
করোনাকালীণ সময়ে ই-কমার্স সেক্টরের কর্মকান্ড ও আর্থিক বিভিন্ন দিক
জাহাঙ্গীর আলম শোভন
২৫ মার্চ ২০২০ থেকে শুরু হয় সাধারণ ছুটি। ছুটি ঘোষণার সাথে সাথে ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে অনুমতি গ্রহণ করে নিত্যপণ্য, খাবার ও ঔষধসেবা চালু রাখার জন্য। সর্বমোট ১৭০টি সদস্য প্রতিষ্ঠান আবেদন করে এবং তাদের ৫ হাজার পরিবহন এবং ৫ হাজার ডেলিভারী পার্সন ই-ক্যাবের ‘‘জরূরী পণ্যসেবা’’ লিখিত স্টিকার বহন করে সারাদেশে সেবা অব্যাহত রাখে। এ থেকে এই সময়ের লেনদেন পরিস্থিতি সম্পর্কে যে ধারণা পাওয়া যায় তা নিন্মরুপ
প্রতিদিন হোম বিটুসি ডেলিভারী ৪০ হাজার, গড় ডেলিভারীমূল্য ১০০০ টাকা। উক্ত লেনদেন ই-কমার্স লেনদেন হিসেবে ধরা যায় এরমধ্যে একটা অংশ ক্যাশ অন ডেলিভারী, একটা অংশ কার্ড লেনদেন এবং একটা অংশ এমএফএস। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিটুবি পণ্য পরিবহন দৈনিক ২০০০, প্রতি ট্রিপ মূল্য- ৩৫০,০০০ টাকা। উক্ত লেনদেন ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানের হলেও এগুলো মূলত ক্যাশ ও ব্যাংক লেনদেন।
এপ্রিল মাসে ই-ক্যাব একটি জরিপ কার্য পরিচালনা করে। যার উদ্দেশ্য ছিল কি পরিমাণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তা জানা। এতে দেখা যায় সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রতিমাসে ৬৮০ কোটি টাকার বেতন ভাতা ও অফিসভাড়ার ছাপে রয়েছে। ৫৪% শতাংশ প্রতিষ্ঠান তাদের মজুদ পণ্য নিয়ে বিপাকে রয়েছে এবং ৫২ শতাংশ প্রতিষ্ঠান দায়গ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তখন মাত্র ২০ ভাগ প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ আংশিক বা পূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারছে। উল্লেখ্য, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১২ভাগ প্রতিষ্ঠান নিত্যপণ্য সেবা ও ঔষধ নিয়ে কাজ করে। ৩ ভাগ প্রতিষ্ঠান লজিস্টিক সেবা দেয়। প্রায় ৭০ ভাগের বেশীর প্রতিষ্ঠান পোশাক ও ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট বিক্রি করে ফলে তারা বেশ বিপাকে পড়ে। মোট ই-কমার্স উদ্যোক্তার ২৭% নারী হলেও ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে নারী উদ্যোক্তার হার ৩৫% বলে ধারণা করা হয়।
মে মাসে ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা ফুড ডেলিভারী সেবা, ইলেকট্রিক ও ফ্যাশন পণ্য বিক্রয়ের। ঈদকে সামনে রেখে এই অনুমতি একদিকে যেমন জনসাধারণকে ঘরে থাকতে সাহায্য করেছে অন্যদিকে অর্থনীতিতে গতিশীলতা এনেছে। এর ফলে লেনদেন বেড়েছে। যদিও ডেলিভারী কর্মীর সংকটে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করা যায়নি। তথাপি ইলেকটনিক্স পন্য সংযুক্ত হওয়ায় ই-কমার্স পন্যের গড় ডেলিভারী মূল্য বেড়ে যায়। বড়ো প্রতিষ্টানগুলো ফ্রিজ, এসি, ফ্যান, ল্যাপটপের মতো পণ্য বাসায় ডেলিভারী দেয়া শুরু করে। এই সময় বই বিক্রির অনুমতি পেলেও ডেলিভারী ম্যানগন গ্রামে চলে যাওয়ায় অনলাইন বুকশপগুলো বেচাকেনা শুরু করতে পারেনি।
