বন্দর নগরী চট্টগ্রাম হোক স্বপ্নপূরণের সারথী: প্রেক্ষিত ই কমার্স
জাহাঙ্গীর আলম শোভন

বন্দর নগরী চট্টগ্রাম শত শত বছর ধরে এই বাংলায় প্রবেশের এক উদার উন্মুক্ত দ্বার। এই দুয়ার দিয়ে প্রবেশ করেছে দুনিয়ার নানা জাতিগোষ্ঠির লোক, যারা এই বাংলায় এসে বনিকগিরি করেছে, বসতি স্থাপন করেছে, ধর্ম প্রচার করেছে এবং সংস্কৃতির মিশেল ঘটিয়েছে। সূতরাং সমুদ্র পোতাশ্রয়ী চ্ট্গ্রাম কখনোই শুধু ব্যবসায় বাণিজ্যের কেন্দ্র হয়ে সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং শিল্প, সাহিত্য, ধর্ম রাজনীতি সবকিছুরই নতুন ধারনার প্রবেশদ্বার এই চট্টগ্রাম। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে মালবোঝাই ট্রাকের সারি দেখলে আমরা বুঝতে পারি চট্টগ্রাম যেন আমাদের অন্নসংস্থাপন এর একটা মাধ্যমও বটে। বারো আউলিয়ার পূন্যভুমি বলা হয় চট্টগ্রামকে, আজ থেকে হাজার বছর আগে আরব্যবণিকদের পথ ধরে এখানে আসেন সুফী পীর দরবেশরা তারা ইসলামের বিকাশ ঘটান এই অঞ্চলে। এখানে আসে আরো নানা জাতি গ্রীক, পারস্য, তুর্কি, আরব্য, পশ্চিমি, ডাচ, ফিরিঙ্গি, ইংরেজ, রোমক, বাজেন্টাইন, মিশরীয়, অসিরিয় নানা বনিক জাতি। তাদের সাথে কাছ থেকে ব্যবসায়িক চেতনা পেয়েছে এখানকার লোকেরা আর এখানকার মানুষ যুদ্ধ করেছে প্রকৃতির উদ্দাম তুফান আর সাগরের উত্তাল তরঙ্গের সাথে। ফলে এরা সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী । এখানে সমুদ্র বন্দর থাকার কারণে যেমন এখানকার মানুষের জীবিকায় ব্যবসায় বানিজ্যের প্রভাব রয়েছে ফলে এটিও একটি কারণ এখানকার অধিবাসীদির সাহস ও উদ্যম এর।
সাহস- উদ্যম- নেতৃত্বে এখানকার বীরেরা বার বার নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে ইতিহাসের সব যুদ্ধবিগ্রহে। মুগল পাঠন যুগের সন্ধিক্ষনে যখন মারাঠিরা এখানে লুটতরাজ চালায় তখনো এখানকার লোকেরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো। তখন আরাকান কেন্দ্রীক এক সুন্দর রাজনৈতিক সভ্যতার বিকাশ হচ্ছিলো ধীরে ধীরে। যদিও আর বিভক্ত আরাকানের ভুগোল শুধু নয় অহিংসার নামে হিং¯্রতার কবলে বিধ্বস্থ আরাকান সংলগ্ন রোহিঙ্গার মানবতাও। এখানেএ ব্রিট্রিশবিরোধী আন্দোলন এর সূচনা হয়। সমগ্র ভূভারতে তখনো  কোটি কোটি শোষিত জনতা, তবুও ইউরোপিয়ান ক্লাবে হামলা, আর অস্ত্রগার লন্ঠনের সর্বপ্রথম সফল অভিযান চালিয়েছিলো এখানকার বীরযোদ্ধারা, সেই মাস্টারদা সূর্যসেন আর প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।
হয়তো সেজন্য ই কমার্স ফেয়ার এর মধ্য দিয়ে এখান থেকে এক নবযাত্রা শুরু করেছে ই কমার্স এসোসিয়েশান অব বাংলাদেশ- ই ক্যাব। এখানকার ব্যবসায়িক সমৃদ্ধি, ্ওইতিহাসিক গৌরব, রাজনৈতিক অবদান, ধর্ম ও কৃষ্টি কালচারের পরিপূর্নতা এখানে এক আশা জাগানিয়া সকালের সূচনা করেছে আজ ২৮ মে ২০১৫।

