সাপ্লাই চেইন বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর

জাহাঙ্গীর আলম শোভন

Real-Apple-Red-Nature-Hd-Wallpaper

ভূমিকা:

ই কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। নতুন উদ্যোক্তাদের ব্যবসা শেখানোর জন্য বিভিন্ন বিষয়ে ফ্রি পরামর্শ দিচ্চে। লেখা এবং আড্ডা মিলে সবার জন্য একটা পরিপূর্ণ গাইড বা কোর্সের মত। আপনি ভার্সিটিতে এ বিষয়ে পড়লে কেবল একাডেমিক ডিসকার্শন পাবেন। নিজে ব্যবসা করলে শুধু নিজের সমস্যাগুলোর আলোকে সমাধান পাবেন। কিন্তু আপনি এখানে পাচ্ছেন 01. একাডেমিক আলোচনা। 02. টেকনিক্যাল ও টেকনোলজিক্যাল ডিসকাশন, 03. মার্কেটিং এনালাইসিস, 04, অন্যসকলের অভিজ্ঞতা, 05, যাবতীয় তথ্য 07, অন্যের ভুল করা থেকে শিক্ষা যা আপনি আর করবেন না। 08. তাৎক্ষনিক সলুশান, 09. রিলেটেড সাপোর্ট. 10, সব ধরনের পরার্মর্শ। তাও একেবারেই বিনামূল্যে।

আমি নিজে গত এরকম একটি সেশনে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হাজির হয়েছিলাম গত December 18, 2014, তারিখে। সেসব প্রশ্ন এবং উত্তরগুলো এবার লেখা আকারে সবার জন্য তুলে ধরা হলো।

প্রশ্ন 1: প্রথম প্রশ্ন ঠিক আমার নয় তবে অনেকেই আমাকে করেন- ই-কমার্স ব্যবসায় নামার সময়ে যেসব পন্য নিয়ে নামছি সেগুলো কত পিস করে স্টকে রাখা উচিৎ

উত্তর: আসলে এটা নির্ভর করছে আপনি কি পন্য নিয়ে ব্যবসা করবেন তার উপর এবং আপনার অবস্থানের উপর। যেমন ধরুন আপনি ব্যবসা করবেন বিদেশী কসমেটিক নিয়ে। এখন আপনার বাসা বা অফিস যদি বসুন্ধরা সিটি অথবা ফিউচার পার্ক এর পাশে হয় তাহলে এক পিস স্টক রাখলেই যথেষ্ট অথবা না রাখলেও চলবে যদি আপনি যে দোকান থেকে পন্যটা নেবেন তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রা করার মতো অবস্থা থাকে অথবা অর্ডার ফাইনাল করার আগে তাদের কাছ থেকে কনফার্ম হতে পারেন।

আর আপনি যদি কেরানীগঞ্জে অবস্থান করেন, নিশ্চই কিছু আইটেম আপনার সংগ্রহ থাকতে হবে। কোন আইটেম কতটা থাকবে। সেটা আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেমন ধরুন আপনি ১ মাসের জন্য ১০০ টি আইটেম স্টক করবেন। একটা ধারণা করতে হবে। কোন পন্য কতটা বিক্রি হতে পারে। সর্তকতার জন্য একটু কম কম নিতে পারেন। যদি আপনার ধারণা আর বাস্তবতা মিলে যায়। তাহলে বুঝবেন আপনার বাজার সেন্স ভালো।

প্রশ্ন 02: পাইকারি পন্য কোথায় পাওয়া যায় ?

উত্তর: ঢাকা শহরে যত রকমের ব্যবহার্য পন্য সর্বত্র বিক্রি হয়। তার প্রায় সবগুলোই আসে ঢাকা চক বজার থেকে। প্রায় সব জেলা শহরে এরকম একটি চকবাজার আছে অথবা চকবজারের মতো একটি পাইকারী বাজার আছে। আবার কোনো কোনো পন্যের বিশেষায়িত বাজার ও ভেন্যু রয়েছে।যেমন ঢাকায় আসা সব মাছ ও সবজিগুলো রিডিস্ট্রিবিউট হয় কাওরান বাজার থেকে। কলাগুলো হয় নতুনবাজার কোকাকোলা থেকে। এরকম আর কিছু রয়েছে। এছাড়া কিছু পন্যের এরকম খোলা হাট বসেনা অর্ডার করে আনাতে হয় সরাসরি ফ্যাকরি থেকে। যেমন ধরুন ইট বালূ সিমেন্ট। আবার কিছু পন্য নির্দিস্ট এলাকা থেকে সংগ্রহ করা ভালো যেমন বগুড়াই দই, কুমিল্লার রসমালাই, খাগড়াছড়ির হলুদ, রাজশাহীর আম ইত্যাদি।

প্রশ্ন 03: কোয়ালিটি ফ্যশন আইটেম পাইকারী ও সুলভ মূল্যে কোথায় কোথায় পাওয়া যাবে?

