বছর ঘুরে আবার এলো নতুন একটি বছর! আমরা যারা ইকমার্স অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছি তাদের জন্যে একই সাথে চরম ব্যাস্ততা এবং সুখবর নিয়ে আসতে পারে এই সময়টি। আগের বছরে কি ভুল করেছিলেন অথবা কি স্বঠিক ভাবে করতে পেরেছিলেন তা চিন্তা না করে সামনের বছরের জন্যে আপনার ওয়েবসাইটের ডিজিটাল মিডিয়া জয় করার কৌশলটি কি হতে পারে তা নিয়ে ভাবাই বোধহয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আসুন দেখে নেই কোন বিষয়গুলো আপনি নতুন বছর থেকে শুরু করতে পারেন (যদি ইতোমধ্যে শুরু না করে থাকেন।) আমাদের এই তালিকাটিতে শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং রেজ্যুলেশান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। মিলিয়ে দেখুন এগুলোর কোনওটি আপনার কাজে এসে যেতে পারে।
১) ঠিক করুন কোন কোন সোশাল নেটওয়ার্কগুলোতে আপনি এ্যাক্টিভ থাকবে্নঃ
আমার এই তালিকার সর্বপ্রথম বিষয়বস্তু এটি হবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। অনেক উদ্যোক্তাকেই দেখেছি এমন সব সোশাল নেটওয়ার্কে শুধুমাত্র সোশাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের খাতিরে এ্যাকাউন্ট খুলে রাখছেন যার হয়তোবা কোনও দরকারই নেই। আবার অনেককে দেখি শুধুমাত্র ফেসবুকেই একটি পেইজ চালিয়ে যাচ্ছেন অথচ হয়তো তাঁদের অধিকাংশ ক্রেতা ফেসবুকের চেয়ে ইউটিউবেই বেশি এ্যাক্টিভ। কোন্ সোশাল প্ল্যাটফর্মগুলো দরকারী এবং কোন্গুলো অপ্রয়োজনীয় ও খরচসাপেক্ষ তা আপনারই বুঝতে হবে। কারণ আপনিই আপনার ক্রেতাদের সবচেয়ে কাছ থেকে দেখেছেন। কোন্ সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আপনার জন্যে নতুন কাস্টোমার নিয়ে আসতে পারে তা বুঝার দায়িত্ব আপনারই। এ্যাকাউন্ট খোলার খাতিরে খুলে রাখা মানে হল সময় ও অর্থের অপচয়। আর ইন্যাক্টিভ প্রোফাইল তো রীতিমত আপনার ব্যাবসার জন্যে ক্ষতিকারক। তাই আপনি যদি মনে করেন আপনার সম্ভাব্য ক্রেতাগণ কোনও একটি বিশেষ নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করছেন তবে আপনিও তা ব্যাবহার শুরু করে দিন আজ থেকেই।
২) আবর্জনা ঝেটিয়ে বিদেয় করুনঃ
শুনতে হাস্যকর শোনালেও ব্যাপারটি আসলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বছরের প্রথম মাসেই একটি বা দুটি দিন হাতে রাখুন আপনার ওয়েবসাইটের কোণা-কাঞ্চি পরিষ্কার করার জন্যে। অনেকসময় দেখা যায় আপনার অজান্তেই ওয়েবসাইটে কিছু লিঙ্ক রয়ে যায় যা 404 এরর দেখায়, অথবা কিছুই দেখায় না, অর্থাৎ ব্রোকেন লিঙ্ক। এগুলো জরুরী ভিত্তিতে ঠিক করুন। ওয়েবসাইটের এধরণের সমস্যা বসার ঘরে চুলা রাখার মতনই। আবার কিছু পেইজ এতো দীর্ঘ সময় নেয় ভিজিটরের ব্রাউজারে লোড হতে যে ভিজিটর শেষ পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে চলে যান। কেন পেইজটি এতো সময় নিচ্ছে লোড হতে তাঁর কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে এই ব্যাপারে পারদর্শী কারও সাহায্য নিন। অনেক সময় ইমেইজের সাইজ খুব বড় হয়ে যাওয়াতে এমন হয়। কখোনওবা সিএসএস কিংবা জেএস ফাইলগুলোকে মিনিফাই করার প্রয়োজন হয়। কখোনও আবার আপনার হোস্টিং এ্যাকাউন্টের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন পড়ে। মূল কথা হল আপনার ওয়েবসাইটের