ই কমার্স এসোসিয়েশান অব বাংলাদেশ ই ক্যাব
জাহাঙ্গীর আলম শোভন

ভূমিকা:
মানুষ সামাজিক জীব, মানুষ একা একা বাস করতে পারেনা, কয়েকটি পরিবার মিলে একটি গোত্র তৈরী করে মানুষ সমাজ গঠন করে। এটা পুরনো কথা। মানুষ অনেক কাজ একা একা করতে পারেনা, কথায় বলে- দশের লাঠি একের বোঝা , মানুষ যেকাজ একা করতে পারেনা  সেকাজ করার জন্য যখন একটি বড় দলে পরিনত হয়ে তখন কাজটি তাদের জন্য সহজ হয়ে যায়। এটাও পুরনো কথা।
তাহলে নতন কথা কি? ঠিক নতুন কথা নয়, বর্তমান যুগের বাস্তবতা হলো মানুষের সংগঠন প্রয়োজন হয়। পরিবার একটি সংগঠন, রাষ্ট্র একটি সংগঠন, ধর্ম একটি সংগঠন, এসব সংগঠন তৈরী হয়েছে মানুষের বিশ্বাস, আচরণ ও প্রয়োজনের তাগিদে। বর্তমান যুগে মানুষের সমস্যা ও প্রয়োজন গুলো সম্প্রদায় ও বর্ণভিত্তিক নয় বরং পেশা, জীবিকা ও বৃত্তির উপর নির্ভর করে। ডাক্তার সমাজের প্রয়োজন ও সমস্যা ভিন্ন রকম, প্রকৌশলীদের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো আলাদা, শ্রমিকদের সমস্যা ও দাবী আবার অন্যরকম, কৃষকদের চাহিদা ও দাবীদাওয়া আরো অন্য কিছু। ফলে পরিবার সমাজ রাষ্ট্র, মসজিদ, মন্দির, ক্লাব থাকা সত্বেও পেশাবৃত্তিক সংগঠনের জন্ম হয়েছে। বিগত শতকের শিল্প বিপ্লব ও শ্রমিক জাগরণ এসব সংগঠনের যৌক্তিকতাকে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে ফলে ট্রেড ইউনিয়নের গ্রহণযোগ্যতাও আজ সর্বত্র।
একই কারণে ব্যবসায়ী সমাজের সংগঠনও জরুরী হয়ে পড়েছে। বিশ্বজুড়ে ব্যবসায়ী সংগঠন এখন সিভিল সোসাইটির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বর্তমান যুগে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য নানা পরামর্শের জন্য সরকারকে ব্যবসায়ী সমাজের শরানাপন্ন হতে হয়। অন্য যেকোন পেশার চেয়ে ব্যবসায়ীদেরকে বেশীপরিমানে এবং বহুমুখী সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়। একটি শ্রমিক সংগঠন হয়তো মালিক পক্ষের সাথে বোঝাপড়া করে তাদের দাবী আদায় করে। ব্যবসায়ী সংগঠন সরকারের সাথে দেন দরবার করতে হয় ব্যবসায়িক পলিসিটা যেন ইতিবাচক হয়। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুয়ারে ধরনা দিতে হয় সহজ বিনিয়োগ নীতি করার জন্য। ব্যবসায়িক শৃংখলার জন্য কর্মী, সাপোর্ট বিজনেস, উদ্যোক্তা ও নতুন পন্য সেবা আমদানী ও প্রচলনকারীর সাথে বসতে হয়। সব কিছুর সাথেও একটা সুষম চেইন মেনটেন করে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা আনার জন্য কাজ করতে হয়। পাশাপাশি বাজারে ইতিবাচক ধারণা তৈরী করার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক সংগঠন সে ব্যবসা সম্পর্কে জনগনের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে সচেষ্ট থাকে।  আন্ত ব্যবসায়িক লেনেদেনে, যাগাযোগে ও একজন ব্যবসায়ির সাথে আরেক ব্যবসায়ির অসম প্রতিযোগিতাকে সুষম প্রতিযোগিতায় রুপ দেয়ার জন্য ব্যবসায়িক সংগঠন কাজ করে। ব্যবসায়িক সংগঠন বা বাব্যবসায়ীদের সংগঠন ভোক্তার অধিকার রক্ষার জন্যও সচেষ্ট থাকে ফলে সংগঠনের সদস্য প্রতিষ্ঠানের পন্য কিনতে জনগন উদ্ভুদ্ধ হয়।। কারণ কাস্টমার যদি প্রতারিত হন তাহলে তিনি সেই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে সংগঠনের অভিযোগ দায়ের করতে পারেন আবার একইভাবে কোন ব্যবসায় বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যদি কোন ভোক্তার দ্বারা আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে এসোসিয়েশান এর সাধ্যমে তিনি প্রতিকার চাইতে পারেন।  অনেক সময় বাজারে েেছাট ছোট বিনিয়োগকারী থাকেন যারা বড়ো ব্যবসায়ীদের সাথে পেরে উঠেন না। তখন সংগঠন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন নীতিমালা সুযোগ সুবিধার দ্বার উন্মোচন করে থাকে।
এমনই বহুবিধ কর্মতৎপরতার জন্য ব্যবসায়ীদের সংগঠন এখন এক অপরিহার্য বাস্তবতা।

