মোবাইল কমার্সের কথা আসলেই যে বিষয়গুলো চলে আসে সেগুলো হল- মোবাইল ওয়েব সাইট, এপস্, রেসপনসিভ ডিজাইন, সুন্দর হোম পেইজ, প্রডাক্ট পেইজ, ক্যাটাগরি ,সার্চ, মেনু ন্যাভিগেশন এবং মোবাইল চেক আউট ইউজেবিলিটি। কিন্তু একথা মাথায় রাখতে হবে যে, মোবাইল কাস্টমার সার্ভিসও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এ সম্পর্কে একটি পরিসংখ্যান হচ্ছে ৬৩% আমেরিকান কাস্টমার সার্ভিসে যান মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে এবং এ বিষয়ে তাদের ৯০% এর অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ। আর আমাদের বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এর কোন পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না, কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নতদেশের যদি এই অবস্থা হয় সেখানে ই-কমার্সে শিশু বাংলাদেশের অবস্থা কি হবে তা খুব সহজেই অনুমেয়। তাই এই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এই দিকে আপনি একটু নজর দিলে অনেক ভাল ফলাফল পাবেন। কারনটা খুব সহজ। এখন স্মার্ট ফোন প্রায় সবার হাতে হাতে আর তাদের প্রায় সবাই ফোনে ইন্টারনেট ব্যাবহার করে। তাই মোবাইল ইউজিবিলিটি বাড়ানো ই-কমার্স সাইটের জন্য অত্যাবশ্যক ।
কিভাবে আপনি আপনার সাইটে কাস্টমার সার্ভিস বাড়াবেন জানতে পড়ুনঃ
১। সার্ভিস কনটেন্ট ও টুলকে মোবাইল থেকে এক্সেস করার উপযোগী করুন
এমন অনেক মোবাইল ভার্সন সাইট আছে যেগুলো থেকে কাস্টমার সার্ভিসে এক্সেস করার কোন উপায় নেই। রেসপণসিভ সাইটের জন্য আপনার কাস্টমার সার্ভিসও নিজে থেকে ব্যবহার করা যায় এমন টুল থাকা নিশ্চিত করুন এবং অবশ্যই সেসব যাতে মোবাইল ফ্রেন্ডলি হয়। (টেলিমক মেনুস)
২। আপনার সার্ভিস পেইজটি যেন মোবাইল ফ্রেন্ডলি হয়
রেসপণসিভ অথবা এডাপ্টিভ পে আউটস যেন শুধুমাত্র আপনার সাইটের হোম, ক্যাটাগরি, সার্চ এবং প্রডাক্ট পেইজের জন্য না হয়। সাইটের সব কনটেন্টের জন্য যেন হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
আপনাকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে তাই বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিভাইসগুলোতে টেস্ট করে দেখতে হবে যে সব কিছু ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা। কোনভাবেই যেন উপরের ছবির মত না হয়।
৩। আপনার লিঙ্কগুলোকে কবর দিবেন না
সাধারণত ওয়েব ব্যবহারকারী যেটা করেন তা হল তারা মেনুগুলোকে স্কেন করে টিগার ওয়ার্ডের খোজ করেন। সেগুলো হতে পারে, “কাস্টমার সার্ভিস” ,”কাস্টমার কেয়ার”, “হেল্প” অথবা “কন্টাক্ট আস”।
অনেক সাইটেই এটা দেখা গেছে যে, অনেক বেশি মেনু লিস্টের ভিড়ে কাস্টমার সার্ভিস লিঙ্ক কবর দিয়ে ফেলা হয়েছে। এখানে তার ২ টি উদাহরণ দেখুন।
সাইড নোট ১ঃ আপনি যদি লাইট অন ডার্ক ডিজাইন ব্যবহার করেন তবে গ্রে টাইপ ব্যবহার করা এড়িয়ে চলাই ভাল এবং সাদার দিকে বেশি নজর দেয়া যেতে পারে।
উপরের উদাহরণে কম আলোতে পড়া অসম্ভব অথবা কারো যদি ভিশন প্রবলেম থাকে তবে একই সমস্যা হবে।
সাইড নোট ২ঃ টেক্সট কনটেন্ট এর ক্ষেত্রে একটি সতর্কটা, সব বড় হাতের অক্ষর বা মিক্সড কেস এই দুটির মধ্যে মিক্সড কেস অপেক্ষাকৃত পড়তে সহজ বিশেষত মোবাইল ডিভাইসের ক্ষেত্রে।
আর ওয়েব ইউজিবিলিটি মানে যেহেতু লোডিং সময় যতটা সম্ভব কমানো ।