এই সময়ে ফুড ডেলিভারী সেবায় নতুন ১০,০০০ ডেলিভারী যুক্ত হয়। এবং আরো ১০,০০০ ডেলিভারীযুক্ত হয় পোশাক ও ইলেকট্রিক পণ্যে। দৈনিক বিটুসি ডেলিভারী, ৬০ হাজার অনুমানিক গড় মূল্য ১৫০০, উক্ত লেনদেন ই-কমার্স লেনদেন হিসেবে ধরা যায় এরমধ্যে একটা অংশ ক্যাশ অন ডেলিভারী, একটা অংশ কার্ড লেনদেন এবং একটা অংশ এমএফএস। বিটুবি পণ্য পুরিবহন দৈনিক ৩০০০, প্রতি ট্রিপ মূল্য- ৫০০,০০০ টাকা, উক্ত লেনদেন ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানের হলেও এগুলো মূলত ক্যাশ ও ব্যাংক লেনদেন।
ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর মাধ্যমে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ঘুরে দাড়ানোর এই সহযোগিতায় সবচেয়ে বেশী লাভবনা হয়েছে সাধারণ মানুষ। তারা যেমন একদিকে ঘরে বসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসেবা পেয়েছে অন্যদিকে অনলাইনে প্রতিটি পন্যের দাম লেখা থাকে বিধায় মানুষ প্রতিটি পন্যের দাম জানে তাই প্রচলিত বাজারের ব্যবসায়ীরাও পন্যের দাম বাড়াতে পারেনি। বিশেষ করে আমাদের দেশে কোনোরকম বিপর্যয় বা দূর্যোগ দেখা দিলে এক শ্রেনীর অসাধী ব্যবসায়ীরা পন্যের দাম বাড়িয়ে যেভাবে জনগেনকে হয়রানি করে তারা এবার তেমনটা সুবিধা করতে পারেনি।
এরমধ্যে দুটি লকডাউন এলাকায় সরাসরি বিটুসি সেবা দেয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। সমস্ত ঢাকা শহরের জন্য সক্ষমতার ভিত্তিতে ৭০টি প্রতিষ্ঠান বাছাই করা হয় এবং দুটো এলাকায় লক্ষাধিক বাসিন্দাদের সেবা দেয় ২০ টির মতো প্রতিষ্ঠান, খাদ্য, মুদি ও ঔষধ সেবায় এসব প্রতিষ্ঠান। পুরো বিষয়টি তদারক করে আইসিটি ডিভিশন এর এটুআই ও একশপ।
এখানে গাড়ি বা ফ্রিজার ভ্যানের মাধ্যমে বাড়তি কর্মী নিয়োগ করে সেবা দিতে হয়েছে বলে। এক্ষেত্রে লাভের পরিবর্তে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দৈনিক গড়ে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা লোকসান দিয়ে সেবা অব্যাহত রাখে। এবং কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান এলাকার স্বল্প দরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে। লকডাউন এলাকায় স্থানীয় কমিশনারের সহযোগিতায় প্রায় ৫শ পরিবারকে ১৪ দিনের নিত্যপণ্য উপহার দেয়া হয় ই-ক্যাবের মাধ্যমে।
আম মৌসুমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ই-ক্যাব আমচাষীদের পাশে দাঁড়ায়। বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে অনলাইন শপগুলোর মাধ্যমে বিক্রি করে। নগরবাসীকে ১ লাখ ৫২ হাজার কেজী ক্যামিমেলমুক্ত আম সরবরাহ করে। এতে একদিকে করোনার কারণে অংশংকায় থাকা আমচাষীরা তাদের আম বিক্রি ও ন্যায্য মূল্যের সুযোগ পায় অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্থ অনলাইন শপগুলো বিকল্পপণ্য হিসেবে আম বিক্রি করতে পারে।