উত্তর : কোয়ালিটি ফ্যাশন আইটেম এর জন্য ভরসা হচ্ছে এমন কিছূ গার্মেন্টস যারা দেশের বাজারের জন্যও পন্য তৈরী করে। আপনার কোয়ালিটি অনুযায়ী পন্য তৈরী করে দেবে। আমি নাম উল্লেখ করতে চাইনা। দেশের অনেক ফ্যাশন হাউজ ও জুতা কোম্পানীর নিজস্ব ফ্যাক্টরী নেই। তারা নিজেদের ডিজাইনার দিয়ে প্রোডাক্টস ডিজাইন করার পর তাদের পছন্দমতো ফ্যাকরিতে ওর্ডার দিয়ে বানান। এজন্য তারা সব শর্ত দিয়ে দেন এবং কোয়ালিটি চেক করে নেন।

প্রশ্ন 4: চকাবাজারেতো সব কোয়ালিটির পন্য পাওয়া যায। দেখতে একইরকম পন্য র A grade, B grade, C grade হয়। এখানে নতুনরা কিভাবে আসল-নকল চিহ্নিত করবে? অন্য কথায় বলতে গেলে না ঠকার টিপস কি ?

উত্তর:

নতুনদের জন্য সর্তকতা:
না ঠকার জন্য আপনি কয়েকটি কাজ করতে পারেন।
১. কয়েকটি দোকানে পন্যের দাম ও মান যাচাই করতে পারেন।
২. প্রথমে পন্য না কিনে কিছু স্যাম্পল কালেকশান করতে পারেন।
৩. নিজে গিয়ে দোকানীর সাথে সরাসরি কথা বলে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারেন।
৪. পন্যে সমস্যা হলে ফেরত দেবেন এই শর্তে ক্রয় করতে পারেন।
৫. সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ কাউকে প্রথম দিকে সাথে রাখতে পারেন।

প্রশ্ন 05: Product selection is a very important and to get responsible and reliable supplier is another challenge. My question is for BD market should we kept the stock? What is your suggestion for minimizing the inventory? How we can start while for low transaction supplier will not be willing to give better price and stock availability commitment? Finally any special suggestion to maintain good relationship with the suppliers? Thanks

