বিকিকিনি রঙ্গ
জাহাঙ্গীর আলম শোভন
শব্দটা ঠিকই পড়েছেন। বিকিনি নয়, বিকিকিনি। হ্যাঁ আপনারা যারা যে ই কমার্সে নানান কিছু বেচেন তারা বিকিনিও বেচতে পারেন। কিন্তু লেখাটা সে বিকিনি নিয়ে নয়, লেখাটা আপনারা ই কমার্সে নানান কিছু বেচতে চান নানান উপায়ে সে বিষয়ে। তা তাত্বিক আলোচনা নয় কিছু ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন ঘটনার মতো কিছু উদাহরণ তুলে ধরা মাত্র। না এগুলো ই কমার্স এর উদাহরণ নয়। এগুলো প্রথাগত ব্যবসায়ের। কিন্তু ই কমার্স এর জন্য প্রথমে প্রথাগত ব্যবসায়িক জ্ঞান জরুরী। তবে এই লেখাটা হালকা চালের। খুবকঠিন আর কাঠখোট্টা লেখা পড়ে যারা বোর হয়েছেন তাদের জন্য এই লেখা। যারা খুব সিরিয়াস ও ‘‘টাইম নাই’’ টাইপের মানুষ তারা এই লেখা পড়ে সময় নষ্ট করবেন না। নষ্টের চেয়ে সময়ের মূল্য অনেক বেশী। হা হা হা। লেখাটা বেচাকেনার নানা রংএর অভিজ্ঞতা নিয়ে। রসাত্মক লেখা। হয়তো কিছুটা কাজে লেগে যেতেও পারে।
এক.
ছোট একটা ছুটকি দিয়ে শুরু করি। মার্কিন মুল্লুকে দুইভাই শীতবস্ত্রের দোকান দিয়ে বসেছে। আমাদের দেশের হকার্স মার্কেটের মতো আরকি। ক্রেতারা এসে দরদাম দেখছে। এক ভদ্রলোক এসে জামাগুলো দেখছেন। দেখে টেখে তিনি ছোটভাইটাকে দাম জিজ্ঞেস করলেন। ছোটটা দোকানের সামনের দিকটা সামলায় আর বড়ভাই সামলায় পেছনের দিক। ছোট আবার সব জিনিসের দাম ভালো জানে না। বোঝেন এবার! দেখেন কি হয়? তো ছোট ক্রেতার হয়ে বড়কে দাম জিজ্ঞেস করে ‘‘ব্রাদার, নীল সোয়েটার টার দাম কত’’? ‘‘কোনটা’’? বড়ভাই হাকে? ‘‘এইযে লেটেস্ট মডেলের কোয়ালিটি ভালো সেটা’’ ছোট দেখিয়ে বলে। ‘‘ও ওটা’’ বড়ভাই জ্ঞানীর মতো করে বলে ‘‘ওটা এইটি ডলার, শুধু আজকের জন্য’’ ছোট আবার জিজ্ঞেস করে যেন দামটা ক্রেতা ভালোভাবে শুনতে পায় ‘‘ কত বললে দাদা, বুঝিনি’’। দাদা বলে ‘‘ এইটি ডলার, এইটি’’। ক্রেতা স্পষ্ট শুনতে পান জামাটার দাম এইটি ডলার। এবার আসল চালটা চালে সে। ছোটভাই খুব উৎসাহ নিয়ে বলে ‘‘ বল্লাম না মাত্র ফোরটি ডলার, কাস্টমার আস্তে বলে ‘‘কতো’’, সে বলে ‘‘ফোর্টি ডলার মাত্র, আগেইতো বলেছি, আমাদের এখানে কম দামে ভালো জিনিস পাওয়া যায়’’। ক্রেতা ভাবেন ছোটভাইটা ভুল করছে বড়ভাই দাম বলেছে এইটি ডলার আর ছোটভাই শুনেছে ফোরটি ডলার। এই জামা কিনলে নিশ্চিত আরো ফোরটি ডলারের একটা জিত হবে। ক্রেতা কথা না বাড়িয়ে ফোরটি ডলার দিয়ে সোয়োটারটা কিনে খুশিতে গদগদ হয়ে বাসায় ফিরে আসেন। বাসায় এসে উল্টেপাল্টে দেখে যে মনে হয় তিনি ঠকেছেন। ২/১ জনকে দেখানোর পর বোঝা যায় যে এটির মূল্য আসলে ১০ থেকে ১২ ডলারের বেশী নয়।