Shopper-Marketing-Specialist
একটি অতীত অভিজ্ঞতা হলো সব ধরনের উদ্যোগে এখানকার অঞ্চল নেতৃত্ব দিলেও তথ্যপ্রযুক্তিতে এখানকার গতিশীলতা কিছুটা কম। কম বলতে অবশ্যই দেশের সব অঞ্চলের চেয়ে কম নয়। তবে ঢাকার পরেই এর স্থান। কিন্তু বানিজ্যিক রাজধানী হিসেবে ঢাকার সাথে এর ব্যবধান একটু বেশী অন্তত তথ্যপ্রযুক্তিক্ষেত্রে। এখানে যে পরিমাণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, এবং রফতানী মূখী শিল্প সে তুলনায় প্রযুক্তির ব্যবহার যথেষ্ঠ নয়। এখানকার ব্যবসায়ীরা একটা ডিজিটাল ক্যাশ রেজিস্টার এর কথা ভাবতে প্রচুর সময় নেন, একটা একাউন্টিং সফটওয়ার নেবেনে কিনা সে সিদ্ধান্ত নিতে বছরের পর বছর পার করে দেন, যদিও দেশে আইটি খাতে নেতৃত্বদান কারী কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এ অঞ্চলেরর, রয়েছে আইটি শিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।। এমনটা হওয়ার কয়েকটি কারণও রয়েছে প্রথমত: এখানকার লোকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বই থেকে ব্যবসা শিখেননি এরা ব্যবসা শিখেছেন বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই পারিবারিক ও উত্তরাধিকার সূত্রে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি নেয়ার পরও ব্যবসার জন্য পূর্বসূরীদের অনুসরন করেন বেশী, যদিও ব্যবসা ক্ষেত্রে প্রকৃত অর্থে কেতাবী জ্ঞান এর চেয়ে বাস্তব জ্ঞানই বেশী প্রযোজ্য ফলে তারা আগের রেখে যাওয়া পক্রিয়া অনুসরন করেন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে যেমন সহজে নতুন কিছু গ্রহন করেন ব্যবসা ক্ষেত্রে তা সম্ভবত করেন না। আর আরেকটা কারণ হতে পারে এরা আসলে জাত ব্যবসায়ী, যেহুতু ব্যবসা ভালো চলছে সেহেতু খুব জরুরী দরকার না হলে এখানকার ব্যবসায়ীরা প্রযুক্তিপন্য ব্যবহার করার কথা ভাবেন না। যদিও অন্য ক্ষেত্রে কিন্তু এরা অনেক এগিয়ে সেটা পার্সোনাল গেজেট বলি, চিকিৎসা সেবা বা লাইফ স্টাইল সব ক্ষেত্রে। এর আরো একটা কারণ হলো ব্যবসায়ের বিনিয়োগ ও লাভ লোকসানের জটিল হিসাব এবং প্রতিযোগিতা এখানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী কয়েক পুরুষ ধরে প্রতিষ্ঠিত তাদেরকে খুব বেশী প্রতিযোগিতায় পড়তে হয়না ফলে তারা অন্য থেকে কিভাবে এগিয়ে থাকবে এবং এগিয়ে থাকার জন্য ডিজিটাল টেকনোলজির ব্যবহার একটা মাধ্যম হতে পারে সেই ভাবনাটা জরুরী নয়। তাই যেকান নতুন কেটনোলজি বা আইডিয়া আসলে সেটা ঢাকার সাথে সমানতালে এখানে গৃহিত হয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঢাকার আগেই এখানে চালু হয় কিন্তু সেটার বিস্তৃতিটা প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়না।