উত্তর: বাংলাদেশের প্রোপটে দায়িত্বশীল আন্তরিক এবং বিশ্বস্থ সাপ্লায়ার পাওয়া কঠিন একথা সত্য। কিন্তু সব সেক্টরেই কিন্তু লোকেরা ব্যবসা করছে। এবং বড়ো বড়ো কোম্পানীগুলো প্রতারণার শিকার হয়। এেেত্র কয়েকটা অপশন রয়েছে।
০১. আপনি জানেন যে কোরবানীর ঈদের সময় কিছু ব্যবসায়ী একটা নির্দিস্ট চ্যানেল ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা মানুষের হাতে দেয় চামড়া কেনার জন্য। এবং বেশীরভাগে েেত্র তাদের এই পলিষি কাজে লাগে। এবং দীর্ঘদিন ধরে এটা চলে আসছে।
০২. আর একটি কাজ করে সরকারী পাটকলগুলো তারা একটি রেট নির্দিস্ট করে বিজ্ঞাপন জারি করে। তাদের কিছু লিস্টেড এজেন্ট থাকে। যাদের নাম ঠিকানা ও সব কিছু তাদের জানা। শুধু মাত্র তাদের মাধ্যমেই তারা পাট ক্রয় করে থাকে। তারা কিন্তু পাটটা কৃষকের কাছ থেকে নিয়ে ফ্যাকরীর কাছে বিক্রি করে।
০৩. যেসব পার্টি বিদেশে মাছ রফতানী করে তাদের কৌশলটি ভিন্ন তারাও তাদের লিস্টেড এবং পরীীত সাপ্লায়ারদের কাছ থেকে মাছ কেনে। তবে তারা কেনে বাকীতে। এজন্য তারা ভালো রেট দেয়। একজন সাপ্লায়ার যখন দেখে ৬০০ টাকা কেজীতে চিংড়ী কিনে ৯০০ টাকা দামে বিক্রি করা যাচ্ছে। তাহলে তার প্রায় ৩০% লাভ হচ্ছে। তখন সাপ্লায়ার ব্যাংক থেকে ৮% সুদে ঋণ নিয়ে নগদমূল্যে বাজার, আড়ৎ, খামার থেকে মাছ কিনে সাপ্লাই করে। ৩ মাস পরে বিল পায় তাতে ৪ মাস লাগলেও সে ভাবেনা
০৪. বিদেশে সুপার স্টোর গুলো বা আমাদের দেশেও কখনো কখনো কোম্পানী উদ্ধতন কর্মকর্তা সরাসরি মাঠে গিয়ে সে আলু চাষী কৃষকের সাথে পরিচিত হয়ে আসে। এতে কৃষক খুশি হয়। এবং উভয় উভয়কে বিশ্বাস করে, সম্পর্ক তৈরী হয়। এসম্পর্কটা তারা সাপ্লায়ারের সাথেও করে। ফলে তাদের একটা চেইন দাড়িয়ে যায়।
০৫. আপনার জানেন আড়ং এর পদ্ধতিটা আরেকটু ভিন্ন তারা গ্রামীণ ব্যাংকের মতো দরিদ্র নারীদের তাদের পছন্দমতো পন্য বানানোর জন্য ঋণ এবং প্রশিণ দেয়। এবং পন্যগুলো কিনে তারা তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ তুলে নেয়। এজন্য দায় বা লায়বেলিটি টা কিন্তু আড়ং নিজে কিংবা কর্মজীবি নারীটির নয়। মাঝখানে তাদের নিয়োগকৃত মাঠকর্মীরাই কিন্তু উভয়ের মাঝে লেনদেন ও সম্পর্ক বজায় রাখে।

এবার আপনার পন্য, অবস্থান, জনশক্তি ও বিনিয়োগ এর উপর আপনি ঠিক করুন আপনি কি করবেন। মিনিমাম স্টক সম্পর্কে আরেকটি উত্তরে বলেছি।·

প্রশ্ন 06: গ্রামের পন্য নিয়ে খুব বেশি ই-কমার্স সাইট দেখি না। এর কারণ কি বলে আপনার মনে হয়?

গ্রামের পন্য: খুব ভালো একটি প্রশ্ন করেছেন, প্রচুর সম্ভবনা থাকলেও গ্রামের পন্য নিয়ে ই কমার্স আমাদের এখানে তেমন একটা নেই। অনেকগুলো কারণের মধ্যে ৩ টি কারণ বড়ো ০১. সরকারী সহযোগিতার অভাব, ভিয়েতনামের কৃষকদের কৃষিপন্য বাজারজাত করার জন্য সরকারী ভাবে বাজার তৈরী করে দেয়া হয়। যেখানে একদিকে কৃষকেরা তাদের পন্য নিয়ে আসে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরাও সেখানে পন্য কিনতে যায়। থাইল্যান্ডের ফুলের বাজার বিশ্বময় হওয়ার কারণ সরকারের নানামূখী পৃষ্ঠপোষকতা। ০২. পার্সেল, ট্রান্সপোর্ট এসব সমস্যাতো আছেই। ০৩. আরেকটি সমস্যা হচ্ছে আমাদের মানষিকতা আমরাতো ধরেই নিয়েছি ই কমার্স ব্যবসায় ঘরে বসে করবো। এখন ঘরে বসেতো আর সিলেটের হাতকরা সংগ্রহ করা যায়না।

07: পাইকারী বাজারের দরদাম করার অপশন কতটুকু আছে?

দরদাম : আসলে পাইকারী বাজারে দরদাম করার অপশন তেমন একটা থাকেনা। তবে আপনার উচিত হবে খোজ খবর নিয়ে পন্য কেনা। আর ব্যবসাটা পুরনো হয়ে গেলে আপনি ন্যায্যমূল্যে পাবেন। প্রথম প্রথম পাইকাররা একটু বেশী রেট রাখতে চায়।

08: কোয়ালিটি ইলেকট্রনিক্স আইটেম পাইকারী ও সুলভ মূল্যে কোথায় কোথায় পাওয়া যায়?

