণ্য টিমল-এ বিক্রী করে থাকে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান আই রিসার্চ এর মত ২০১৪ সালে বিক্রীর দিক থেকে চীনের বৃহত্তম থার্ড-পার্টি প্ল্যাটফর্ম ছিল টিমল।
টিমল এর ইংরেজি ওয়েবসাইট: http://about.tmall.com/tmallglobal?spm=0.0.0.0.udG5cX#place
জুহুয়াসুয়ান: ২০১০ সালে জুহুয়াসুয়ান প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি একটি ডেইলি ডিল সাইট যেখানে বিভিন্ন ধরণের পণ্য আকর্ষণীয় ডিসকাউন্টে বিক্রী করা হয়। এটি বর্তমানে চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন গ্রুপ বাইং মার্কেটপ্লেস। ২০১১ সালে এটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ শুরু করে। ২০১৩ সালে হংকং এবং তাইওয়ানে জুহুয়াসুয়ান সেবা প্রদান শুরু করে।
আলি এক্সপ্রেস: ২০১০ সালে আলি এক্সপ্রেস চালু হয়। এটি একটি আন্তর্জাতিক রিটেইল মার্কেটপ্লেস যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা চীনের হোলসেলার এবং পণ্য উৎপাদকদের কাছে থেকে সরাসরি পণ্য ক্রয় করতে পারে। বিশ্বের ২০০টি দেশে আলিএক্সপ্রেস পণ্য সরবরাহ করে থাকে যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং রাশিয়া অন্যতম। বেশিরভাগ পণ্যই ফ্রি-শিপিং দেয়া হয় কিন্তু কিছু কিছু দেশে ক্রেতাদের ডেলিভারি পেতে একমাস অপেক্ষা করতে হয়। ২০১০ সালে আলিএক্সপ্রেস চালু হলে একই সময়ে এর একটি রাশিয়ান ভার্সনও চালু করা হয়। বর্তমানে আলি এক্সপ্রেস রাশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট। রাশিয়ার ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্যে বিগত তিন বছরে আলি এক্সপ্রেস রাশিয়ার বিভিন্ন পেমেন্ট সল্যুশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে পার্টনারশিপ করেছে। এছাড়াও ভোক্তাদের হাতে দ্রুত পণ্য পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে এ বছরের শুরু আলিবাবা রাশিয়ান ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান এসপিএসআর এক্সপ্রেস এর সাথে যুক্ত হয়।
আলিবাবা ডট কম: আলিবাবা ডট কম আলিবাবা গ্রুপের প্রথম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৯ সালে এটি চালু করা হয়। বর্তমানে এটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় খুচরা পণ্য বিক্রেতা। আলিবাবা ডট কম এ ৪০টির বেশি ক্যাটেগরিতে লক্ষ লক্ষ পণ্য আছে। বিশ্বের ১৯০টির বেশি দেশের ক্রেতা এবং সাপ্লায়ারদের কাছে আলিবাবা ডট কম পণ্য বিক্রী করে থাকে। চীন, ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র এবং থাইল্যাণ্ডের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনকারী ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান আলিবাবা ডট কম এ তাদের পণ্য বিক্রী করে থাকে।
১৬৮৮ ডট কম: ১৯৯৯ সালে ১৬৮৮ ডট কম চালু হয়। আলিবাবা ডট কম এর মতো এটিও একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় অনলাইন খুচরা বাজার যেখান থেকে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পণ্য ক্রয় করে থাকে তবে এর ধরণটা একটু ভিন্ন। যেসব মার্চেন্টরা আলিবাবা গ্রুপের বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রয় করে থাকেন (তাওবাও ডট কম, টিমল ডট কম) তারা ১৬৮৮ ডট কম এর মাধ্যমে চীনের স্থানীয় হোলসেল প্রতিষ্ঠানের কাছ থাকে পণ্য ক্রয় করে থাকে। গত বছর থেকে চীনের স্থানীয় পণ্য সরবরাহকারীদের পাশাপাশি ১৬৮৮ ডট কম বিদেশি সাপ্লায়ারদের অন্তর্ভূক্ত করা শুরু করে। ওয়েবসাইটটি “Direct from Overseas Markets” প্রোগ্রামের আওতায় প্রথমবারের মতো তাইওয়ানের খুচরা বিক্রেতাদের পণ্য প্রদর্শন শুরু করে। ঐ বছরেই দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য এবং বেভারেজ বিক্রী করা শুরু করে। এ লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার মিনিস্ট্রি অভ এগ্রিকালচার, ফুড অ্যাণ্ড রুর্যাল অ্যাফেয়ার্স ১৬৮৮ ডট কমকে সহায়তা করে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, স্পেন, পর্তুগাল, ইতালি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিলাসবহুল ব্র্যাণ্ডের পণ্যও এখন ১৬৮৮ ডট কম এ পাওয়া যাচ্ছে।
আলিইয়ুন (আলিবাবা ক্লাউড কম্প্যুটিং): আলিইয়ুন একটি ক্লাউড কম্প্যুটিং এবং ডাটা ব্যবস্থাপনা সেবা প্রদানকারী প্ল্যাটফর্ম। ২০০৯ সালে এটি চালু করা হয়। বিভিন্ন ধরণের ছোট ও বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরকারি প্রতিষ্ঠান, ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিট্যুশন সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আলিইয়ুন ক্লাউড সেবা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও আলিবাবা গ্রুপের নিজস্ব অনলাইন এবং মোবাইল কমার্স নেটওয়ার্কের যাবতীয় তত্ত্বাবধান করে থাকে আলিইয়ুন।