এরপর জুলাই মাসে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর সহযোগিতায় অনলাইনে পশুর হাট এর আয়োজন করে ই-ক্যাব। যাতে সবচেয়ে বেশী বিক্রি হয় গ্রামীণ ও প্রান্তিক কৃষকের গরু। পশু বিক্রির পাশাপাশি ডিজিটাল হাটে পশু জবাই করে বাসায় ডেলিভারী সেবাও দেয়া হয় ঢাকা শহরের মধ্যে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত ই-ক্যাবের প্রেস রিলিজ থেকে জানা যায়- সারাদেশে ঈদ উপলক্ষ্যে পর্যন্ত ২৭ হাজার কুরবানির পশু অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। ডিজিটাল হাট, ডিজিটাল হাটের সাথে সম্পৃক্ত মার্চেন্ট ও ই-ক্যাব মেম্বারদের অনলাইনে বিক্রিত গরু, ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা ৬হাজার ৮শ। জেলাভিত্তিক সরকারী প্লাটফরম কমপক্ষে ৫ হাজার ৫শ গরু-ছাগল বিক্রির কথা জানা গিয়েছে। এর মধ্যে নরসিংদী জেলা এগিয়ে রয়েছে এই জেলায় সরকারী অনলাইন প্লাটফর্মে পশু বিক্রি হয়েছে ৫১৭টি। বাংলাদেশ ডেইরী ফার্ম এসোসিয়েশন এর সদস্যভূক্ত কোম্পানীর অনলাইন ফ্লাটফর্ম থেকে বিক্রিত পশু ৯ হাজার ৫শ হাজারের কাছাকাছি। বিচ্ছিন্ন অন্যান্য প্লাটফর্ম থেকে ৫ শতাধিক গরু বিক্রির ধারণা পাওয়া গিয়েছে। সরকারী প্লাটফরম ফুড ফর ন্যাশন ৪০০০ গরু বিক্রি ট্র্যাক করতে পেরেছে। এভাবে পুরো অনলাইন বাজারে প্রত্যক্ষ বিক্রিত পশুর সংখ্যা বের হয়ে আসছে। ধারণা করা হয় আরো লাখখানেক কুরবানির পরোক্ষভাবে এবারের বিভিন্নভাবে অনলাইন শপ থেকে বিক্রি করা হয়েছে।এবং অন্তত পাঁচলাখ গরু ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রদর্শিত হয়েছে। তবে এরমধ্যে অনলাইনে লেনদেন হয়েছে যৎসামান্য
বিগত বছর সমূহে ই-কমার্স খাতে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ২৪% ধারণা করা হচ্ছে চলতি বছর শেষে সমীক্ষা চালালে এই বৃদ্ধি ৪০-৫০% হয়ে থাকতে পারে। ডেলিভারীর পরিমাণ ২০% বাড়লেও লেনদেন পরিমাণ বেড়েছে ৪০% এর বেশী। তা সত্বেও দুটি নেতিবাচক দিক রয়েছে
প্রথমত: করোনার প্রথম ধাক্কা সামলাতে না পেরে কিছু প্রতিষ্ঠান ঝরে গেছে। যদিও ঝরে যাওয়াটা নতুন কোনো বিষয় নয়। কিছু প্রতিষ্ঠান পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা, ঋণ কিংবা বিনিয়োগের অভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারছেনা। ই-ক্যাব সরকারের কাছে ৩৪০ কোটি টাকার প্রনোদনা দাবী করলেও এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনোরুপ সাড়া পাওয়া যায়নি।
দ্বিতীয়ত: পরিস্থিতি কিছুটা দূর্যোগপূর্ণ হলেও এই সময়ে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো পন্যের দাম বাড়ায়নি, কোনো বাড়তি মূল্য যোগ করেনি, সার্ভিসচার্জ বা ডেলিভারী চার্জ বাড়ায়নি উপরন্ত অনেক প্রতিষ্ঠান ডেলিভারী চার্জ ছাড়াই সেবা দিয়েছে। এতে করে প্রতিষ্ঠানগুলো লাভের মুখতো দেখেনি বরং অনেক প্রতিষ্ঠান লোকসান গুনেছে। কারণ বহু প্রতিষ্ঠান তাদের বিক্রয় কম থাকা সত্বেও কর্মীবহরকে বেতন দিয়ে গেছে। অনেকে আবার বেশী বেতন দিয়ে ডেলিভারী পার্সন নিয়োগ করেছে। সীমিত চলাচলকালীন সময়ে পরিবহন ও ডেলিভারীর জন্যও তাদের বাড়তি খরচ গুনতে হয়েছে। অনলাইনে পণ্যের দাম মনিটরিং করার জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছে ই-ক্যাব।
আগষ্টের পরে সাধারণ ছুটি শিথিল হলে ধীরে ধীরে সচল হলে কিছুটা প্রাণ ফিরে আসে এই সেক্টরে। পত্রপত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে কোনো নিত্যপণ্য প্রতিষ্ঠান ৩শগুণ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। নিত্যপণ্য ডেলিভারী প্রায় দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে গ্যাজেট পোষাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান চিত্র নিন্মরুপ