ইলেকট্রনিক্স পন্যে:
যেখানে ইলেকট্রনিক্স পন্যের পাইকারী বাজার সেখানেই কিছু দোকান আছে যারা কোয়ালিটি প্রোডক্টস আমদানী করে। বিশেষকরে বায়তুল মোকারমের দোকলায়ও রয়েছে। আবার অনেকে একইসাথে কোয়ালিটি এবং ননকোয়ালিটি প্রোডাক্টস বিক্রি করে। আসলে ব্যবসা করার জন্য এগুলো জেনেই নামতে হবে। ভালো ইলেকটৃনিক্স পন্যেও ক্ষেত্রে ব্রা-কে সবাই ফলো করে। এক্ষেত্রে এটাই
ট্রাডিশন, ঠকার ভয়ও কম। কিন্তু আমাদের দেশে নামী দামী ব্রান্ডের নকল মাল
পাওয়া যায়। এটা একটা সমস্যা।এক্ষেত্রে ব্রান্ডের নিজস্ব শোরুমগুলো আপনাকে
সহযোগিতা করতে পারে।

09: অনেকেই আরেকটি বিষয় জানতে চান। চীনা পন্য ঢাকায় পাইকারি কোথায় পাওয়া যায়?

চীনা পন্য: পৃথিবীর কোন কোন দেশে এরকম মার্কেট আছে যেমন আমরাত ও সৌদি আরবে বাংলাদেশ মার্কেট আছে। নিউইয়র্ক এ রয়েছে চায়না টাউন কিন্তু আমাদের দেশে দেশভিত্তিক মার্কেট নেই। পন্য অনুযায়ী বাজার ইলেকট্রনিক্স, খেলনা, হোমটুলস এসব পন্য যেখানে পাওয়া যায় সেখানে এসবের চীনা পন্যও পাওয়া যায়।

10: বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে Profitable niche খুজে বের করার একমাত্র উপায় কি keyword Research?

উত্তর: এটা একটা উপায় হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে একটিমাত্র উপায় দিয়ে বাজার বোঝা কঠিন। এখানে অনেক কিছুই পরিসংখ্যান পাওয়া যায়না। আবার অনেক কিছূ সঠিব তথ্য নয়। তবে এখানে যেহেতু ব্যবসাগুলো এখনো উদীয়মান সেজন্য সরাসরি বাজার বিশ্লষণ হলো উত্তম পদ্ধতি। যে পন্য নিয়ে ব্যবসা করবেন সেেেত্রর যতটা সম্ভব কাছ থেকে দেখাই উত্তম পদ্ধতি। আরেকটা বিষয় হ্েচ্ছ এখানকার কাস্টমারের মনস্তাত্বিক বিশ্লেষণ। অনেক সময় আবার যা হওয়ার কথা তা হয়না। যেমন একটু গরমের দেশ হিসেবে গামের ডিইটিউব মার্কেট পাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু যেরকম ধারণা ছিলো সেরকম হয়নি কিন্তু সেন্ট বা বডি ¯েপ্র ঠিকই ভালো বাজার রয়েছে। বাজারে অনেক অস্বাভাবিক জিনিস চোখে পড়ে যেমন তরল দুধের প্রচুর চাহিদা থাকা সত্বেও অন্তত বড়ো দুটো কোম্পানী তার সে ক্যাপাসিটি থাকা সত্বেও মার্কেট ধরতে পারছেনা । ফেয়ার এণ্ড লাভলী এর জেন্টস ভার্সণ বের হওয়ার পরও ছেলেরা অনেক েেত্র আগেরটাই ব্যবহার করছে।

11: নতুনদের জন্য সাপ্লাই চেইন খুজে বের করার উপায়গুলোা কি কি হতে পারে?

নতুনদের জন্য প্রথম পরামর্শ হলো,অেনেকগুলো পন্যের ব্যবসা একসাথে না করে এক দুইটা বা অল্প কিছু আইটেম দিয়ে ব্যবসাটা শুরু করা। এতে করে প্রথমে ব্যবসাটা শেখার সুেযাগ পা ওয়া যাবে। আর যে পন্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন তার রুট লেবেল সম্পকে খোজ খবর রাখা। যেমন ধরুন আপনি সামূদ্রিক ঝিনুেকর তৈরী মালা বা শোপিস এর ব্যবসায় করবেন। আপনার উচিৎ হবে এর পুরো পক্রিয়া মানে একেবারে সমূদের কূল থেকে সংগ্রহ করে বাজারে তোলা পর্যন্ত পুরো প্রেসেসটা জানা তাহলে আপনার রাস্তাটা আপনি পেয়ে যাবেন। যেমন ধরুন আপনি, খাাঁটি মসলার ব্যবসা করবেন ভেজালের ভীড়ে আসল পন্য বাজাের িদেত চান, আপনি জেনে নিন, মুস্লা কোথায় উতপাদন হয় , কোথায় প্রচেস হয়, কিভাবে হয়, কারা সাপ্লায় দেয়, তাহলে আপনি আপনার চেইন পেয়ে জাবেন,·