এটা নিয়ে কোন জরিপ বা পরিসংখ্যান হয়েছে বলে জানা নেই। তবে একটি আইটি ফার্মের মার্কেটিং অবজার্ভেশনে দীর্ঘ এক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমি এটা বলছি। তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে যারা কাজ করেন তারা আমার সাথে হয়তো একমত হতে পারেন।  এজন্য এখানে জনসাধারনের মাঝে ব্যবসায়িক প্রযুক্তি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচীর প্রয়োজন রয়েছে। তার অর্থ এই নয়যে এসব ব্যাপারে দেশের অন্য অঞ্চলের তুলনায় পিছিয়ে। বরং রাজধানী ব্যতিত অন্যযেকোন অঞ্চলের চেয়ে এগিয়ে। কিন্তু অনেকে মনে করেন বানিজ্যিক রাজধানী এবং পর্যটন আর্কষণ এর শহর হিসেবে এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের আরো অগ্রগামী থাকা উচিত। যেন চ্ট্গ্রামকে সবাই রোল মডেল হিসেবে অনুসরণ করতে পারে।
আজ ই ক্যাব মেযন তাদের জায়গা থেকে একটি ফেয়ারের  আয়োজন করেছে অন্যদেরও উচিত তাদের নিজেদের অবস্থান থেকে এই কাজে এগিয়ে আসা।
এজন্য যা করা যেতে পারে, বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ এবং চট্টগ্রাম শহরে আমার বাস করার অভিজ্ঞতার আলোকে ১০ দফা সুপারিশ পেশ করছি
এক: জনসাধারনের মাঝে প্রযুক্তি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারনা প্রয়োজন, পত্রিকায় টেক. টেক পন্য, টেক এপ্লিকেশন নিয়ে ফিচার বেশী বাড়ানো উচিত। টেক নিউজগুলোর গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করাও দরকার।
দুই: সরকারী প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ফরম্যাটে সেবা চালু করা উচিত। মন্ত্রণালয় বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশন এর বিভিন্ন সেবা যেমন কর প্রদান, ট্রেড লাইসেন্স, অভিযোগ, নিবন্ধন, ইত্যাদি সেবা অনলাইনে নিয়ে আসা উচিত। এবং চট্টগ্রাম সম্পর্কে প্রচুর তথ্য ইন্টারনেটে দেয়া উচিত। এটা সরকারী সেবরকারী যেকোনভাবে হতে পারে,  হতে পারে স্বেচ্চাসেবি কোন উদ্যোগের মাধ্যমেও।
তিন: এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতলগুলোতে প্রযুক্তিগত সেবা ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ, প্রয়োজনে তাদেরকে বিশেষ সুবিধা প্রদানকরে বিভিন্ন অনলাইন সার্ভিস ও সফটওয়ার ব্যবহারে প্ররোচিত করলে জনগস সহজেই টেকনোলজির সাথে পরিচিত হতে পারবে। (পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালের প্রযুক্তিসেবা আমাকে মুগ্ধ করেছে, আমি কয়েকবছর পরে সেবা নিতে গিয়ে দেখলাম আবার পূর্বের সেবার বিস্তারিত বিবরণ তাদের সার্ভারে রয়েছে)
চার: এখানকার বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের কম্পিউটার সাইন্স, ইয়রেজী ও ব্যবসায় বিভাগের সিলেবাসকে আরো যুগউপোযোগী করে আর্ন্তজাতিক মানসম্পন্ন করে গড়ে তোলা জরুরী। এখনো এখানকার গার্মেন্টস, আইটি ফার্ম, হোটেলগুলোতে শ্রীলংকান ও ভারতীয় উচ্চপ্রদস্থ অফিসাররা কাজ করছেন। সেখানে আমরা স্থানীয়দের দেখতে পারলে বালো লাগতো।
পাঁচ: এখানে প্রযুক্তি ও ই কমার্স উদ্যোগ যারা গ্রহণ করবে তাদের জন্য শর্ত শিথিল ও প্রয়োজনীয় আর্থিক, আইনগত ও অন্যান্য সুবিধা সহজপাপ্য করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
ছয়: নগরীর সোন্দর্য বন্ধনে প্রাকৃতিক দৃশ্যকে প্রাধান্য দিতে হবে, দখলহওয়া খাল উদ্ধার করে জলাবদ্ধাতা নিরসন করতে হবে, ময়লা আবর্জনা নিরসনে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। যানজট নিরসন ও সৌন্দর্যবর্ধন এবং উন্নয়নের মাইলফলক রচনার জন্য ২/১টা টানেল নির্মাণ হতে পারে। যেগুলো হবে দেশের প্রথম পাহাড়ী টানেল।
