নতুন ধারার প্রমোশন
জাহাঙ্গীর আলম শোভন
ইনবাউন্ড লিংক আউটবাউন্ড , রিভ চ্যাট লাইভ চ্যাট, কল সেন্টার, টার্গেট গ্রুপ এস এম এস, অনলাইন মার্কেটিং রিপ্রেজেন্টেটিভ বা এফিলিয়েটেড মার্কেটিং।
মার্কেটিং নিয়ে ই কমার্স উদ্যোক্তাদের টেনশনটা বেশ বেড়েছে সেটা বুঝতে পারছি। এখন প্রত্যেককে আমি যদি এক লাখ টাকার অর্ডার এনে দিতে পারতাম। তাহলে সবাই খুশি হতো। অথবা এমন একটা ফর্মূলা দিতে পারতাম যাতে প্রতিদিন ২০০ অর্ডার পাচ্ছেন একেক জন। নিদেন পক্ষে যদি তাদেরকে একটা পূর্ণ গাইড লাইন দিতে পারতাম যে যাতে ৬ মাস পর তাদের ব্যবসা খুব ভালো পর্যায়ে চলে যায়। কিন্তু এসবের কিছুই আমি করতে পারিনি। বিগত কয়েকমাস ধওে শতাধিক লেখা লিখেছি বিভিন্ন আইুডিয়া ও বুদ্ধি শেয়ার করেছি। তাতে অনেকে খুশি। অনেকে হয়তো বা অখুশি আছেন, কারণ তারাতো তাদের অখুশিটা আর প্রকাশ করছেন না। আসলে ব্যবসায় প্রত্যেকের নিজের পন্যও ভিন্ন ভিন্ন কাস্টমারও আলাদা পলিসিও নিজের মতো, সেখানে আমার কাচাবুদ্ধি আর কতই কাজে লাগবে। আর ধওে ধওে ব্যবসা পাইয়ে দিলেও কি সবাই রাতারাতি সফল ব্যবসায়ী হবে? হবে না। আবার জগতে কেউ কিছু না বলে দিলেও সবাই ফেল করবেনা। ব্যবসায়ের মধ্য দিয়ে কিছু লোক উঠে আসবে আর কিছু লোক ঝওে যাবে।
আমরা শুধু চাই না জেনে না বুঝে কেউ যেন ধরা না খায়। ব্যবসায়ের লাভ লোকসান থাকবে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠে দাড়ানোর মাঝে একটা সফলতা ও একটা শিক্ষা রয়েছে। কিন্তু বুকে মাটি লাগিয়ে পড়ে থাকার মাঝে কোনো গৌরব নেই। তাই ব্যবসা করুন জেনে বুঝে করুন। শুধু ব্যবসাকে বুঝলে হবে না। নিজেকেও বুঝুন ব্যবসাতো অনেকেই করছে আপনি নিজে কতটা করতে পারবেন সেটাই ভাবুন। আর আপনাদের ভাবনাগুলো সহজ করে দিতে আমি নতুন ধরনের মার্কেটিং বা প্রমোশনের কেয়েকটি কৌশল আলোচনা করি।
এক: ইনবাউন্ড লিংক আউটবাউন্ড লিংক
এটা সাধারণত এসইও রিচ করার একটা কৌশলও বটে:ইনবাউন্ড শব্দটি অজানা অচেনা নয়। টুর অপারেটিং এর ক্ষেত্রে এটা বেশ পরিচিত। তবে ইনবাউন্ড মার্কেটিং কথাটা নতুন। দেখুন। আপনি কখন কোন ওয়েব পেজে ভিজিট করেন, কোথায় ক্লিক করেন, কোন ধরনের সাইট ব্যবহার করেন এসব তথ্য জমা হয় আপনার কম্পিউটারে (কুকি)। গুগল সেটা দেখে আপনার পছন্দ সম্পর্কে ধারনা পায় তারপর তারসাথে মিল রেখে বিজ্ঞাপন দেয়। এক্ষেত্রে অন্য সাইটে আপনি আপনার সাইটের লিংক ডেভলপ করবেন আর সেই লিংক থেকে আপনার ভিজিটর আসবে এটাই ইনবাউন্ড লিংক।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর মুল বিষয় ৩টি। কন্টেন্ট মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এবং সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