12: প্রশ্ন হল, চীন ছাড়া অন্য কোন দেশ থেকে কি ধরনের প্রোডাক্ট আমদানি করা যায়?

আমি ধরে নিচ্ছি প্রশ্নটা ই কমার্স এর জন্য পন্য বিষয়ে, অনেক ধরনের প্রোডাক্টস আছে
০১. কেউ যদি ফুল নিয়ে ব্যবসা করতে চায় তাহলে থাইল্যান্ড থেকে অন্তত ১২০০ প্রজাতির ৫ হাজারের বেশী আইটেম এর ফুল আমদানী করতে পারবে। থাই কসমেটিক্স এর বাজার ভালো আমাদের এখানে।
০২. কেউ যদি নানা রকম জুতা বিক্রি করতে চায়। কম দামে থাইল্যা-ে যেতে পারে। আরেকটা কারণ হলো থাইল্যান্ডে ভিসা পাওয়া সহজ অন্যান্য খরচও কম। কমদামে ভালো মানের টি শার্টের জন্য থাই বাজার ভালো
০৩. কেউ যদি মনে করে আমি আচাঁর এর ব্যবসাটাই ভালোভাবে করবে। তাহলে পাকিস্তান।
০৪. কেউ যদি লক্ষ হিজাব বিক্রি করতে চায়। তাহলে সোজা মালয়েশিয়া চলে যান।
০৫. শাড়ির জন্য ভারতে কোটি আইটেম রয়েছে, দামও আমাদের এখানকার তুলনায় কম এটা তো নিশ্চই সবাই জানেন। ছোট ছোট গহনার জন্য চীন ভারত কেউ কারো চাইতে কম যায়না।
০৬. আর সিঙ্গাপুর একটা বিশ্ববাজার সেখানে অনেক দেশের অনেক পন্য পাওয়া যায়। বিশেষ ইলেকট্রনিক্স পন্য আমাদের দেশে প্রথম দিকে সিঙ্গাপুর থেকে আসতো। যদিও সেগুলো জাপানের তৈরী ছিলো।
০৭. আর মায়ানমারের বার্মিজ স্যান্ডেল, বার্মিজ আঁচার, বার্মিজ লুঙ্গির কথা আমার চেয়ে আপনারা অনেক বেশী জানেন।
০৮. কেউ কেউ এখন রাইস বার্ণ ওয়েল বিক্রি করছেন। এটা ভারত এবং মালয়েশিয়া দু, জায়গাতেই চলছে।
০৯. এখনো নানারকম বিলাশী মসলার জন্য ভারত বিশ্বজুড়ে বাজার হয়ে আছে।
১০. ফ্যাশনওয়ার আমাদের দেশে ভালো মানের পাওয়া যায়, তাই সেটা বিদেশ থেকে আনার পরামর্শ দিলাম না।
১১. বিদেশী কিছু কসমেটিকস ব্রান্ড আছে, আমাদের দেশে অভিজাত শ্রেণীতে চলে। সেটা ব্রান্ড অনুযায়ী মূল দেশ থেকে আনা ভালো।
১২. ভালো ইলেকটৃনিক্স পন্যের ক্ষেত্রে ব্রা-কে সবাই ফলো করে। এক্ষেত্রে এটাই ট্রাডিশন, ঠকার ভয়ও কম। কিন্তু আমাদের দেশে নামী দামী ব্রান্ডের নকল মাল পাওয়া যায়। এটা একটা সমস্যা।এক্ষেত্রে ব্রান্ডের নিজস্ব শোরুমগুলো আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে।
এভাবে বলতে গেলে অনেক। আপনার পন্যটি বাছাই করুন। ব্যবসা শুরু করুন। আপনি নিজেই সন্ধান পেয়ে যাবেন। সেটা কোথায় পাওয়া যায়?·

