এর আগের পর্বে আমরা দেখেছিলাম কিভাবে প্রারম্ভিক ধারণা থেকে কন্টেন্ট লেখা শুরু থেকে শেষ করা যায় এবং সাজানো যায়। এই পর্বে দেখব কিভাবে আপনার লেখা আর্টিকেলটি আরও সুগঠিত ও আরও তথ্যবহুল করা যায়। যারা গত পর্বের লেখানুসারে নিজেদের আর্টিকেলটি লিখে শেষ করেছেন তাদের জন্য আজকের এই পর্ব টি হবে নতুন কিছু শিখার ও জানার।
আমাদের মধ্যে সবসময় একটি প্রবণতা থাকে সবকিছু গুগলে প্রথম পেইজ থেকে সংগ্রহ করে সেটা থেকেই কিছু একটা লিখে দেয়া কিন্তু শুনতে খারাপ লাগলেও সত্যি যে, আমি এখন পর্যন্ত যত উপকারী তথ্য পেয়েছি সেগুলো ছিল প্রথম পেইজ এর পর। প্রথম পেইজে সেই ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক পাওয়া যায় যেগুলোর এসইও পলিসি খুব ভালো মানের। এই ক্ষেত্রে কমার্শিয়াল ওয়েবসাইট এর ভিড়ে ভালো মানের তথ্যবহুল ওয়েবসাইট গুলো পিছনে পড়ে যায়। তাই আমার পরামর্শ থাকবে একটু ঘাটাঘাটি করে সময় ব্যয় করে ভালো কিছু লিঙ্ক থেকে কন্টেন্ট এর তথ্য গুলো নেয়ার জন্য।
আগের পর্বে বলেছিলাম, বেসিক ধারণা নেয়ার জন্যে Wikipedia সাইট টি দেখার জন্য। কিন্তু যখন নির্ভরশীল কিছু লিখতে যাবেন তখন Wikipedia থেকে না নেয়াটাই ভালো। কারণ, মজার ব্যপার হল, বিশ্বের ৮০% অনলাইন কাস্টমার Wikipedia থেকে তথ্য নেয়াটা পছন্দ করেন না।
এখন আসুন, নির্ভরশীল তথ্য খুঁজে বের করার কিছু ফরম্যাট ।
বেশির ভাগ ভালো মানের অনলাইন লেখা DOC ফরম্যাট অথবা PDF ফরম্যাট এ পাওয়া যায়। কারণ বিভিন্ন সংস্থা এইসব বিষয় নিয়ে কাজ করে এবং তারা সেগুলো ফাইল আকারে ইন্টারনেট এ আপলোড করে রাখে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় যারা এইসব ব্যপার নিয়ে গবেষণা করে তারাও তাদের ফাইল গুলো আপলোড করে রাখে। আর বিশ্ববিদ্যালয় এর গবেষণা মানে হল, এমন একটি ফাইল যেখানে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় সব তথ্য আপনি পেয়ে যাবেন।
গুগলে DOC ফাইল সার্চ করতে হবে এইভাবেঃ
e-commerce: DOC
ছবিসুত্রঃ www.google.com
গুগলে PDF ফাইল সার্চ করতে হবে এইভাবেঃ
e-commerce: PDF
ছবিসুত্রঃ www.google.com
এইভাবে সার্চ করে গুগলে আপনি কিছু নির্ভরযোগ্য তথ্য ও লেখা পাবেন। যেখান থেকে আপনি অনায়াসে আপনার প্রয়োজনীয় লেখা লিখতে পারবেন। কিছু ভালো ফাইল নামানোর পরের কাজটি কিন্তু সেই ফাইল গুলো থেকে ভালো কিছু তথ্য বের করে সেটা লেখনী তে প্রকাশ করতে হবে। সব সময় চেষ্টা করতে হবে তথ্যবহুল লেখা অনুসরণ করার জন্য।
এখন আপনারা গত পর্বে যে ৩০০ শব্দের লেখাটি লিখেছিলেন সেটির কথা ভুলে গিয়ে নতুন করে আবার সেই লেখাটি লিখুন আজকের দেয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে। তারপর দুটি লেখা তুলনা করে দেখুন। নিজেই বুঝতে পারবেন কোন লেখাটি বেশি ভালো হয়েছে।
আগামি পর্বে আপনার লেখাটি কিভাবে সবার লেখা থেকে আলাদা করবেন সেটি নিয়ে আলোচনা করব। সবার জন্য শুভ কামনা।
শুরু থেকে এই সিরিজ পড়তে
পর্ব একঃ এদিক সেদিক না তাকিয়ে কিভাবে লেখা শুরু করতে হবে
পাঁচটি পর্বে ই-কমার্সের কন্টেন্ট রাইটিং শিখুনঃ পর্ব শূন্য
লেখকঃ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন
6,223 total views, 5 views today