১০ ভাগ প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কৌশুলে ঘুরে দাড়িয়েছে তাদের বিক্রিও ২০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৫ প্রতিষ্ঠান ঘুরে দাঁড়িয়েছে তাদের বিক্রি আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। ২০ ভাগ প্রতিষ্ঠান ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। কারো ব্যবসা সাময়িক ভাবে বন্ধ রয়েছে। ২৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান আস্তে আস্তে ঘুরে দাড়াচ্ছে তারা ব্যবসায়ে কিছু পরিবর্তন এনেছে। ৭ ভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। ১৩ ভাগ প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা পরিবর্তন করেছে। সার্বিক অবস্থার একটা আনুমানিক চিত্র। এ বিষয়ে এখনো কোনো জরিপ কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি।
বর্তমানে প্রতিদিন হোম বিটুসি ডেলিভারী ১ লক্ষ ২০ হাজার, গড় ডেলিভারীমূল্য ১৩০০ টাকা। উক্ত লেনদেন ই-কমার্স লেনদেন হিসেবে ধরা যায় এরমধ্যে একটা অংশ ক্যাশ অন ডেলিভারী, একটা অংশ কার্ড লেনদেন এবং একটা অংশ এমএফএস। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিটুবি পণ্য পুরিবহন দৈনিক ৫০০০, প্রতি ট্রিপ মূল্য- ৩০০,০০০ টাকা। উক্ত লেনদেন ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানের হলেও এগুলো মূলত ক্যাশ ও ব্যাংক লেনদেন।
বর্তমানে টিসিবির পণ্য বিশেষ করে পেঁয়াজ বিক্রি করছে ১৮ টি অনলাইন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। ঢাকা চট্টগ্রাম ছাড়াও ঢাকার বাইরে টাঙ্গাইল সিরাজগঞ্জ ও রাজশাহীতে এই সেবা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিকেজী ৩০ টাকা দরে, ৫ কেজীর প্রাকেটে ৩০ টাকা ডেলিভারী চার্জের বিনিময়ে প্রতিদিন ১০ হাজার কেজী পেয়াজ অনলাইন ক্রেতাদের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। মূলত বাজার নিয়ন্ত্রন ও মধ্যবিত্ত শ্রেনীর ক্রেতাদের সাশ্রয়ীমূল্যে পেঁয়াজ পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগ নেয় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়।
এই উদ্যোগের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো পেয়াজের বাজারে এর ব্যাপক প্রভাব। অনলাইনে পেয়াজ বিক্রির প্রথম দিনেই দাম কমে যায় কেজীপ্রতি ২০ টাকা। পরবর্তীতে পেয়াজ সরবরাহ বাড়ালে পেয়াজের দাম নেমে আসে ৩০ টাকায়।
১৭ মার্চ মুজিব বর্ষ থেকে শুরু হয় ই-ক্যাবের মেম্বারশিপ রেজিস্ট্রেশন এর অনলাইন প্রক্রিয়া। এর মধ্যে গত ৯ মাসে ৩৬০ টি প্রতিষ্ঠান ই-ক্যাবের সদস্যপদ গ্রহণ করে এরমধ্যে ৩৫ ভাগ প্রতিষ্ঠান নতুন এবং ৬৫ ভাগ প্রতিষ্ঠান হলো যারা এতদিন প্রচলিত ব্যবসা করে আসছিল এখন তারা ডিজিটাল কমার্সে ঝুঁকেছে।
ই-ক্যাবের নিউজ লেটার ই-কমার্ষ ভিউর এক প্রতিবেদনে দেখা যায়। এই সময়ে নতুন পুরাতন প্রতিষ্ঠান মিলে এই সময়ে ৫০ হাজার কর্মসংস্থান ই-কমার্সে যুক্ত হয়েছে। সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার ই-কমার্স লেনদেন হয়েছে এবং এই সময়ের মোট ডিজিটাল লেনদেন এর পরিমাণ ১৬ হাজার কোটি টাকা।