৪। জায়গা বাড়ানো
আপনার সাইট হিজিবিজি দেখতে হলে হবে না। টেপএবল টার্গেট যেমনঃ লিঙ্কস, মেনু বাটন’স ইত্যাদিতে এ যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা থাকতে হবে। বাইমারড ইন্সটিটিউট এর মতে লিঙ্ক টার্গেটগুলোর মাজে নুন্যতম হিট এরিয়া থাকা উচিত ৭*৭।
কেমার্ট এর সুন্দর একটি উদাহরণ দেখতে পারেন।
৫। সার্ভিস মেনুকে পিনেড মেনু অপসান হিসেবে গন্য করতে হবে
গেস মোবাইল সাইটের একটি নিজস্ব বটম এঙ্কর এপ রয়েছে। যার সাহায্যে ব্যবহারকারীরা সাইটের কনটেন্ট খুব সহজেই ভিজিট করতে পারে। এটি অনেক সহজ এবং ভালভাবে অপ্টিমাজড করা একই সাথে বুড়ো অঙ্গুল দিয়ে সবচেয়ে সহজেই সার্ভিস লিঙ্কে এক্সেস করা যায়।
৬। আপনার সংখ্যাগুলোকে প্রদর্শন করুন
মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমগুলো টেক্সট, মেইল, পেইড সার্চ এড এবং ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি ক্লিক টু কল সাপোর্ট করে। কাস্টমারদেরকে কখনোই মেইল করার জন্য জোর করা উচিত না। আপনি যেটা করতে পারেন তা হল একজন কাস্টমারের যখনই সাপোর্ট দরকার হবে তখনই যাতে সে আপনার কাস্টমার সার্ভিসের ফোন নাম্বার টা পেয়ে যায় সে ব্যাবস্থা করা বা ফোন নাম্বারটি এমন জায়গায় রাখা যাতে করে সহজেই সব ভিজিটরের চোখে পরে। নাম্বারটা শুধু প্রডাক্ট পেইজ থেকে চোখে পড়লে হবে না বরং সেটা এফএকিউ, হেল্প কনটেন্ট এবং অবশ্যাই চেক আউট থেকেও সমান ভাবে চোখে পড়তে হবে ।
এই কাজটি কতটা খারাপ ভাবে করা যায় তার কিছু উদাহরণ নিচে দেখুন (খারাপটা জানলে আপনি ভাল কোনটা খুব সহজেই বুজতে পারবেন)।
আপনার একই ফোন নাম্বার টিকে একাধিক লিঙ্কে সাজিয়ে প্রদর্শন করাটা একটি খুবই ভাল আইডিয়া কারন এমন নয় যে সব মোবাইল ব্যবহারকারীরা ক্লিক করলেই কল করা যাবে এ বিষয়টি বুজতে সক্ষম হবে।
৭। লাইভ চ্যাটের ব্যবস্থা রাখুন
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ৪২% কাস্টমাররা মোবাইলে লাইভ চ্যাট করে থাকে,কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে অধিকাংশ ই-কমার্স সাইটই লাইভ চ্যাট অফার করে না। কারমালুপকে দেখতে পারেন, তারা তাদের সাইটে লাইভ চ্যাটের ব্যবস্থা রেখছে।
তবে চ্যাটের আরো সুবিধাজনক কোন জায়গায় প্লেস করা নিয়ে তাদের আরো ভাবতে পারে । একটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, সেটা হচ্ছে, আপনার সাইটের লাইভ চ্যাটের সময় ।
লাইভ চ্যাটের সময়টা কাস্টমারদেরকে জানিয়ে দিতে হবে। আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের বেলায় অবশ্যই টাইম জোনসহ উল্লেখ করতে হবে। (আপনি জিইও আইপিও ব্যবহার করতে পারেন এতে করে কাস্টমাররা সঠিক টাইম জোন সহজে বেছে নিতে পারবে )
এব্ং অবশ্যই আপনার ফোন নাম্বারে কল করার অপসানকে “লাইভ চ্যাট ” বলা থেকে বিরত থাকবেন।
৮। ডটগুলোকে সংযুক্ত করুন
আপনার কাস্টমার সার্ভিস কেমন পারফরমেন্স করছে এটা জানা আপনার জন্য খুবই জরুরী। এজন্য কোন কোন মোবাইল ব্যবহারকারী আপনার সার্ভিস সেন্টারে ফোন করছে তা আপনি জানতে চাইতে পারেন। ক্যাবেলা’স ঠিক এই কাজটি করছে কাস্টমারদেরকে সাপোর্ট আইডি দিয়ে।
Personal Profile: আনোয়ার হোসেন
Business Page : econtentbd
Website: www.anowerhossain.com
Skype ID : anower009
E-Mail ID: [email protected]
6,601 total views, 2 views today