সাত: পৃথিবীতে খুব কম শহরই আছে যাদের সাগর নদী পাহাড় বন্দর আর সৈকত এর এক দারুন কম্বিনেশন রয়েছে। তাই পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে দেশী বিদেশী সরকারী বেসরকারী উদোক্তা এবং বিশেষজ্ঞ, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে। তথ্যপ্রাপ্তি সহজ, নিরাপদ ও পরিচ্চন্ন নগরী, আলাদা টুর্স্টি জোন, টুরিস্ট বান্ধব হোটেল মোটেল ও পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে।
আট: চট্টগ্রাম অঞ্চলকে কেন্দ্র করে আলাদা ডেলিভারী সিসটেম গড়ে তোলা যেতে পারে যা ই কমার্স এর উন্নয়নে অবদান রাখবে। এই মডেল সফল হলে পরে অন্যান্য বিভাগেও স্বতন্ত্র ডেলিভারী প্রকল্প থাকতে পারে। ডাক বিভাগকে করা যেতে পারে আরো আর্ধনিক, গতিশীল ও কর্মমূখী। ই কমার্স উদ্যোক্তাদের পন্য সমাবেশ ও পন্য সংগ্রহ এবং পন্য প্রর্দর্শনের জন্য ভিন্ন প্লাটফরম বা পিক পয়েন্ট থাকতে পারে। তরুন শিক্ষিত প্রজন্ম ই কমার্সে সংযুক্ত হলে এখানকার বেকার সমস্যার চাপ অনেকটা লাগব হবে। আর এই ব্যবসায় বিকশিত হওয়ার সবচে উপযুক্ত শহর চট্টগাম তার কারণ: ক. এখানকার লোকেরা ব্যবসা ভালো বোঝে, খ বিদেশ থেকে  আসা যেকোন পন্য এখানে পাওয়া সহজ, গ. চট্টগ্রামের রয়েছে নিজস্ব শতশত পন্য যা এখানকার কৃষক, জেলে ও শ্রমিকরা উৎপাদন করে থাকে। ঘ. এখান থেকে প্রতিদিন শত শত মালবাহী গাড়ি সারাদেশের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঙ. এখানে কোনো কোনো ক্ষেত্রে খরচ ঢাকার তুলনায় কম রয়েছে। চ. এখান থেকে চীনের  দূরত্ব কম বলে সেখান থেকে সহজে অল্পখরচে পন্য আসতে পারে। (অদূর ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম চীন ট্রেন লাইন চালু হলে এক নতুন দিগন্ত উমোমচিত হবে)
নয়: পুরো চট্টগ্রামকে বিভিন্ন সফলতা প্রচার করে ইতিবাচকভাবে বিশ্বের দরবারে বিভিন্ন ভাবে তুলে ধরা।
দশ: চট্টগ্রাম বন্দরকে আরো কার্যকর , আধুনিক ও গতিশীল করে গড়ো তোলা। প্রযুক্তির মাধ্যমে এখানকার অনিয়ম দূনর্িীতি দূরকরার ব্যবস্থা করা। এবং ই কমার্স ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রধান করা।
উপরোক্ত কাজগুলোর কিছু সরকার করবে কিছু কাজ বেসরকারী পর্যায়ে হবে। তবে সরকারকে কাজগুলো করার জন্য বেসরকারী খাত থেকে বুদ্ধি পরার্মশ দিতে হবে। আর বেসরকারী পর্যায়ে কাজগুলো হওয়ার জন্য সরকারের প্রয়োজন হবে বেসরকারী পর্যায়ে নানা সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি করে কাজ করার পরিবেশ তেরী করে দেয়া
ই কমার্স
উপরোক্ত বিষয় সমূহের অগ্রগতি সাধিত হলে তার ফল ই কমার্স এর উপর পড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই। এছাড়া  ই কমার্স এর জন্য কিছু বাড়তি সুযোগ সুবিধা প্রয়োজন।
১.    স্বল্প ফি ও বিনা অফিসে ব্যবসা চালুর সুযোগ।
২.    পন্য পরিবহনে বিশেষ যতœ, সহনিয় সার্ভিস চার্জ
৩.    যুব উন্নয়ন প্রকল্প বা অন্যকোন তহবিল থেকে ই কমার্স উদ্যোক্তাদের  ঋণ সাহায্য।
৪.    চট্টগ্রামের উৎপাদিত পন্য বিক্রিতে বিশেষ কোন সুবিধা, কর রেয়াত বা কমসুদে ঋণ ইত্যাদি।
৫.    চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পন্য আমদানীতে তড়িত সার্ভিস ও সহনশীল ফি এর ব্যবস্থা করা।
৬.    উদ্যোক্তাদের ব্রান্ডিং ও প্রচারনার জন্য সিটি কর্পোরেশন এর বিলবোর্ডের চার্জ কমিয়ে আনা।
৭.    দেশী বিদেশী ক্রেতাদের কাছে এখানকার ই কমার্সকে প্রমোট করা।
৮.    বিদেশে ক্রেতাকে মাল পাঠানোর জন্য বিশেষ সহযোগতা করা।
৯.    সকল ই কমার্স উদ্যোক্তা ও রিলেটেড ব্যবসায়ীদের একতার মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করা ও দাবী দাওয়া পেশ করা।

যদিও এই পদক্ষেপগুলো শুধু চট্টগ্রামের জন্য নয় সারা দেশের জন্য নিতে পারলে সেটা ইতিবাচক হবে। বিভিন্ন উদ্যোগ ও পক্রিয়ার মাঝে এগিয়ে যাবে চট্টগ্রাম, এগিয়ে যাবে ই কমার্স। সাথে সাথে এইগয়ে যাবে পুরো জাতি। এই প্রত্যাশা রেখে ই কমার্স ফেয়ার চ্ট্গ্রাম উপলেকেআষ এই বিশেষ লেখাটি শেষ করছি।

মে ২৮, ২০১৫, বারিধারা, ঢাকা।

6,930 total views, 3 views today

Comments

comments