যাবতীয় সমস্যা ঠিক করুন যত দ্রুত সম্ভব। শুধু ওয়েবসাইটই নয়, আপনার সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলোও ভালোভাবে পরীক্ষা করুন কোথাও কোনও আনপ্রোফেশনালিজম রয়েছে কিনা, যেমন লো রেজ্যুলেশানের ইমেইজ (ফেটে যায় এমন ছবি), লোগোটি কভার ফটো/হেডার ইমেইজে কাটা পরে যাওয়া, ডিস্ক্রিপশান টেক্সটে বানান ভুল থাকা ইত্যাদি। এছাড়া স্প্যাম পোস্টগুলো এবং স্প্যামারদের ব্যান করে দেয়াও জরুরী। পেইজে স্প্যামপোস্টের ছড়াছড়ি দেখলে আপনার সত্যিকারের ফলোয়াররা আপনার পেইজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন সেটাই স্বাভাবিক। এছাড়া আপনি যদি গুগল এ্যানালিটিক্স বা অন্য কোনও টুল ব্যাবহার করে থাকেন, সেখানেও আবর্জনা রয়ে যেতেই পারে। যেমন স্প্যাম বট ওয়েব এ্যানালিটিক্সের জন্যে একরকম আবর্জনা কারণ এটি আপনার সত্যিকারের ভিজিটরদের তথ্যগুলোকে নষ্ট করে দেয়। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাবহার করে থাকেন, বট ব্লক অথবা এ্যানালিটিক্স স্প্যাম ব্লকার নামক প্লাগ-ইনগুলোর মাধ্যমে সহজেই এসব স্প্যাম বটগুলোকে ওয়েবসাইটে আসার আগেই নিষিদ্ধ করে দিতে পারেন। এছাড়া .htaccess ফাইলটি মোডিফাই করেও যেকোনও ওয়েবসাইটে স্প্যাম ট্রাফিক নিষিদ্ধ করা সম্ভব। আমি আমার ওয়েবসাইটগুলো থেকে এসব স্প্যামারদের দূরে রাখতে যেই তালিকাটি ব্যাবহার করি তা আপনারাও ব্যাবহার করতে পারেন। এইসব ওয়েবসাইট থেকে আসা যেকোনও ট্রাফিককে স্থায়ীভাবে ব্লক করে রাখুন এবং নতুন কোনও স্প্যামার খুঁজে পেলেই আমাকে জানান। আমি লিস্টটি আপডেট করে দেব। লিস্টটি ডাউনলোড করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ
এখানেও আপনার ওয়েব ডেভেলপার আপনাকে সাহায্য করতে পারেন। অভিজ্ঞতা না থাকলে .htaccess ফাইলটি নিয়ে খেলা না করাই ভালো।
৩) মোবাইল ডিভাইসকে মাথায় রাখুনঃ
স্মার্ট ইনসাইটে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে ড্যানিল বসমওয়ার্থ একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছিলেন যেখানে বলা হয়েছিল যে ২০১৪ সালে মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ডেস্কটপ ব্যাবহারকারীদের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই তথ্যটি অনেকের জন্যে যেমন সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দিয়েছে তেমনি আমার আপনার মতন ওয়েব নির্ভর ব্যাবসায়ের প্রতিষ্ঠাতাদের জন্যেও কিছু বিবেচ্য বিষয় তুলে ধরেছে। আপনার ওয়েবসাইটটি কি মোবাইল ডিভাইসে ঠিক মতন লোড হয়। মনে রাখবেন, আমরা এমন এক সময়ে বসবাস করছি যখন আপনার ওয়েবসাইটে আসা ট্রাফিক শুধুমাত্র ডেস্কটপ এবং মোবাইল ডিভাইস ব্যাবহার করছেইনা বরং একই ভিজিটর কখোনও তাঁর ডেস্কটপ থেকে আবার কখোনও তাঁর মোবাইল ফোন বা ট্যাপলেটটি ব্যাবহার করে আপনার ওয়েবসাইটে আসছে। সুতরাং ওয়েবসাইটকে রেস্পন্সিভ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। তাছাড়া এসইও-এর জন্যেও একটি ওয়েবসাইটের রেস্পন্সিভ (অর্থাৎ সব ধরণের ডিভাইসের জন্যে তৈরী) হওয়া আবশ্যক।
২০১৪ সালে মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ডেস্কটপ ব্যাবহারকারীদের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
৪) এ্যানালিটিক্সের দুনিয়ায় স্বাগতম!