আর্থিক লেনদেন এর ক্ষেত্রে বর্তমান সমস্যাসমূহ
১. বৈদেশিক মূদ্রা ব্যয়ের ক্ষেত্রে বৈধ ব্যয়সীমা পর্যাপ্ত নয় বিধায় অনেকে ভিন্ন পথে ব্যয় পরিশোধ করছে কিংবা অনেকে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারছেনা। আমাদের দেশে অনেকগুলো গ্লোবাল ই-কমার্স শপিং প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে, যারা খুচরা প্রোডাক্ট প্রি-অর্ডার নিয়ে ডেলিভারি করে থাকে। এই ধরনের প্লাটফর্মগুলো ছোট ছোট করে অনেক সেলারকে পেমেন্ট করতে হয়, এজন্য সম্পূর্ণ ফরেন কারেন্সি কার্ডের উপর নির্ভর করতে হয়। কার্ড লিমিট অনেক কম হবার কারণে ভার্চুয়াল কার্ড দিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে পেমেন্ট করতে হয়। এই ধরনের ব্যবসায়ীদের জন্য পেমেন্টে বিশেষ সহযোগিতার প্রয়োজন।
২. স্ক্রো (Escrow) সিস্টেম না থাকায় ই-কমার্সখাতে অনলাইন লেনদেন কাংখিত গতি পাচ্ছে না। এবং ক্রেতাদের আস্থা বাড়ছেনা। ক্যাশ অন ডেলিভারী নির্ভর সাপ্লাই ব্যবস্থাপনায় অনলাইনে লেনদেন হচ্ছে খুবই সীমিত পরিসরে। অনলাইন বা ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন না হওয়ায়। ব্যাংক স্টেটমেন্ট দূর্বলতা কারণে অনেক কাজে প্রতিষ্ঠানসমূহ পিছিয়ে আছে। যেমন ঋণ গ্রহণ কিংবা বিনিয়োগ প্রাপ্তি।
৩. ই-কমার্সের ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের সুযোগ সীমিত বিধায় উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের অভাবে ব্যবসার পরিধি বড় করতে পারছেনা।
৪. চাহিদা ও যোগান থাকা সত্বেও ক্রসবর্ডার ই-কমার্সের পরিধি বাড়ছেনা। ই-রফতানীর মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মূদ্রার রেমিট্যান্স অথবা রফতানী কোনো ধরনের স্বীকৃতি না থাকায় উদ্যোক্তারা প্রণোদনা পাচ্ছে না এবং তারা এখাতে কাজ করার ব্যাপারে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে।
৫. ইন্টেকচুয়াল বা বুদ্ধিভিত্তিক পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে লেনদেন এর ক্ষেত্রে কোনোরুপ সুবিধা মিলছেনা। ক্ষেত্রবিশেষ বিভিন্ন শিল্পকর্মের মূল্য লাখ টাকা হয়ে থাকে। ফলে বড় অংকের অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যতিত অন্যভাবে বা অনলাইনে প্রদান করতে ক্রেতারা নিরুৎসাহিত হন। কিন্তু ব্যাংকে পরিশোধিত অর্থ উত্তোলন করার ক্ষেত্রে এই ধরনের আয় রেমিট্যান্স কিংবা রফতানী অন্যকোনো ক্যটাগরিতে বিবেচনা করা হয়না বিধায় এজন্য বাড়তি চার্জ দিতে হয়। এর ফলে দেশীয় বুদ্ধিভিত্তিক ও শিল্পকর্মের বাজার বহি:বিশ্বে বিকশিত হচ্ছে না।
৬। যে সমস্ত ক্ষেত্রে পণ্য বা সেবা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ডেলিভারী দেয়া হয়। কিন্তু এর মূল্য দেশের বাইরে থেকে বৈদেশিক মূদ্রায় পরিশোধ করা হয়। সেক্ষেত্রে দেখা যায় বৈদেশিক মূদ্রা অর্জিত হলেও পণ্যটি রাষ্ট্রের সীমা পার হয়নি বিধায় এধরনের আয়কে রফতানী আয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়না আবার রেমিট্যান্স হিসেবেও দেখা হয়না। ফলে বৈদেশিক মূদ্রা আয়ের এই খাতটি সঠিকভাবে বিকশিত হচ্ছে না।