প্রশ্ন:13: ই কমার্স বিজনেস শুরু করেছে। গ্রোসারী প্রোডক্টস দিয়ে। মোটা দাগে তার জন্য কি কি পরামর্শ।

উত্তর:

মোটদাগে কয়েকটা বিষয়
01. ই কমার্স সাইটটি অবশ্যই ইউজার ফ্রেন্ডলী হবে।
02. সহজ ও একাধিক পেমেন্ট অপশন থাকবে।
03. পন্যের প্রয়োজনীয় ছবি ও তথ্য থাকবে।
04. অনলাইনের পাশাপাশি ফোনে বা এসএমএসে অর্ডার অপশন থাকবে।
05. অভিজ্ঞতা অথবা অনেক পুজি না থাকলে প্রথমে কয়েকটি বাছাইকরা পন্য দিয়ে শুর করতে পারে।
06. পন্যের কোয়ালিটি এবং সময়মত ডেলিভারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন।
07. যারা ফোনে কথা বলবে এবং পন্য ডেলিভারী দেবে, তাদের আচরণ ভালো হতে হবে। সবসময়। এবং ধৈর্যের পরীক্ষার প্রতিবারই পাস করতে হবে।
08. মানুষকে জানানোর জন্য প্রচারণা চালাতে হবে।
09. একটি সহজ ও সুন্দর ফোন নাম্বার নিতে হবে। যাতে একবার দেখেই নাম্বারটা মানুষের মনে থাকে।
10. কেন আপনার পন্যটি আপনার সাইট থেকে ক্রয় করব।সে কনসেপটি পরিষ্কার করতে হবে।
11. প্রবাসী ক্রেতারা যেন দেশে অব্স্থানকারী পরিবারের কাছে পন্যটি পাঠাতে পারে আপনার মাধ্যমে েএবং পেমেন্ট প্রবাস থেকে দিতে পারে। সে বিষয়টি মাথায় রাখুন কাজে লাগেবে।

নতুন উদ্যোক্তাগণ কিভাবে তাদের পন্য সঙগ্রহের জন্য সাপ্লাই চেইন তৈরী করবে।

নতুন উদ্যোক্তা যেভাবে সাপ্লাই চেইন তৈরী করবেন।

০১. আপনি যতি কোনো ঝামেলায় যেতে না চান, কোন পন্য কোথায় পাওয়া যায় জেনে নিন। সরাসরি পাইকারী বাজার থেকে সংগ্রহ করুন।
০২. ঢাকা শহরে অনেক প্রফেশনাল সাপ্লায়ার ্আছে, বেশীর ভাগে পন্যই সাপ্লাই হয়। বিশেষকরে সুপারস্টোর ও স্থায়ী দোকানগুলোতে তারা সাপ্লায় দেয়। কখনো বকীতেও সাপ্লায দেয়। বিক্রি হলে অথবা মাসে মাসে বা সপ্তাহে কালেকশান করতে আসে। ছোট ছোট কাপড় সাপ্লায়ারদের অনেকে বলেন হকার। তাদের কাছ থেকে নিতে পারেন।
০৩. যেসব পন্য ে এলাকায় উৎপাদিত হয়, প্রাণ, স্কয়ার এর মতো সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে বা ফ্যাকটরী থেকে কিনতে পারেন।
০৪. যেসব পন্য ে এলাকায় উৎপাদিত হয় সেসব এলাকায় পেশাদারী ঠিকাদার ও সরবরাহকারী শ্রেনী তৈরী হয়। এরা পেশাদার ও বিশ্বস্ত এদের অফিস ট্রেড লাইসেন্স ও ব্যবাংক একাউন্ট থাকে। আপনি যদি বিক্রমপুরের মিষ্টি কিনতে চান বিক্রমপুরেই মিস্টি সাপ্লায়ারকে পেয়ে যাবেন।
০৫. অথবা আপনি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে টেন্ড্রা এর মাধ্যমে আপনার পন্য সংগ্রহ করতে পারেন। যেমনটা সরকারী প্রতিষ্ঠান ু বড়ো বড়ো কোম্পানী করে থাকে।
০৬. কিছু কিছু কোম্পানীর তালিকাভুক্ত সাপ্লায়ার থাকে। তারা শুধু তাদের কাছ থেকই কেনে। আপনি এরকম একটা তালিকা তৈরী করতে পারেন। খোজ খরব ও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে।
৭. অনেক ক্ষেত্রে আপনার সরবরাহকারী হতে পারে আপনার একজন ব্যবসায়িক অংশীদার । যেমন আপনি পন্যের দরদাম দাম জেনে তাকে অর্ডার করবেন। সে আপনাকে পন্য সরবরাহ করে দেবে কথা থাকবে আপনি শতকরা ১৫ ভাগ লাভ তার সাথে শেয়ার করবেন।
আরো অনেক রাস্তা আছে। আপনি সিদ্ধান্ত নেন কাজ করবেন। তাহলে ঠেকে থাকবেন না। আর সর্তকতো থাকতেই হবে। এসবক্ষেত্রেও কিন্ত প্রতালনা হয়।