আলিমামা ডট কম: ২০০৭ সালে আলিমামা ডট কম চালু হয়। এটি একটি অনলাইন মার্কেটিং টেকনোলজি প্ল্যাটফর্ম। এটা গুগল অ্যাডসেন্স এর মতো। যেসব সেলাররা আলিবাবা গ্রুপের বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটিংপ্লেসে পণ্য বিক্রী করে থাকে তাদের পিসি এবং মোবাইল ডিভাইস ভিত্তিক বিভিন্ন ধরণের সেবা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও তাওবাও অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আলিমামা ঐসব সেলারদের থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটের জন্যে মার্কেটিং সেবা প্রদান করে থাকে।
গত মাসে আলিমামা তাদের নতুন বিগ ডাটা মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম দামো জিয়ান চালু করে। দামো জিয়ান নামের নতুন এ প্ল্যাটফর্ম আলিবাবার মার্কেটপ্লেস থেকে যেসব ক্রেতা পণ্য ক্রয় করে থাকে তাদের যাবতীয় তথ্য- পণ্য ক্রয়ের ইতিহাস, পেমেন্ট ব্যাকগ্রাউণ্ড, ব্রাউজিং বিহেভিয়ার) সংগ্রহ করে আলিবাবার ওয়েবসাইট এবং এর পার্টনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনদাতাদের সেবা প্রদান করবে। কোন কোন ধরণের ক্রেতাদের কি কি বিজ্ঞাপন দিতে হবে তার জন্যে দামো জিয়ান ৮০০০ এর বেশি ক্যাটেগরির মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতাদের চিহ্নিত করে থাকে। এছাড়াও আলিমামা ডট কম এর সুপার আইডি সিস্টেম এর মাধ্যমে ক্রেতা কি কি ধরণের ডিভাইস ব্যবহার করে তাও জানা যায়।
অ্যান্ট ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস গ্রুপ: এ প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ভোক্তাদের ফাইন্যান্সিয়াল সেবা প্রদান করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির ভিশন হচ্ছে “To turn trust into Wealth”। এ প্রতিষ্ঠানের সাবসিডিয়ারি সমূহ হচ্ছে- আলিপে, আলিপে ওয়ালেট, ইয়ু-ই-বাউ,
ঝাউ-চায়-বাউ, অ্যান্ট মাইক্রো লোন, এবং সেস্যাম ক্রেডিট। বর্তমানে ৪০ কোটি লোক অ্যান্ট ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সেবা নিচ্ছে। এ পর্যন্ত মাইক্রো লোনের মাধ্যমে অ্যান্ট ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ১৬ লক্ষ এসএমই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করেছে। এ বছরের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠানটি তাদের সিরিজ এ ফাণ্ডিং রাউন্ড সম্পন্ন করে। এ ফান্ডিং রাউন্ডে যেসব প্রতিষ্ঠান অ্যান্ট ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে বিনিয়োগ করে তার মধ্যে চীনের বৃহত্তম পেনশন ফাণ্ড প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল সোশ্যাল সিক্যুরিটি ফাণ্ড (এনএসএসএফ) উল্লেখযোগ্য।
কায়নিয়াউ লজিস্টিক্স: এ প্রতিষ্ঠানটি একটি লজিস্টিক্স ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্ম অপারেট করে যা ক্রেতা এবং বিক্রেতা রিয়েল টাইম ইনফরমেশন প্রদান করে থাকে। ২০১৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আলিবাবা ডট কম চীনের পাঁচটি বড় বড় প্রতিষ্ঠান মিলে জয়েন্ট ভেঞ্চারে কায়নিয়াউ প্রতিষ্ঠান করে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-ইনতাই, ফোসান এবং ফোর্চান। এ প্রতিষ্ঠানে আলিবাবা ডট কমের শেয়ার ৪৮%। এ বছরের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি চীনের ৫০টি শহরে অবস্থিত আলিবাবা অনলাইন মার্কেটপ্লেসের ক্রেতাদের অর্ডার দেবার একদিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি প্রদান করতে সক্ষম হবে।
এ লক্ষ্য অর্জনের জন্যে কায়নিয়াউ চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের লজিস্টিক্স প্রতিষ্ঠানের সাথে পার্টনার হয়েছে। একই সাথে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে ওয়্যার হাউজ এবং ডিস্ট্রিব্যুশন সেন্টার চালু করেছে, এবং ১২০০ গ্রামে সার্ভিস সেন্টার চালু করেছে। ক্রেতারা যাতে সহজে তাদের অর্ডার ট্র্যাক করে পিক-আপ পয়েন্ট থেকে অর্ডার সংগ্রহ করতে পারে সে জন্যে এ বছরে কায়নিয়াউ অ্যাপ্লিকেশনও চালু করেছে।
সূত্রঃ
http://bangla.bdnews24.com/business/article856237.bdnews
www.prothom-alo.com/economy/article/327475/ওয়ালস্ট্রিটে-আলিবাবা-উন্মাদনা
www.bloomberg.com/bw/articles/2014-02-18/the-secret-of-taobaos-success
http://taobaofieldguide.com/what-is-taobao/what-is-taobao
http://news.e-cab.net/১৬৮৮-ডট-কম-এ-পাওয়া-যাবে-ইতা/
http://news.e-cab.net/রাশিয়ার-এক-নম্বর-ই-কমার্স/
http://news.e-cab.net/আলিবাবা-ডট-কম-এর-নতুন-লক্ষ/
http://techcrunch.com/2015/07/03/ant-financial-series-a/
www.alizila.com/alibaba-group%E2%80%99s-china-only-wholesale-website-going-abroad
www.alizila.com/cainiao-alibabas-logistics-arm-opens-video
14,055 total views, 2 views today