ইনবাউন্ড লিংক হলো অন্য সাইটে থাকা আপনার সাইটের লিংক যেটাতে ক্লিক করে ঐ সব সাইট থেকে আপনার সাইটে ভিজিটর আসে। তাহলে এই সহজ কাজটি করেও আপনার সাইট ভিজিটর বাড়াতে পারেন। যা আপনার প্রমোশন প্লানেরই একটা অংশ। তবে একটু কৌশলী হবেন। সাইট লিংক দেয়ার সময় একেক জায়গায় একেকভাবে হাইপার লিংক দেবেন। যাতে গুগল আপনাকে ভিন্ন ভিন্নভাবে ফাইন্ড করতে পারবে।
আউটবাউন্ড লিংক মানে হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইটকে লিংক দেয়া। এক্সটার্নাল লিংক হিসেবেও এটা পরিচিত। যে সবসময়ই অন্য ওয়েবসাইটকে আউটবাউন্ড লিংক দিন তা নয়। শুধুমাত্র যখন প্রয়োজন বা যুক্তিসংগত তখন দিন, তাতেই হয়ে যাবে। আপনি কোনো লেখায় সোর্স হিসেবে দিতে পারেন। কোনো তথ্য শেয়ার করে তার প্রমাণ হিসেবে দিতে পারেন। বা সিমিলার তথ্য বা ইমেজের জন্য দিতে পারেন।এতে করে আউটবাউন্ড লিংক দেয়ার মাধ্যমে আপনি নিজেকেই আরও শক্তিশালী করছেন। অন্য সাইটের সাথে আপনার সম্পর্ক আপনার সাইটেকে ব্যাপক পরিচিতি ও কানেকটিভিটি এনে দেবে। এছাড়া এর ফলে গুগল বা
সার্চ ইঞ্জিন কে আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা দিতে পারবেন। বিভিন্নভাবে ভিজিটর যাওয়া আসার মাধ্যমে এদ খরনের বিষয় বিচিত্রতা তৈরী হবে। যা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বৈকি। এছাড়া
আপনার ওয়েবসাইটকে কিছুটা প্রাণ দিবে এইসব লিংক। বিভিন্ন ভাবে সার্চ ইঞ্জিনের সাথে সম্পর্ক বাড়িয়ে সমৃদ্ধ সাইট হিসেবে পরিচিত করাবে। আর আপনি নিশ্চয় এমনটা চাইবেন।
দুই: রিভ চ্যাট লাইভ চ্যাট :
এটা একেবারে নতুন একটা আইডিয়া, একটু ব্যয়বহুল হলেও কার্যকর বটে। এতে একজন কাস্টমার শপিং সেন্টারে বা দোকানে কেনাকাটা করার যে ফ্লেভার সেটা পাবে। এটাই এর গুরুত্বপূর্ণ দিক। এতে আপনার ই কমার্স সাইট ভিজিট করার সময় আপনি দেখতে পান যে কোন পেইজে কাস্টমার রয়েছে। ‘‘ স্যার, ক্যান আই হেল্প ইউ’’ লাইভ চ্যাট মেসেজ দিয়ে আপনি বা আপনার মার্কেটিং রিপ্রেজেন্টেটিভ কাস্টমারের সাথে কানেকডেট হতে পারেন। খুব সুন্দর চ্যাটরুম ডিজাইন করা হয়েছে। রিভচ্যাটের নিজেদেও এই সার্ভিসটিতে তারা কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যে সাড়া দিয়ে থাকেন। এতে একসাথে একাধিক ব্যক্তির সাথে চ্যাট করা যায়। প্রয়োজনে চ্যাট হিস্ট্রি দেখা যায়, এবং আপনি যদি চ্যাট নিজে না করে কোনো থার্ড পাটিকে দিয়ে করান সেক্ষেত্রে তার চ্যাটিং এর ডিটেইল রিপোর্ট আপনি সহজে পেতে পারেন। এছাড়া এই চ্যাট সাইট কাস্টমাইজ করে আরো কিছু সুবিধা আপনি চাইলে বাড়িয়ে নিতেই পারেন।
https://www.facebook.com/REVEChatSolutions
Top Features
• Real-Time Visitor Info
• Proactive Chat
• Visitor Analytic
• Multiple Website Integration
• Chat Monitoring
• Chat History
তিন: কল সেন্টার বল এন্টার:
হ্যা পক্রিয়ার মাধ্যমে আশা করা যায় লক্ষ কিছুটা সফল হয়, মানে গোল অর্জিত হয় বা বল গোল পোস্টে এন্টার করে। কারণ কল সেন্টারের মাধ্যমে ১০০ জনকে কল দিলে আপনি জানেন যে সেখানে হয়তো ২০ জন রেসপন্স করবে এবং তা থেকে ৪ জন আপনার পন্যটি ক্রয় করবে। তাহলে আপনি খুব সহজে হিসেব করতে পারেন। কলসেন্টার দিয়ে মার্কেটিং করালে আপনি কত টাকা করচ করবেন বা আপনার খরচ কত শতাংশ বাড়তে পারে।
কল সন্টোরে কাজ হয় দুভাব।ে একটি ‘ইন বাউন্ড কল’, অন্যটি ‘আউট বাউন্ড কল’। ইন বাউন্ড কলরে মাধ্যমে ভোক্তার নর্দিষ্টি (অনুমোদতি) প্রতষ্ঠিান বষিয়ক প্রশ্নরে সমাধান বলে দওেয়া হয়। এটা কাস্টমার কয়োররে মত। আর আউট বাউন্ড কলরে মাধ্যমে পণ্য বা সবো বক্রিয় করা হয়। এটা টলেমর্িাকটেংি বলা যায়। এ ছাড়া ডকুমন্টে ম্যানজেমন্টে, পরার্মশ, ডটোবজে ম্যানজেমন্টে, হসিাব সংরক্ষণ, ডকুমন্টে স্ক্যানংি, ই-পাবলশিংিয়রে মতো কাজও কল সন্টোররে মাধ্যমে হয়ে থাক।ে পাশাপাশি টলেমর্িাকটেংি, বভিন্নি চ্যারটিবেল ফান্ড, ঋণ সংগ্রহ বা র্মাকটে রসর্িাচরে মতো কাজও করে থাকে কল সন্টোর। কয়কেটি প্রতষ্ঠিান ই কর্মাস উদ্যোক্তাদরে এধরনরে সবো দয়িে থাক।ে তবে ই ক্যাবরে সদস্য হসিবেে একমাত্র প্রতষ্ঠিান হসিবেে সুনামরে সাথে সবো দয়িে আসছে
http://www.unico-solutions.com
চার: টার্গেট গ্রুপ এস এম এস, হতে পারে কিছু সেলস
এটাতো জানা কথা আপনি প্রমোশন বা মার্কেটিং করার সময় আপনার টার্গেট গ্রুপ যত বেশী রিচ করতে পারবেন ততবেশী সুফল পাবেন। বর্তমানে এসএমএস মার্কেটিং প্রচলিত এবং বিরক্তিকর কারণ এতে অনেক সময় গ্রাহকরা বিরক্ত হন। তাই সঠিক সময়ে সঠিকভাবে সঠিক ব্যক্তির কাছে এসএমএস করার একটা বিষয় রয়েছে। এখন আপনি সঠিক ব্যক্তি কিভাবে চিনবেন বা সঠিক লোকদের কাছে কিভাবে এসএমএস পাঠাবেন। যেমন ধরুন আপনি জামদানী শাড়ি বিক্রি করে থাকেন। এখন জামদানী শাড়ী ব্যবহার করে এমন লোকদেরই তো আপনার এসএমএস পাঠানো দরকার যদি আপনার সেরকম কোনো অফার থাকে।
এখন জামদানী শাড়ী পরে বা পরতে চায় এমন নারীদের মোবাইল নাম্বার আপনাকে কে দেবে, কেউ না। তাহলে আপনি এরকম একটি মোবাইল প্যাকেজ বানান কয়েক হাজার নির্দিষ্ট কাস্টমারের। এজন্য আপনি একটা এসএমএস কনটেস্ট আয়োজন করতে পারেন, হতে পারে কুইজ বা পোলিং, আপনি পুরস্কার ঘোষনা করে জানতে চাইলেন দেশীয় জামদানী শাড়ীর রং উঠেছে কিনা। যাদের উঠেছে তারা ‘‘এ’’ যাদের উঠেনি তারা ‘‘বি’’ লিখে পাঠান। প্রতি ৫০০ জনে একজনকে একটি জামদানী শাড়ী পুরষ্কার দেয়া হবে। মোটামোটি আশা করা যায় জামদানী গ্রাহকরা অংশগ্রহণ করবে। মনে করুন ২ হাজার নারী এতে অংশ নিেেয়ছে। আপনি ৪ টি শাড়ি উপহার দিলেন। এতে আপনার যেমন মার্কেটিং হবে তেমনি আপনি কিন্তু ২০০০ লোকের একটা মূল্যবান ডাটাবেজ পেয়ে গেলেন। (সাবধান এটা আপনার সম্পদ, অন্য কাউকে দিতে যাবেন না) এখন এদেরকে আপনি জামদানী কেনার