15: ভাইয়া , আমি যদি চায়না থেকে কোন প্রোডাক্ট আনতে চাই সে ক্ষেত্রে আমার লাইছেঞ্চ লাগবে। আমি যদি অল্প কিছু প্রোডাক্ট আনতে চাই , সেক্ষেত্রে কি কুরিয়ার করা যাবে ? যদি চায়না আমার কেউ থাকে ।মানে ও যদি পাঠাতে চায় ? একটু বলবেন প্লীজ

যদি বেশী মাল হয় এবং রেগুলার আনা লাগে তাহলে ট্রেড টিন এর পাশাপাশি ইমপোর্ট লাইসেন্স লাগবে। তবে অলপ মাল কুরিয়ারে আনা যাবে। আপনার কোন লোক থাকলে কুরিয়ার করতে পারবে। এবং কোম্পানীর মাল কিনবেন তারাও মাল কুরিয়ারে পাঠাতে পারে।

16: ami akta e-commerce site er product description liksi last 40 days, naturally amake onek porte , jante hosse bivinno topics er upor, like CCTV, security access contro, id card printer etc. ami jante cassi ami ki amar ai jana bisoy gulo niye kisu korte pari online or onno kotao.?

Answer: এসব বিষয়ে আপনি আরো জানতে পারেন। নেটে সার্চ দিয়ে । আর অবশ্যই আপনি আপনার জানা বিষয়ে ব্যবসা করতে চাইবেন। আপনি যে পন্যগুলোর কথা লিখেছেন। এগুলো
মেশিনারী দ্রব্য আমাদের দেশ এখনো ষব পন্য নিয়ে অনলাইনে কেনার মতো মানষিকতা
গড়ে ওঠেনি। আপনি অনলাইনের পাশাপাশি প্রচলিত ব্যবসায়িক পদ্ধতিতেও মার্কেটিং
করতে পারেন

17: Ekta nia babsa korbo? na onekgulo? Answer: apni notun hole ektai valo, R jodi samate paren tahole joto boro korun, somssa nai.

উত্তর: কিভাবে ঘরে বসে সাপ্লাই চেইন মেনটেইন করবো?
উত্তর: প্রথমেই আপনি এ সিুবিধা পাবেন না। যতদিন পর্যন্ত আপনি একটা বিশ্বস্ত নির্ভরশীল ও পেশাদার সরবরাহকারী নেটওয়ার্ক তৈরী করতে না পারবেন। ততদিন আপনি ঘরে বসে এটা করতে পারবেন না। তবে ব্যবসাটা ঘরে বসেই করবেন। এমনটা চিন্তা না করাই ভালো। জনেনতো আমাদের দেশে এখনো সিস্টেম গুলো অতোটা অটো হয়নি।

18: সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের উপর কি কোন কোর্স আছে?
উত্তর: আছে- এবিষয়ে বাংলাদেশে কমপক্ষে তিনটি প্রতিষ্ঠান ৯মাস থেকে ১ বছরের পোস্টগ্রাজুয়েট কোর্স করায়। আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ২-৬ দিনের শর্ট কোর্স করায়।

প্রশ্ন 19: কোন কোন প্রতিষ্ঠান কোর্স করায় ও তাদের সাথে যোগাযোগের উপায় কি দয়া করে বলবেন।

উত্তর:

  1. BUET, 02, Chittagong Chamber, but not regular, they publish announce on news paper when they arrange it (Tk- 5000-6,000/=). Regular: Post Graduate Diploma in Supply Chain Management by BIMS , DBP 100/=

20: ami akta e-commerce site er product description liksi last 40 days, naturally amake onek porte , jante hosse bivinno topics er upor, like CCTV, security access contro, id card printer etc. ami jante cassi ami ki amar ai jana bisoy gulo niye kisu korte pari online or onno kotao.