আপনার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানটি যদি হয় ওয়েব ভিত্তিক তবে ওয়েব এ্যানালিটিক্স ছাড়া আপনি একেবারেই অচল! ওয়েব এ্যানালিটিক্সের জন্যে অনেকগুলো টুল রয়েছে, যাদের কয়েকটি একেবারে বিণামূল্যেই ব্যাবহার করতে পারেন। যেমন, গুগল এ্যানালিটিক্স। গুগলের এই সার্ভিসটির কথা হয়তো শুনে থাকবেন। এটি আপনার ওয়েবসাইটে ইন্সটল করলে আপনি বেশ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। এক্ষেত্রে গুগল এ্যানালিটিক্স চার্ট, টেবিল ইত্যাদি ব্যাবহার করে নানান জটিল তথ্যাদি খুব সহজে আপনার সামনে তুলে ধরতে পারে। গুগল এ্যানালিটিক্স আপনাকে যেসব প্রশ্নের উত্তর দেবে সেগুলোর কয়েকটি হলঃ
- আপনার ওয়েবসাইটটি কারা ভিজিট করেন
- আপনার ওয়েবসাইটে থাকা অবস্থায় তাঁরা কি করেন
- এসব ভিজিটর কতক্ষণ থাকছেন
- ভিজিটররা কোথা থেকে এসেছেন ইত্যাদি।
এছাড়া ইকমার্স ওয়েবসাইটের জন্যে তো গুগল এ্যানালিটিক্স সবচাইতে জরুরী টুল বললেও ভুল হবে না। কারণ আপনি ইকমার্স ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে রীতিমত আপনার ওয়েবসাইটে ঘটে যাওয়া কেনা-বেঁচা এবং কত টাকা আয় হল তাঁর হিসেবও রাখতে পারবেন। এবিষয়ে গুগল করলেই প্রচুর টিউটোরিয়াল পাবেন। এসব টিউটোরিয়াল দেখে অথবা আর্টিকেল পড়ে হলেও (যেভাবে আপনার সুবিধা) আশা করি নতুন বছর থেকেই ওয়েব এ্যানালিটিক্স পুরো দমে ব্যাবহার শুরু করতে পারবেন। আর যারা ইন্সটল করেছেন কিন্তু ব্যাবহার করছেন না, তাঁরাও এব্যাপারে আরো বেশি গুরুত্ব দিবেন তেমনটাই আশা করছি।
৫) ডিজিটাল মিডিয়ায় কনসিস্টেন্সি মাথায় রাখুনঃ
আপনার সোশাল মিডিয়ার পেইজগুলো থেকে যেসব পোস্ট করা হয় সেগুলো কি সঙ্গতিপূর্ণ? একটি ভালো ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির প্রথম কথা হল একটি প্রতিষ্ঠানের সমস্ত পোস্টের ইমেইজ, ক্যাপশান, সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলের ডিজাইন, ব্লগপোস্টের ভাষা, কমেন্টের উত্তর দেয়ার টোন ইত্যাদি সবসময়ই একরকম হওয়া চাই। আবার ফেসবুকে আপনার কভার ফটো একরকম রাখলেন, অথচ টুইটারে একেবারে ভিন্নরকম এটাও কিন্তু ভালো নয়! মূল কথা হল আপনার একটি স্টাইল গাইড তৈরী করতে হবে। আপনার পেইজ বা প্রোফাইল যারা চালান তাঁরা প্রত্যেকেই সেই স্টাইল গাইড মেনে চলতে হবে। তাছাড়া পোস্ট করার ধারাবাহিকতাও যেন একরকম হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন ফেসবুকে দুবার, টুইটারে তিনবার, প্রতি সপ্তাহে গুগল প্লাসে একবার এভাবে একটি ধারা বজায় রাখা প্রয়োজন। কখোনও দিনে চারটি পোস্ট শেয়ার করলেন, কখোনও দুই দিনে একটি এমন করলে চলবেনা। এক্সেল ওয়ার্কশীট দিয়ে খুব চমৎকার ভাবে আপনি পোস্ট ক্যালেন্ডার তৈরী করে নিতে পারেন যেখানে প্রতি সপ্তাহে কবে কি পোস্ট করবেন তা আগেই ঠিক করে নিবেন। দরকার হলে ফেসবুকের পোস্ট স্কেজ্যুলিং ফিচারের মাধ্যমে বা হুটসুইট নামক ফ্রী টুলের মাধ্যমে আগেভাবেই পোস্টগুলো স্কেজ্যুল করে দিন। তাতে করে আপনি সোশা মিডিয়াতে না ঢুকতে পারলেও আপনার পোস্ট যথা সময়ে অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছে যাবে। এই বিষয়ে আরো জানতে এবং আমার তৈরী করা পোস্ট ক্যালেন্ডারটি ডাউনলোড করতে এই পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন। নতুন বছর থেকে কন্সিস্টেন্সি বজায় রাখার পরিপূর্ণ চেষ্টা করুন। তাঁর ফলাফল নিজেই দেখতে পাবেন।
৬) কনটেন্টের কোনও জুড়ি নেই!