ই ক্যাব কি?
ই কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বাংলাদেশের অনলাইন ব্যবসায়ীদের সংগঠন। বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান ই কমার্স ও ই কমার্স রিলেডেট ব্যবসায়ীরা এই সংগঠনের সদস্য।

কেন ই ক্যাব?
যেহেতু ই কমার্স ব্যবসায়টি নুতুন এবং বিকাশমান এবং ই কমার্স ব্যবসায়ের বিকাশে আবার রয়েছে কিছু সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা। এসবকে সমাধান করে ব্যবসায় বান্ধব একটা পরিবশে ও জনগনের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায়িক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ই ক্যাবের জন্ম। যেহেতু এই নতুন ব্যবসায়টি সম্পর্কে অধিকাংশ ব্যবসায়ী উদোক্তা ও জনসাধারনের ধারণা পরিষ্কার নয় তাই সঠিক ধারণা জ্ঞান ও বাজার সম্পর্কে বোঝাপড়ার জন্য ই ক্যাব।

ই ক্যাব কি ধরনের কাজ করছে?
বর্তমানে ই ক্যাব তার সদস্যদের ব্যবসায়িক জ্ঞান বাড়ানো এবং ব্যবসায়িক কনসালটেন্সি ও পারষ্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কিছু সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে।
১.    ই ক্যাব সহজ শর্তে সদস্য হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
২.    ই ক্যাব ফেইসবুক ফেইজের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পারস্পরিক আলোচনার সুযোগ করে দিয়েছে। এই পেইজে মোটামোটি ২৪ ঘন্টায় কেউনা কেউ হয়তো থাকে। আর যদি নাও থাকে কোন প্রশ্ন কেউ করলে খুব অল্প সময়ের মাধ্যমে তিনি জবাব পেয়ে যান।
৩.    ই ক্যাব সরাসরি কলসেন্টারের মাধ্যমে একটি সেবাকেন্দ্র চালু করেছে। যাতে প্রতিদিন অফিস টাইমে যে কেউ যেকোনো বিষয়ে ফোন করে সমস্যার সমাধান জেনে নিতে পারেন।
৪.    ই ক্যাব ইক্যাব ব্লগ নামে একটি ই কমার্স তথ্যভান্ডার খুলেছে। এখানে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ লেখকদের শত শত লেখনীর মাধ্যমে ব্যবসা ও ই কমার্স সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয় যাতে নতুন উদ্যোক্তারা ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করেন।
৫.    ই ক্যাব প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত স্কাইপেতে সরাসরি আড্ডার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে। এতে প্রায় ২০ জন অভিজ্ঞ ব্যক্তি এ যাবত ৫০০শর বেশী লোককে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তাদের কনফিউশন দূর করেছেন।
৬.    ই ক্যাব প্রতিমাসে ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন শহরে ওয়ার্কশপ ও ট্রেনিং এর মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তাদের ই কমার্স সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে। যাতে ভুলভাবে ব্যবসা শুরু করে ছোট ছোট বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ না হন।
৭.    ই ক্যাব সদস্য উদ্যোক্তাদের সাথে সরাসরি সাক্ষাতের মাধ্যমে সরাসরি আড্ডা নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করেছে। এতে নবীন ব্যবসায়ীরা তাদের সমস্যা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাধ্যমে ই কমার্স সম্পর্কে, বাজার ও পন্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করছেন।
৮.    ই ক্যাব ইতোমধ্যে চলতি বছরকে ইকমার্স ইয়ার, এপ্রিল মাসকে ইকমার্স মাস, ৭ এপ্রিল কে ই কামর্স ডে ঘোষনা করে বিশেষ কর্মসূচী ঘোষান করেছে।
৯.    ই ক্যাব বিভিন্ন ব্যাংক ও সরকারী বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সাপোর্ট বিজনেস গ্রুপের সাথে বিভিন্ন মিটিং এর মাধ্যমে সদস্য উদোক্তাদের জন্য নানা সুযোগ সুবিধা আদায়ের জন্য কাজ করছে।
১০.     ই ক্যাবের বিভিন্ন সদস্য প্রতিষ্ঠানের সাথে অন্য সদস্য প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ সুবিধা আদায় করার পাশাপাশি একের সাথে অন্যের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে।
১১.    ই ক্যাব বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে আইটি, নিরাপত্তা, সাপ্লাই, উদ্যোগ, ডেলিভারী, ্ঋণ ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের এনে সাধারণ সদস্যদের নাানা প্রশ্নের সমাধান দিতে সক্ষম হয়েছেন।
১২.    ই ক্যাব আগামী দিনগুলোতে সদস্যদের সফলতা ও একটি ই কমার্স বান্ধব নীতির মাধ্যমে ব্যবসায়িক বিকাশের জন্য বিস্তর ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।