আপনি ভাবছেন। লোকটা কি বাঙালী। না ভাই আমেরিকান। তাদের মধ্যেও চিকন বৃদ্ধির লোক আছে। তবে যে কিনেছে সে বাঙালী হওয়ার চান্স আছে। যাই হাক ই কমার্স ব্যবসায়ী হিসেবে আপনাকে অবশ্যই এ ধরনের শঠতা থেকে দূরে থাকতে বলব। আমার আজকের লেখার বিষয় হলো মানুষ আসলে অনেকভাবেই কাস্টমারকে পটাতে পারে। আসুন শুনি এরকম কিছু গল্প। হয়তোবা এর থেকে আমরা কিছু শিক্ষনীয় পেতে পারি। আপনারা না পেলেও আমিতো শিখার কিছু পাবোই কারণ আমিতো লিখিই শেখার জন্য।
দুই.
ধরেন বসুন্ধরা সিটিতে ক্রেতা শাড়ী কিনতে গেছেন। দোকানী জানতে চাইল ‘‘কার জন্য, কেমন শাড়ী চান’’?। তিনি যে শাড়ী দেখেন সেলসম্যান বলে ‘‘নিয়ে যান ভাই, এটা ভাবীকে বেশ মানাবে’’। একপর্যায়ে ক্রেতা বিরক্ত হয়ে বলেন ‘‘ আপনি কি করে জানেন যে আমার বউকে কোন শাড়ী মানাবে’’? দোকানী চালাকি করে কথা ঘুরায় ‘‘আপনার বউর কথা কে বলেছে, আমিতো আমার ভাবীর কথা বলেছি’’। ‘‘আচ্ছা তুমি যদি তোমার ভাবীর কথা বল তো তোমার ভাবীকে কোন শাড়ী মানাবে সেটা আমি আমার বউএর জন্য কিনবো কেন’’? কাস্টমার প্রশ্ন করে। এবার দোকানী বলে ‘‘ভাই আপনারা তো ডলের পরনে শাড়ি দেখে কিনেন, সেটা মানিয়েছে দেখে কিনে নিয়ে যান যে শাড়ি আমার ভাবিকে মানাবে সেটা কিনলে অসুবিধা কোথায়’’? সেলসম্যান এবার একটু লম্বা জবাব দেয়। ‘‘তা বেশ তোমার ভাবীকে ডলের মত শাড়ি পরিয়ে রাখনা কেন’’? কাস্টমার কিছুটা চালাকির সুরে বলে। দোকানী বলে ‘‘আমার ভাবীইতো এই শাড়ি পরেছে তারপর ডলের গায়ে উঠেছে’’। কাস্টমার বলে ‘‘মানে কি’’? এবার কথা ঘুরিয়ে সেলসম্যান বলে ‘‘মানে খুব সহজ এই ডলগুলোই কোনটা আমাদের ভাবী কোনটা আপু , আমরা এগুলোকে সেভাবেই নাম দিয়ে ডাকি।
কাস্টমার কিছুটা ধতমত খায় কথায় না পেরে। ইতোমধ্যে কাস্টমারের সাথে সেলসম্যানের একটু দূরত্ব তৈরী হয়। দুজনেই কাটাকাটা কথা বলে। আর শেষপর্যন্ত লেনদেনটা হয়না। এজন্য এই গল্প থেকে শেখার রয়েছে। এ ধরনের ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই ইতিবাচক হতে হবে। কাস্টমারের সাথে কোনুরপ চালাকি না করে সুন্দর সাবলীল ভাষায় পন্যটি বিক্রি করাতে হবে।
তিন.