আপনি পণ্য বিক্রি করেন একথা সবাই জানে। আপনার মতন আরো একশ জন হয়তো একই পণ্য বিক্রি করছেন। সেক্ষেত্রে ক্রেতা কেন আপনার কাছেই আসবেন? নিজেকে এই প্রশ্নটি করতে পারার সৎ সাহস অন্তত আমাদের ইক্যাবের বন্ধুদের সবার আছে বলে মনে করি! ধরুন আপনার একটি ই-শপ আছে যেখানে আপনি ছেলেদের হাতঘড়ি বিক্রি করেন। অর্থাৎ আপনার ক্রেতা মূলত পুরুষ। বয়স ধরে নেয়া যাক আঠারো থেকে পয়ত্রিশ। আপনি যখন ফেসবুক বা গুগল এ্যাডওয়ার্ড দিয়ে অনলাইন এ্যাডভার্টাইজমেন্ট নিয়ে মেতে আছেন, আপনার মতন আরো দশজন একই কাজ করছে, এবিষয়ে একেবারে নিশ্চিত হবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আপনার এমন কিছু করতে হবে যা অন্যদের থেকে আপনাকে কয়েক ধাপ সামনে এনে দিবে। ধরুন আপনার ওয়েবসাইটে একটি ব্লগ চালু করা হল যেখানে আঠারো থেকে পয়ত্রিশ বছরের পুরুষদের ফ্যাশন এবং গ্রুমিং নিয়ে নিয়মিত লেখা হচ্ছে। এই ব্লগের নিয়মিত পাঠক কিন্তু আপনার সম্ভাব্য ক্রেতারাই হবেন। আবার ঘড়িতে পানি ঢুকলে কিভাবে তা ঠিক করা যায় এর উপর পাঁচ মিনিটের একটি ভিডিওর কথাই ধরুন না! এখানেও যারা আসবে তাঁরা কিন্তু আপনারই মূল টার্গেট! তাই নয় কি? এখন আপনি যদি এমন একটি ঘড়ি বিক্রি করে থাকেন যা ওয়াটার প্রুফ, এই ভিডিওর মাঝে বলে দিতে পারেন এটির কথা। এই ব্লগ পোস্ট, ছবি, ভিডিও ইত্যাদিই হল কনটেন্ট। নতুন বছর থেকে এমন সব কনটেন্ট তৈরী এবং সোশাল মিডিয়ায় প্রোমোট করুন যা আপনার সম্ভাব্য ক্রেতার জন্যে দরকারি। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের দুনিয়ায় একটি কথা প্রচলিত আছে ‘Content is king!’ কথাটি আসলেও সত্য! যদি না ইতোমধ্যেই শুরু না করে থাকেন, আজ থেকেই শুরু করে দিন কনটেন্ট মার্কেটিং। কারণ ভালো কনটেন্ট শুধুমাত্র ক্রেতার কাছে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধিই করবে না, বরং আপনার এ্যাডভার্টাইজিংয়ের খরচও কমিয়ে আনবে এবং আপনাকে ক্রেতার ভরসা করা যায় এমন বন্ধু হিসেবে তৈরী করবে।
শেষ কথা
উপরে শুধুমাত্র কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নিউ ইয়ার রেজ্যুলেশান আলোচনা করা হয়েছে। এর কয়েকটি হয়তোবা আপনি ইতোমধ্যে করছেন বা করেছেন, কিংবা হয়তো সবগুলোই আপনার আগে থেকেই করা হয়ে আসছে। ডিজিটাল মিডিয়ায় আপনার প্রতিষ্ঠানের জায়গা আরো প্রশস্ত এবং মজবুত করতে নতুন বছর থেকে আপনি কি শুরু করতে যাচ্ছেন কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের ই-ক্যাবের বন্ধুদের জানাতে পারেন। এতে করে আমরা সবাই একত্রে উপকৃত হতে পারবো। শুভ ইংরেজি নববর্ষ সবাইকে। ধন্যবাদ।
এই লেখাটির ইংরেজি ভার্সন আমার ব্লগ www.taeefnajib.com এবং আমার LinkedIn থেকে পূর্বেও প্রকাশিত হয়েছে। আমার সম্বন্ধে বলতে গেলে বলতে হয়, আমি একজন স্বশিক্ষিত ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিস্ট এবং ফ্রীল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনার। যদিও মার্কেটিং নিয়েই লেখাপড়া করেছি। তবু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মার্কেটিং বলতে প্রথাগত মার্কেটিংকেই এখনো বুঝানো হয়। বাংলাদেশে ইকমার্সের ধারণা খুব বেশি পুরাতন না হলেও এর উত্থান অবশ্যই লক্ষ্যনীয়। এর ভিত্তিকে ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে কিভাবে আরো মজবুত করে তোলা যায়, সে চিন্তা থেকেই এই লেখাটি লেখা হয়েছে। ভালো লাগলে শেয়ার করবেন। আর আপনার যেকোনও প্রশ্ন, উপদেশ বা মতামত থাকলে আমাকে Facebook, LinkedIn, কিংবা নিচের কমেন্ট সেকশানের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
2,597 total views, 1 views today