Answer: এসব বিষয়ে আপনি আরো জানতে পারেন। নেটে সার্চ দিয়ে । আর অবশ্যই আপনি আপনার
জানা বিষয়ে ব্যবসা করতে চাইবেন। আপনি যে পন্যগুলোর কথা লিখেছেন। এগুলো
মেশিনারী দ্রব্য আমাদের দেশ এখনো ষব পন্য নিয়ে অনলাইনে কেনার মতো মানষিকতা
গড়ে ওঠেনি। আপনি অনলাইনের পাশাপাশি প্রচলিত ব্যবসায়িক পদ্ধতিতেও মার্কেটিং
করতে পারেন।

প্রশ্ন: 21
কিভাবে ঘরে বসে সাপ্লাই চেইন মেনটেইন করবো?
উত্তর: প্রথমেই আপনি এ সুবিধা পাবেন না। যতদিন পর্যন্ত আপনি একটা বিশ্বস্ত নির্ভরশীল ও পেশাদার সরবরাহকারী নেটওয়ার্ক তৈরী করতে না পারবেন। ততদিন আপনি ঘরে বসে এটা করতে পারবেন না। তবে ব্যবসাটা ঘরে বসেই করবেন। এমনটা চিন্তা না করাই ভালো। জনেনতো আমাদের দেশে এখনো সিস্টেম গুলো অতোটা অটো হয়নি।

22: ভাই সাপ্লাই চেইন নিয়ে বাংলাদেশে কোন বই লেখা হয়েছে কি (বাংলা বা ইংরেজিতে)

উত্তর আমার জানামতে হয়নি। আমি লিখলে হবে। হা হা হা।

 

আমাদের দেশে যখন কোনো কনসেপ্ট নতুন আসে। সে ব্যাপারে লোকেরা না জেনেই শুরু করে।

শেষকথা:

কেউ কেউ ভুলভাবে শুরু করে। কেউ কেউ সেখান থেকে ফায়দা লুটতে চেস্টা করে। কেউ আবার ধোকার পড়ে েযায়। ফলে হজুগের কারণে ব্যবসা সঠিকভাবে বিকশিত হয়না। বিশাল েএকটা অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এবং শেষপর্যন্ত ক্রেজটা যখন চলে যায়। তখন যারা ঘাপটি মেরে বসে বাজার অবজার্ব করে তারা মার্কেটটা ধরে ব্যবসা করতে থাকে। শেয়ার বাজার আর এমএলএম এর কথা বাদ দিলেও ফ্রিল্যান্সের ও কলসেন্টারের এর ক্ষেত্রে এটা সত্য এটা একইভাবে সত্য ফরেক্স এবং আইটি ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে। কারণ সম্ভাবনা থাকা সত্বেও আমরা এগুলো কাজে লাগোতে পারিনি। এজন্য ই ক্যাব চেস্টা করছে হুজুগ সৃষ্টি না করে ই কমার্সকে সঠিক ও সুষম গতিতে এগিয়ে নিতে। আমিও আপনাদের সাথে এই মহান কাজে শরীক হয়েছি। আমারে কাছে এটা আর্থসামাজিক দিনবদলের কর্মসূচী। তাই কোন উদ্যোক্তা যেন প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য আমরা কনসেপ্টুয়াল কিষয়গুলো বিজনেস টার্মসগুলো সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। কারণ ওয়েবসাইট তৈরী করে এসইও আর ফেইসবুকে মার্কেটিং করার নাম ই কমার্স নয়। এটা একটা পরিপূর্ণ ও বহুমাত্রিক ব্যবসা। যিনি জানবেন বুঝবেন তিনি করবেন যিনি জানবেন না। বুঝবেন না। তার করার দরকার নেই। তিনি অন্য কিচু করুন। দেশে কাজের অভাব নেই। । আর যিনি করতে চাইবেন তিনি জেনে শুনে বুঝে করবেন, অন্যের কাছে শুনে নয়, অনেক টাকা বাতাসে উড়বে সে। িভরসায় নয়, সহজে শুরু করা যায় সেজন্য নয়। আপনি ই কমার্স করবেন আপনি করতে চান, জিনিসটা ভালো বোঝেন আপনার সব ধরনের সক্ষমতা আছে সেজন্য। ধন্যবাদ।

 

22,485 total views, 2 views today

Comments

comments

Your email address will not be published.