আমাদের ই ক্যাবের মেম্বার আবু সফিয়ান নীলাভ, আমি বলি নাইলাভ, রাজীব ভাই বলেন নিলোভ। এত রকম বলার কারণ তার নামের বানান। তিনি অরিজিন নোয়াখালী. হোম খুলনা। নোয়াখালীর এক লেখকের লেখা থেকে খুলনার একটা ঘটনা তুলে দিলাম। হবহু তুলে ধরা হলো-
বলছিলাম সাত্তার দালালের কথা। প্রতিদিন সকালে খালিশপুর থেকে সাইকেলে খুলনা গিয়ে ডাক বাংলো পিকচার প্যালেসের মোড়ে আনাগোনা করা তার নিত্য দিনের কাজ। যদি কোনো মক্কেল পাওয়া যায়! একদিন এমনি হঠাৎ করে তার সাথে পরিচয় হলো একজন বোম্বেওয়ালার সাথে। কিভাবে সে জানতে পারলো যে তিনি খুলনায় একটা বাড়ি কেনার কথা ভাবছেন। আর পায় কে? সাত্তার তাকে অনেক বাড়ি ঘর দেখালো, কোনোটাই ক্লাইন্টের তেমন পছন্দ হলো না। শেষতক সাত্তারের মাথায় এক দুষ্টু বুদ্ধি এলো। বললো, ‘সাব চলিয়ে আপকো আজ এক বহুত আচ্ছা ঘর দেখায়েঙ্গে।’ বোম্বেওয়ালা বেচারী তার সাথে ঘর দেখার জন্যে রওনা হলো। সাত্তার তাকে নিয়ে সার্কিট হাউসের সামনে এসে দাঁড়ালো এবং হাতের ইশারায় বললো, ‘সাব এহী হ্যায় বিল্ডিং, বহুত আচ্ছা হায় না?’
সার্কিট হাউস সরকারী বিল্ডিং। বড়ো বড়ো মšী মিনিস্টার সরকারী আমলা ও ভি আই পিরা এখানে থাকেন। এটা একজন পাবলিক কিভাবে বিক্রী করবে, তাছাড়া এ ধরনের কোনো বাড়ি বিক্রী করতে হলে তার কাগজপত্র ইত্যাদি যাচাই বাছাই করাও তো দরকার। কিন্তু বোম্বেওয়ালার সেই সময় নেই। বাড়ি তার পছন্দ হয়েছে। সামনে পেছনে বিরাট মাঠ, ফাঁকা জায়গা, এমন বাড়ি হাত ছাড়া করা যায়! সাথে সাথেই সে বায়না করতে চাইলো। সাত্তার তো এই সুযোগেরই অপেক্ষা করছিলো। ‘অফার’টা খুব লোভনীয় তাই বায়নার পরিমাণ কমপক্ষে ১০ হাজার হতে হবে। সাত্তার বললো, ‘কোই বাত নেহী-লাও পয়সে, দেখনা, কাঁহি হাম সে ছুট না জায়ে।’ সাত্তারকে আর পায় কে? সে টাকাটা নিয়েই পগার পার!
(বই: দজ্জালের পা, হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ, মুনমুন পাবলিশিং হাউস, ঢাকা, পৃষ্ঠা ৪৬, প্রথম প্রকাশ মে ২০০৪)
এটা স্বাধীনতা পরবর্তী ঘটনা বুঝুন ১০ হাজার টাকার কত দাম। একজন দালাল বলি , মিডিয়াম্যান বলি বা মার্কেটিং এর লোক বলি। তার খুব ভালো দক্ষতা না থাকলে এ ধরনের দক্ষ মার্কেটিং করা যায়না। অনেক সময় বড়ো বড়ো কেম্পানীতে বলে যে জিনিস কেউ নেয়না সেটা বিক্রি করাটাই বিক্রয়কর্মীর ক্রেডিট। কোম্পানীর যে পন্যটি কম চলে সেটার বিক্রি বাড়ানোই ব্যবসায়ী হিসেবে আপনার দক্ষতা।
চার.