ই ক্যাবের এসব প্রকল্পের সুফল পেতে শুরু করেছে সদস্য ও সদস্যদের বাইরে যেসব ব্যক্তি ই কমার্স করার কথা ভাবছেন সকলেই।  উপকৃত হচ্ছেন অন্যান্য ব্যবসায়ী ভোক্তা সাধারণ।

এসব সেবার মাধ্যমে আনুমানিক উপকৃতদের সংখ্যা?
এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত সদস্য হয়েছেন ১১২০ জন
পেইজের মাধ্যমে উপকার পাচ্ছেন২ লাখ জন
প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন প্রায় ৫০০০ জন
স্কাইপে আড্ডায় সেবা প্রায় ৬০০ জন
সরাসরি আড্ডায় উপকৃত প্রায় ৭০০ জন
ওয়ার্কশপের মাধ্যমে জেনেছেন ২০০০ জন

সরাসরি ট্রেনিং দেয়া হয়েছে ১৫০০ জনকে

ই ক্যাব ব্লগে লেখার মাধ্যমে উপকার পেয়েছেন আনুমানিক ৫০,০০০ জন।

ই ক্যাবের এই মহতি কাজের উদ্দেশ্য হচ্ছে যাতে কোন হুজুগ তৈরী না হয়। সঠিক তথ্য জেনে সঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারে তরুন উদ্যোক্তারা ।

কারা ই ক্যাবের সদস্য হবেন?
১.    যারা অনলাইনে ব্যবসা করবেন বা করছেন। ফেইসবুকে অথবা নিজের ওয়েবসাইটে অথবা কোন মার্কেটপ্লেসে
২.    যারা ই কমার্স রিলেটেড ব্যবসা করছেন, যেমন মোবাইল ব্যাংিকং, কুরিয়ার সেবা, কার্ড এগ্রিগেটর, পেমেন্ট গেটওয়ে ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান ।
৩.    যারা ই কমার্স ডোমেইন, হোস্টিং , ওয়েব ডিজাইন, কনসালটেন্সি ও মার্কেটিং কাজ করেন।