৭. এখনো ট্রেড লাইসেন্সে ই-কমার্স আলাদাখাত হিসেবে যুক্ত হয়নি বিধায়। সরকারী এবং বেসরকারী পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের নীতি ও কৌশলগত সমস্যা দেখা দিয়েছে।
৮. বর্তমানে ই-কমার্স পণ্যসেবা ডেলিভারীতে ইনস্যুরেন্স সুবিধাযুক্ত নয়। ফলে পণ্য হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে কিংবা ভুল পন্য দিলে এ ব্যাপারে বিভাগীয় পর্যায়ে (ভোক্তা অধিকারে মামলা করা ব্যতিত) ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ নেই।
প্রস্তাবসমূহ
১. আন্তর্জাতিক ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে ই-কমার্স উদ্যোক্তা তথা ই-ক্যাব সদস্য কোম্পানীসমূহের জন্য বার্ষিক ব্যয়সীমা ৫০,০০০ মার্কিন ডলার এবং একবারে এই ব্যয় ৩,০০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।
২. ইন্টারনেট নির্ভর বা প্রযুক্তি ভিত্তিক ডিজিটাল সেবা হিসেবে ‘ই-কমার্স ও অনলাইন শপিং’ কে ITES –এর অর্ন্তভূক্ত করার প্রস্তাব করছি। ব্যবসায়ের ডিজিটাল রূপান্তরকে এগিয়ে নিতে বিদ্যমান আইনটি সংশোধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।
৩. ই-কমার্স একটি সম্ভাবনাময় ও উদীয়মান খাত। এখনো কোনো ই-কমার্স কোম্পানী লাভের মুখ দেখেনি। তাই যেসকল কোম্পানি শুধুমাত্র ই-কমার্স কোম্পানি হিসাবে ব্যবসা পরিচলনা করছে এবং লোকসান’ পর্যায়ে আছে তাদের ক্ষেত্রে নূন্যতম কর Gross Receipts এর ০.১% করার বিনীত প্রস্তাব করছি।
৪. অনলাইন পণ্য বিক্রয়’ একটি ‘তথ্য প্রযুক্তি ব্যবসা’ হলেও অন্যান্য তথ্য প্রযুক্তি ব্যবসার মতো অফিস ভাড়ার ক্ষেত্রে মুসক অব্যাহতি সম্পর্কিত কোনো সুস্পষ্ট এস আর ও নেই। “অনলাইন পণ্য বিক্রয়” কোম্পানি হিসাবে ভ্যাট নিবন্ধন করা হলে অফিস/বাড়ি ভাডার উপর কোন ভ্যাট ধার্য না করার সুপারিশ করছি।
৫. বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ফেব্রুয়ারী ০৮, ২০১৮-এ জারিকৃত এফই সার্কুলার নং-০৩ অনুযায়ী সফট্ওয়্যার, আইটিএস (Information Technology Services) খাতের জন্য সেক্টর-স্পেসিফিক নগদ সহায়তা প্রদানের পূর্ণাঙ্গ নিয়মাবলী সংক্রান্ত সার্কুলার দেয়া হয়। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আগামী ২০২১ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সরকারের দেয়া, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফটওয়্যার ও আইটি সেবা খাতের সাথে ই-কমার্স ব্যবসায়ী ও ই-ক্যাব সদস্য কোম্পানিসমূহকে রপ্তানিতে উৎসাহিত করতে অত্যন্ত জরুরি। রপ্তানি বাণিজ্যে ১০ শতাংশ প্রণোদনা ই-কমার্স সেক্টরে প্রয়োগের বিনীত অনুরোধ করছি। সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সুবিধার্থে এখানে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) কে সম্পৃক্ত করার অনুরোধ করছি।
৬. ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে ক্ষতির মধ্যে থাকা প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য সর্বনিম্ন কর প্রযোজ্য না করার জন্য প্রস্তাব করছি। একটি কোম্পানী সর্বনিম্ন লাভ করার পর তার উপর ন্যূনতম করের বিধান প্রযোজ্য হবে। ই-কমার্স উদোক্তারা প্রথম কয়েক বছরে মুনাফা অর্জন করতে পারছেন না। ন্যূনতম ট্যাক্স প্রত্যাহার করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাবার জন্য উৎসাহ দিতে হবে।