আপনাদের নিশ্চই ইত্যাদি অনুষ্ঠানে প্রচারিত সেই মোজা বিক্রেতার কথা মনে আছে। ওইযে সে গানটা ‘‘এই শহরে আমি যে এক নতুন ফেরীওয়ালা’’ দুইজন মোজা বিক্রেতা রাস্তায় পাশাপাশি বসেছে। একজন নতুন একজন পুরাতন। প্রথমে দুইজন ৪০ টাকা করে মোজা বিক্রি শুরু করলেন। যখন পুৃরান ব্যবসায়ী ৫ টাকা কমিয়ে দিলেন তার প্রতিদ্ধন্ধিও কমিয়ে দিলেন১০ টাকা। এভাবে যখন নতুন বিক্রেতা কমাতে কমাতে ১০ টাকায় আনলেন তখন পুরানো বিক্রেতা তার সব মোঝা ১০ টাকা জোড়া দরে কিনে নিলেন। তারপর তিনি আগের দামে মানে ৪০ টাকায় বিক্রি শুরু করলেন। এই দৃশ্য দেখে নতুন ব্যবসায়ীর মাথায় হাত। কিন্তু পরুনো ব্যবসায়ী তখন গান গায় ‘‘ এই শহরে আমি যে এক পুরান ফেরীওয়ালা’’। সূতরাং বেচাকেনায় ব্যবসায়িক কৌশলের শেষ নেই। এগুলো যতটা না দেখে শেখে তার চেয়ে বেশী শেখা হয় প্রয়োজনের তাগিদে। আমি নিজে কোন কিছু কেনাকাটার জন্য দোকানে গেলে আগে হালকা দুটো কথা বলে দোকানদারের সাথে ভাব জমানোর চেষাটা করি।
পাঁচ
কতোজন কতো কৌশলে নিজের ব্যবসার প্রসার করছে আমরা ক জনই বা তার খবর রাখি। আমাদের দেশে অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক গ্রুপ আছে। যাদের নতুন প্রজন্মের একজন উদ্যোক্তা রয়েছেন কিন্তু তিনি নিজেকে কর্মী পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। আমি যখন প্রথম কনসাল প্লাস নামে কনসালটেন্সি শুরু করি। তখন অনেকে কেমন কেমন মনে করতো। তখন আমি নিজেকে কনসাল প্লাস এর একজন কর্মী বলে পরিচয় দিতাম। ফিলিপস কোম্পাানী প্রথম যখন এদেশে ব্যবসায় শুরু করে তারা খুব হাইফাই গেটআপ দিয়ে মার্কেটিং করার জন্য বাজারে লোক ছাড়ে। কিন্তু কাংখিত ফল আর আসেনা। পরি কি মনে তারা তাদের বিপনন প্রতিনিধিদের মার্কেটিং গেটআপ সাধারণ পর্যায়ে নিয়ে আসে। ফলে ছোট ছেটা দোকানীরা সহজে তাদের সাথে মেশে এবং তাদের পন্য বিক্রয় করা শুরু করে। এমুিন অনেক ্ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটে বাজারে। এজন্য প্রতিটি পন্যর ধরণ ওপ্রয়োজন বুঝে উদ্যোক্তাকে পলিসি ঠিক করতে হবে। যিনি তার সময়ের সাখে কাল মিলিয়ে গতি রেখে চলতে পারবেন। তার জন্য মূণত সাফল্যের প্রতিক্ষা।
ছয়:
আপনি আপনার ব্যবসা বিভিন্নভাবে করতে পারেন। কিন্তু সফল হওয়ার রাস্তা কিন্তু চিনতে হবে। একজন গ্রাম্য মৌলভী সাহেবকে এক বেয়াড়া ধরনের লোক এসে জিজ্ঞেস করলো, ‘হুজুর, বলুন তো-উলংগ হয়ে নামায পড়লে তা কি শুদ্ধ হয়?’ হুজুর বলরেন, ‘তৌবা, তৌবা, বলে কি! নামায পড়ার জন্যে শরীরের বিশেষ বিশেষ অংশ (সতর) ঢাকা যে ফরয! এ ছাড়া নামায হবে কিভাবে?’ বেয়াড়া লোকটা বললো, ‘না, হয় তো! আমি পড়ে দেখেছি, কই কোথাও তো অসুবিধা দেখিনি! এরকম দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আমরা অনেক সময় অনেক কিছু ধরতে ও বুঝতে পারিনা। ফলে সঠিক পথ থেকে দূরে সরে যায়। অনেকে দেখা যায় ব্যবসায়ের জরুরী কিছু বিষয়কে অবহেলা করেন। অনেকে আবার এথ্ক্সি এর বিষয়গুলো এডিড়য়ে যান ফলে নিজেরা নিজেদের ব্যবসার প্রতি সন্তুষ্টও থাকেন। কিন্তু একটা পর্যায়ে গেলে তারা বুঝতে পারেন তারা সঠিক পথে আগাতে পারেননি।
সাত
এ পর্বে একটি নিউজ শেয়ার করা যাক যেগুলো নেতিবাচক নয় ইতিবাচক
প্রগতির জন্য মার্কেটিং- এই প্রত্যয় নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সমকালীন সময়ের সর্ববৃহৎ মার্কেটিং ক্যাম্পেইন। আয়োজন করে মার্কেটিং বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার মার্কেটিং ফর মার্কেটিং সাইন্স (সিএমএস)। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা সৃষ্টি ও জাগ্রত করা এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল। ক্যাম্পেইনে ইউআইইউর ২২টি দল ২২টি সামাজিক সমস্যাকে তুলে ধরে। ক্যাম্পেইনে শিশুশ্রম, বৃক্ষনিধন, ধূমপানবিরোধী, ফাস্টফুড সংস্কৃতি, ভেজালযুক্ত খাদ্য, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির অপচয়, বিদেশি সংস্কৃতির প্রতি অতি আকর্ষণ, মাদক সমস্যা এবং যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয়সহ বেশ কিছু সামাজিক সমস্যা চিহ্নিত করা হয়। ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান। এছাড়ও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ সোহেলউজ্জামানসহ অনেকে।সূত্র: (See more at: http://www.alokitobangladesh.com/economics-business/2013/09/05/20282#sthash.eDYOIM3h.dpuf)
এই নিউজটির মাধ্যমে নতুন একটা ভাবনার খোরাক দিলাম। আমি নিজে আর কোন আলোচনা রাখলাম
না।
আট
আমার খুবই ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু। আবদুল গফুর রানা। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাড়ী। কিশোর বয়স থেকে বুদ্ধি খাটিয়ে ব্যবসা করেন। এবং একজন সফল ব্যবসায়ী। বর্তমানে রংপুরে তার বেকারী ব্যবসা রয়েছে। তো যখন কোন কারণে তার পন্য বিক্রয় কমে যতো আর তার কম্টিটিটরের পন্য বিক্রি বাড়তে। তখন তিনি তার বন্ধুদের সাহায্য নিতেন। তার বন্ধুরা এলাকার বিভিন্ন বাজারে দোকানে ঘুরে ঘুরে চা