কেন ই ক্যাবের মেম্বার হবেন?
১.    ই ক্যাবের মেম্বার হলে ই ক্যাবের অন্য মেম্বার প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে ব্যবসায়িক যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে পারে।
২.    এতে করে একটি প্রতিষ্ঠানের মেম্বার হয়ে আপনি ভোক্তা সাধারণের আস্থা অর্জণ করতে সমর্থ হবেন।
৩.    একটি শক্তিশালী ই ক্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পারষ্পরিক বিরোধ মেটানো ও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
৪.    একটি সংগঠনের আওতায় অঙ্ঘীভ’ত হয়ে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সাথে কাজ করে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সুবিধা আদায় এবং ব্যবসা বান্ধব নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করার সুযোগ।
৫.    কোন কারণে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কতৃক আপনি বা আপনার প্রতিষ্ঠান প্রতারিত বা ক্ষতিগ্রস্থ হলে ই ক্যাবের মাধ্যমে এর প্রতিকার চাইতে পারেন।
৬.    অনেক সময় ব্যাংক থেকে লোন নিতে গেলে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আপনার একটি ব্যবসায়িক সংগঠনের সদস্যপদ থাকাকে একটি ইতিবাচক পয়েন্ট হিসেবে বিচার করবে।
৭.    বড়ো কোন প্রতিষ্ঠান আপনার সাথে ব্যবসা করতে চাইলে বা আপনার কাছ থেকে রেগুলার কোন পন্য কিনতে চাইলে। তারা আপনার ই ক্যাবের সদস্যপদকে গুরুত্বের সহিত নেবে।
৮.    অনেক সময় বিদেশী ক্রেতা বা ব্যবসায়ীরা কোনো এসোেিয়শন সদস্যপদ থাকা তাদের সাথে ব্যবসা করার জন্য শর্ত হিসেবে আরোপ করে থাকে।
৯.    বিশেষকরে ব্যবসায়ীদের বিদেশ গমনেও আজকাল ট্রেড লাইসেন্স এর পাশাপাশি এসোসিয়েশন এর সদস্য সনদ দরকার হয়।
১০.    এসোসিয়েমন এর সদস্যদের জন্য বিভিন্ন কোম্পানী অনেক সময় বিভিন্ন প্যাকেজ সুবিধা দিয়ে থাকে। সদস্যপদ না থাকলে এসব সুবিধা পাওয়া যায়না।

এছাড়া ই ক্যাব অবশ্য ব্যবসায় শেখার যেসব সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এগুলো বর্তমানে সকলের জন্য উন্মুক্ত কিন্ত কখনো সদস্য বেশী হলে তখন তা নাও থাকতে পারে।

কিভাবে ই ক্যাবের সদস্য হওয়া যায়?
১.    ই ক্যাবের সদস্য হওয়ার প্রথম শর্ত হলো একটি ট্রেড লাইসেন্স ও টিন সার্টিফিকেট থাকা।
২.    এছাড়া উদ্যোক্তার ঠিকানা ছবি, ও জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি দিতে হয়।
৩.    প্রথম বছর ৩ হাজার টাকা এবং পরবর্তী বছর থেকে ২ হাজার টাকা করে সদস্য ফি দিতে হয়।
৪.    এছাড়া ই ক্যাব সকল সদস্যকে তাদের ঠিকানার ইউটিলিটি বিলের কপি এবং সম্ভব হলে ও প্রয়োজ্য ক্ষেত্রে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন এর কপি উৎসাহিত করে।  তবে এটা বাধ্যতামূলক নয়।
৫.    আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ই ক্যাব মনে করে যিনি ই ক্যাবের সদস্য হবেন তিনি ইতিবাচক ও মানবিক গুনাবলী সম্পন্ন একজন মানুষ হবেন। ই ক্যাব আশা করে তিনি ই ক্যাবের সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলবেন এবং ই ক্যাবের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বচার রাখতে সচেষ্টা হবেন।

cropped-shutterstock_61386283

আমাদের দেশের জন্য ই কমার্স একটা আর্শীবাদ হতে পারে যদি আমরা একে সঠিক ভাবে এগিয়ে নিতে পারি। আর সঠিকভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্য সকল উদ্যোক্তাকে একটি ছাতার নিচে সমবেত হতে হবে। নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন, ধর্ম, রাজনীতি এবং ব্যক্তিস্বার্থ এসবের উর্ধে  থেকে কাজ করতে পারলে এই লক্ষ্য অর্জন কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমাদের পাশের দেশ ভারত ও চীনের গত ২/৩ বছরের ই কমার্স ব্যবসার যে অগ্রগতি তা আমাদের জন্য প্রেরণাদায়ক এমনকি আমাদের দেশেও গত ৫ মাসের যে সূচক তা প্রমাণ করে আগামীতে দেশের অর্থণীতির একটা বড়ো অংশ নিয়ন্ত্রণ করবে ই কমার্স।  এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমি আপনি সে ধারায় যুক্ত হতে পারছি কিনা?

[email protected]

7,651 total views, 3 views today

Comments

comments

Your email address will not be published.