৭. দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিযোগিতা মূলক বাজারে টিকিয়ে রাখতে বিনিয়োগ বান্ধব নীতিমালা বাস্তবায়নের প্রস্তাব করছি। ডিজিটাল প্রচারণার খরচ দেশীয় ও অনুমোদিত মাধ্যম দ্বারা পরিশোধ এবং ডাটা সেন্টার দেশেই স্থাপনের বাধ্যবাধকতা করা নির্দেশনা জারি জরুরী হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে সরকারী নির্দেশনা জারির অনুরোধ করছি। এছাড়া অনলাইন লেনদেন এর ক্ষেত্রে আর্থিক নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।
৮.বিশ্বের অনেক দেশ অনলাইনের মাধ্যমে তাদের পন্য বিদেশে বিক্রির জন্য বন্দর সমূহে আলাদা ওয়ার হাউজ চালু করেছে। ক্রস বার্ডার ই-কমার্স সুবিধা দিতে এই সুবিধা সময়ের দাবী।
৯. যেসব ই-কমার্স কোম্পানী বিদেশী ও প্রবাসী ক্রেতার কাছে পন্য বিক্রি করে বা রেগুলার ই-কমার্স কোম্পানীসমূহ যেসব দেশীয় পন্য বিদেশী ক্রেতার কাছে বিক্রি করে সেগুলোর ক্ষেত্রে ক্যাশ ইনসেনটিভ দেয়ার প্রস্তাব রাখছি।
১০. ই-কমার্সের মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত কোনো পন্য ডাক বিভাগের মাধ্যমে বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে শিপিং চার্জে ৫০% ছাড় দেয়ার প্রস্তাব করছি। আমরা জানি যে চায়নাসহ বেশকিছু দেশ তাদের দেশ থেকে বিদেশে পন্য পাঠানোর ক্ষেত্র নুনতম খরচ সুবিধা পায়। এতে করে তাদের দেশীয় পন্য বিদেশী ক্রেতারা কিনতে উৎসাহ বোধ করছে। এবং অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। সে তুলনায় আমাদের শিপিং কষ্ট অন্যদের দেশের তুলনায় কয়েকগুণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১০ গুন পর্যন্ত বেশী পড়ে যায়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করছি।
১১. লোকাল কার্ড থেকে পেমেন্ট করার জন্য বিদ্যমান আইনের আলোকে দেশের স্বার্থ রক্ষা করে কার্ডধারীদের কার্ড ব্যবহারের সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।
১২. বাংলাদেশী অনলাইন শপ থেকে বিদেশীক্রেতাগণকে আগ্রহী করতে এই নিয়মটি রহিত করার প্রস্তাব করছি। প্রয়োজনে ক্রেতার যাবতীয় তথ্য আগে থেকে প্রেমেন্ট গেটওয়ে কোম্পানীগুলোতে থাকলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা প্রাথমিক ভাবে নূনতম ১000 ডলার লেনদেনের জন্য পাসপোর্ট এর কপি ব্যতিত লেনদেন এর প্রস্তাব করছি। এবং কোনো ক্রেতাকে অনলাইনে লেনদেন এর অনুমতি পেতে ই-ক্যাবের সদস্য হওয়ার বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত বিধান জারির প্রস্তাব করছি। যাতে কোনো অনলাইন শপ ই-ক্যাবের মেম্বার না হলে পেমেন্ট গেটওয়ে বা ব্যাংক কতৃপক্ষ তাদের শপে বৈদেশিক লেনদেনের অনুমতি না দেন। এতে করে ক্রেতারা ই-ক্যাবের যাচাই/বাছাই ও নজরদারীর আওতায় চলে আসবে।
১৩. বিদ্যমান আইন ও বিধির আলোকে সারাদেশে এক লক্ষ টেকনোলজি জ্ঞান সম্পন্ন উদ্যোক্তা তৈরী করতে প্রয়োজনীয় অর্থের খাতভিত্তিক বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