খেত, চা খাওয়ার সময় বলত ‘‘মদীনা বেকারীর বিস্কুট দেন, মদীনা বেকারীর বিস্কুট না হলে চা খাবোনা। তো একটি দোকানে সপ্তাহে ৩ দিন এই ঘটনা ঘটলে দোকানী তখন মদীনা বেকারীর বিস্কুট রাখার কথা ভাবত। এই কাজটা আমিও করি বাধ্য হয়ে আমি দীর্ঘ ১৫ বছর যাবদ মিল্লাত ঘামাচি পাউডার ব্যবহার করি, ১২ মাস। যদিও গরমেও আমার কখনো ঘামাচি হয়না। তো আমি যে এলাকায় যাই সে। লোকায় প্রথম দেখি কেউ এটি রাখেনা। তখন আমি বিভিন্ন দোকানে ১৫ দিন ১মাস পর পর জিজ্ঞেস করি মিল্লাত পাউডার আছে কিনা। যদিও আমি জানি নেই। এবং আমি এর বদলে অন্যটা ক্রয় করিনা। আমি একটু শুধু সবগলে ব্যবহার করি, এবং সত্যিকার অর্থে অন্যকোন দামী পাউডারে আমার চলেওনা। তারপর একমসয় দেখা যায় দোকানগুলোতে এটা পাওয়া যাচ্ছে।
নয়
নিজেকে মার্কেটিং এর আরেকটি অদ্ভুৎ বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করি। মুম্বাইতে একটা সম্প্রদায় রয়েছে যারা ছারপোকাকে মনে করে ঘরের লক্ষী, তো এরা ঘরের বাইরে একটি খাটমতো ছোট বিছানায় ছারপোকা পালে। আর ঘরে ঔষধ দিয়ে রাখে যেন ছারপোকা ঘরের ভেতরে আসতে না পারে।কিন্তু রক্ত না পেলে ছারপোকাদের চলবে কি করে? তো তারা অন্য লোকদের দিয়ে ছারপোকাকে রক্ত খাওয়ায়। যারা নিজেদের রক্ত ছারপোকা দিয়ে খাওয়ায় তারা কিন্তু প্রফেশনাল। পেশাদার ভাবেই তারা এই কাজ করে। তারা সেসব এলাকার অলিগলিতে গামছা পাকিয়ে সে ঘামছাকে মাথার ওপর ঘোরতে ঘোরাতে জোরে জোরে ডাক দেয় যে, কেউ কি ছাড়পোকাকে রক্ত খায়ায়াবে কিনা? প্রতি ঘন্টায় ২/শ আড়াইশ টাকা হারে তারা এই কাজ করে থাকে। প্রয়োজনের তাগিদেই মানুষ ব্যসা পেশা ঠিক করে এবং প্রয়োজনে মানুষ সেটা মার্টিং করে। সূতরাং আজকের ই কমার্স ব্যবসাতেও পেশাদারিত্বর এবটা ব্যাপার রয়েছে।
দশ
আপনি একজন ই কমার্স উদ্যোক্তা হিসেবে আপনি অনলাইনের অনেক সুবিধা ব্যবসার প্রমোশন বা মার্কেটিং এর জন্য ব্যবহার করতে পারেণ। ব্যবহার করতে পারেন প্রচলিত পন্থাও।সামাজিক বিপনন। সামাজিক যোগাযোগ বিপনন। এমনকি এফিলিয়েটেড মার্কেটিংসহ নানা অপশন।
তথ্যসূত্র
http://www.alokitobangladesh.com/economics-business/2013/09/05/20282#sthash.eDYOIM3h.dpuf)
আলপিন, দৈনিক প্রথম আলো,
ক্যারিয়ার গাইড, যায়যায়দিন।
(বই: দজ্জালের পা, হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ, মুনমুন পাবলিশিং হাউস, ঢাকা, পৃষ্ঠা ৪৬, প্রথম প্রকাশ মে ২০০৪)
http://www.techdoctor24.com/entrepreneur/post-id/5495
7,677 total views, 3 views today