অফার দিতে পারেন। বিশেষ করে যাদের শাড়ী রং উঠে বলে ভোটিং করেছে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করুন যে আপনার কাপড়ে রং উঠবেনা। আর আপনার পুরস্কার বিতরনের খবর আপনার সাইট বা ওয়েব সাইটে বা ব্লগে বা এসএমএসে সবাইকে জানাতে ভুলবেন না। এরকম আরো অনেক উপায় আছে। এসএমএস ইনভাইটেশান এর এড সঠিক জায়গায় দিতে ভুলবেন না কিন্তু। এজন্য কোনো পিআর বা মার্কেটিং ফার্ম এর হেল্প নিতে পারেন।ttp://www.nextstep-bd.com
পাঁচ: এমআর যদি হয় মার্কেটিং রিপ্রেজেন্টেটিভ তো ও এমআর অনলাইন মার্কেটিং রিপ্রেজেন্টেটিভ:
এটা আসলে এফিলিয়েটেড মার্কেটিং। আপনি ফেইসবুকে বা অফলাইনে এলাকাভিত্তিক বা শ্রেনীভিত্তিক কিছু পার্ট টাইমার ছাত্র বা ফ্রি ল্যান্সার নিয়োগ দিতে পারেন। যারা বিনা পুজিতে আপনার পন্য বেচবে এবং আপনি তাদের কমিশন দেবেন। তাদের পেইজের মাধ্যমে বা কোনো মার্কেটপ্লেসে বা পরিচিত লোকদের মাঝে তারা তাদের প্রচারণা চালিয়ে পন্য বিক্রি করলে আপনি তাদের বিক্রির উপর কমিশন দিলেন। তারা ফেইসবুকে আপনার কোনো পোস্ট বা আপনার ওয়েব সাইটের কোনো লিংক শেয়ার করেও এতে অংশ নিতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আপনার মনিটরিং ব্যবস্থা থাকতে হবে যে আপনি সঠিকভাবে জানতে পারলেন কোন পন্যটি কোন ওএমআর বিক্রি করেছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে লেনদেনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে সেকথা নিশ্চয় আপনাকে বলে দিতে হবে না।
আসলে এই আইডিয়াগুলো আহামরি কিছু নয়। তাছাড়া আপনি স্থান কাল পাত্র বুঝে এসবের কতটা সদ্ব্যবহার করতে পারবেন। সেটার উপরও আপনার সফলতা নির্ভর করছে। আর আপনার পন্য নির্বাচন প্যাকিং দাম কোয়ালিটি সবইতো মাথায় রাখতে হবে। আপনি যদি কাল অনলাইনে গোবরের ঘুটে বিক্রি করেন এর ক্রেতারা যদি অনলাইন ব্যবহার না করে আপনার মার্কেটিংতো বিফলে যাবেই। অথবা আপনি যদি কমদামে ভালো মানের বাঁশ বিক্রি করেন মানুষের যদি এটা দরকার না থাকে কেন কিনবে। বা আপনি যদি বেশী দামে বাসমতি চাল বেচেন যদি সেটা অন্যত্র আরো কম দামে পাওয়া যায় লোকে আপনার কাছ থেকে কিনবে কেন? কিংবা আপনি যদি এনার্জি লাইট বেচেন যেটার কোনো ভরসা নেই। তাহলে আপনার মার্কেটিংতো জলে যাবেই। সূতরাং শুধু মাত্র মার্কেিেটং কৌশলের উপরই মার্কেটিং নির্ভর করেনা। আরো অনেক কিছুর উপর তা নির্ভর করে।
আজ এখানে শেষ করলাম। আবার কোনো একদিন নতুন কিছু মার্কেটিং আইডয়া নিয়ে হাজির হবো। না এসব আইডয়া শুনে আপনারা বড় ব্যবসায়ী হবেন সেজন্য নয় বরং এসব আইডিয়া পড়লে আপনাদেও মাথায় হয়তো আরো ভালো সুন্দও সহজ ও কার্যকর আইডিয়া আসতে পাওে সেজন্য। সবাইকে ধন্যবাদ। বন্ধুদিবসের শুভেচ্ছ। রচনাকাল ২ আগষ্ট ২০১৫।
[email protected]
7,401 total views, 3 views today