১৪. যখন কোনো ক্রেতা বিদেশ থেকে দেশীয় অনলাইন শপে সেবা বা পন্য ক্রয় করেন এবং সেসব সেবা বাংলাদেশী সেবা গ্রহীতার কাছে ডেলিভারী পেতে চান, সেক্ষেত্রে সেবা স্থানীয়ভাবে দেয়া হলেও উহা থেকে আয় আসে সম্পূর্ণ বিদেশ থেকে এবং বিদেশী মুদ্রায় যা ১০০% বৈধ উপায়ে। কিন্তু এ ধরনের বৈদেশিক আয়কে রফতানী আয়ের অন্তভূক্ত না করার ফলে রফতানী আয়েরি একটা অংশ সরকারী হিসেব থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছে। এ ধরনের বৈদেশিক আয়কে রফতানী আয়ের অন্তভূক্ত করার জোরালো অনুরোধ করছি। কারণ এটা সেবা/ পন্যের বিপরীতে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা। এতে করে বিদেশ থেকে বাংলাদেশী অনলাইন শপে বিক্রয় বাড়বে এবং রফ্তানী আয় বৃদ্ধিতে এটা সরাসরি ভূমিকা রাখবে। সরকারের ঘোষিত ৭০০ মিলিয়ন ডলারের রফতানী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এই উদ্যোগ ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
১৫. সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আগামী ২০২১ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সরকারের দেয়া, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফটওয়্যার ও আইটি সেবা খাতের সাথে ই-কমার্স ব্যবসায়ী ও ই-ক্যাব সদস্য কোম্পানিসমূহকে রপ্তানিতে উৎসাহিত করতে অত্যন্ত জরুরি। রপ্তানি বাণিজ্যে ১০ শতাংশ প্রণোদনা ই-কমার্স সেক্টরে প্রয়োগের বিনীত অনুরোধ করছি। সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সুবিধার্থে এখানে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) কে সম্পৃক্ত করার অনুরোধ করছি।
১৬. ই-কমার্স সেক্টরে সঠিক পণ্য সেবা ডেলিভারী ও ক্রেতার পন্যের ও অর্থের নিরাপত্তা বিধানে ডিজিটাল নিরপত্তা শক্তিশালী করনের পাশাপাশি ইনস্যুরেন্স সুবিধা প্রচলনের সুপারিশ করছি।
১৭. ই-কমার্স খাতের সমস্যা সমাধানে ডিজিটাল কমার্স পলিসির, উদ্দেশ্য ৭ এর ১৮ নং ধারায়: ঝুঁকি মোকাবিলায় Risk Factor Management Committee গঠনের কথা বলা হয়েছে। যা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইসিটি ডিভিশন, জননিরাপত্তা বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংক বাস্তবায়ন করার কথা। সেটি আজো হয়নি। এটি বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
১৮. ডিজিটাল কমার্স পলিসির, উদ্দেশ্য ৭ এর ২২ নং ধারায়: ভোক্তাদের অর্থ প্রাপ্তির জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংককে। এটা দ্রুত ঘোষণা করা প্রয়োজন।
১৯. ডিজিটাল কমার্স পলিসির, উদ্দেশ্য ১০এর ৩২নং ধারায়: প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন এর কথা বলা হয়েছে। অথচ আজ পর্যন্ত ট্রেড লাইসেন্স এক্ট সংশোধন করে সেখানে ই-কমার্স সংযোজন করা হয়নি।
২০. ডিজিটাল কমার্স পলিসির, উদ্দেশ্য ২ এর ৬ নং ধারায়: একটি কারিগরি কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। যা আজো হয়নি।
২১. একটি Fair Trade Commission গঠন করার প্রস্তাব ইতোমধ্যে সরকারকে দেয়া হয়েছে।
1,001 total views, 2 views today