_600_8b30cb71cf2796f096a552f5f2fd67cc

যখন আমরা কোন  ডোমেইন নাম নির্বাচন করতে যাই তখন আমাদের  মনে একটা প্রশ্ন জাগে  যে কোন ডোমেইনটা পছন্দ করা উচিৎ হবে।  এই পোস্টটা এই   বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।  পোস্টটি  পড়ার পর আপনি নিজেই দক্ষ হয়ে যাবেন    ডোমেইন নির্বাচন করার ব্যাপারে । 😀

কিভাবে সাইটের জন্য একটি  উপযোগী ডোমেইন নাম নির্বাচন করবেন 

ছোট এবং সহজে যাতে মনে রাখা যায়ঃ 

যখন কোন ডোমেইন নাম পছন্দ করতে যাবেন , খেয়াল রাখতে হবে ডোমেইন নামটা ছোট এবং যাতে সহজে মনে রাখা যায় । কারন বড় ডোমেইন ব্যবহার করলে ইউ আর এল বড় হয়ে যায় , এতে অসুবিধা হয়। ডোমেইন টাইপ করতে যেয়ে বানানে ভুল বা টাইপিং এ ভুল হতে পারে । এটি মনে রাখাও সোজা না । আবার ভুল ডোমেইন লিখে সার্চ দিলে অন্য সাইটে ভুলে চলে যেতে পারে । গুগল ছোট ইউ আর এল গুলোকে প্রাধান্য দেয় রাঙ্কিং এর জন্য ।

কোন অকথিত বা ভুল বানান ব্যবহার করা উচিত না । যেমন ” you এর পরিবর্তে u” , “express এর পরিবর্তে xpress” . ভিজিটরদের কষ্ট হতে পারে আপনার সাইট খুঁজে পেতে ।

কি ওয়ার্ড ব্যাবহার করাঃ

ডোমেইনে কি ওয়ার্ড ব্যবহার করা এটাও একটা ভাল আইডিয়া । কিন্তু গুগল নতুন আপডেট অনুযায়ী ,র‍্যাঙ্কিং এর ফ্যাক্টর না । কিন্তু এটি ভিজিটরকে বুঝতে সাহায্য করে যে সাইটটা কোন তপিক্স সম্বন্ধে । যেমন , aiovideo.com । এই ডোমেইন নাম থেকে বুঝা যায় , সাইটটা ভিডিও রিলেটেড টপিকস নিয়ে সাজানো । আরেকটা পয়েন্ট শেয়ার করতে চাই , তা হল , কি ওয়ার্ডকে কিছুটা পরিবর্তন করা । এইখানে ” aiovideo.com” এর মধ্যে aio এর অর্থ হচ্ছে “all in one” । এইখানে ডোমেইন যিনি সিলেকশন করেছেন তিনি কিছুটা সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন । তিনি শব্দটাকে কিছুটা সংক্ষেপ করে পরিবর্তন করে  সুন্দর একটা কম্বিনেশন করেছেন । এই ধরণের ডোমেইনকে বলা হয় পারশিয়াল ম্যাচ ডোমেইন ( partial match domain) । এই ধরণের ডোমেইনে আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড রাখা হয় যাতে সাইটটা কি সম্বন্ধে মানুষ সেটা বুঝতে পারে সাইটটা ।

শুধুমাত্র abbreviation বা শব্দ সংক্ষেপ নির্ভর ডোমেইন নির্বাচন করা ভালো না । কারন এইটা দেখতে খারাপ আর মানুষ ভুলে যেতে পারে ।

Exact match domain :

নতুন গুগল আপডেট অনুযায়ী Emd এর কোন value নেই ranking এর জন্য । কিন্তু এটি লং টেইল কি ওয়ার্ড , এবং কম প্রতিযোগিতাপূর্ণ কি ওয়ার্ডে কাজ করে ।
ইভেন্ট ব্লগিং , অথবা শুধু এটি টপিকস রিলেটেড সাইটের জন্য এটি apply করতে পারেন । অন্যথায় আপনার সাইট পেনাল্টি খেতে পারে । যেমনঃ techbloggingsites.com , এইখানে আপনি যে সব টেক সাইট জনপ্রিয় তা রাখতে পারেন ।

কয়েকজন অভিজ্ঞদের মতামত এই  সম্বন্ধে ,

Rubel SBS এর মতে ,

Screenshot_7

Onnorokom Manush (ডাক নাম  )

 

 

ব্র্যান্ডিং এর জন্যঃ আপনার যদি কোম্পানিকে ব্র্যান্ডিং করার ইচ্ছা থাকে , সেটাও ভালো একটি tricks. ভিজিটররা সরাসরি কি ওয়ার্ড এ সার্চ করে ডাইরেক্ট আপনার সাইটে চলে যাবে । কিন্তু মানুষের কাছে পরিচিত করার জন্য আপনাকে প্রমোশন বা বিজ্ঞাপন দিতে হবে । যেমনঃ Nike , Xerox ,Reddit .

আপনি দুইটি শব্দকে কম্বিনেশন করে আপনার কনটেন্টের  ঠিক বিপরীত  অর্থ  বহন করে এমন শব্দ পছন্দ করতে পারেন । ভিজিটরদের  আকর্ষণ এবং আগ্রহ বাড়ানোর জন্য এই ধরণের  কৌশল  প্রয়োগ করা হয় । যেমন , mymeetbook.com  -আরে !!!  কিভাবে বইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করা যায় , অথবা মনে হতে পারে সাইটটা বই বা ই বই সম্বন্ধে । কিন্তু এটি পুরো বিপরীত । এটি হচ্ছে ফেইসবুক , টুইটারের মতন   সামাজিক নেট-ওয়ার্কিং   সাইট ।  আরেকটা হচ্ছে , BoxPuff.com – পাফ শব্দটা  ইংরেজিতে আমারা  সিগারেট খাওয়ার সাথে পরিচিত । কিন্তু এখানে ভিজিটর মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে , একটা বক্স কিভাবে ফুঁ দিয়ে উড়ানো যায়  ? !!   😀 কিন্তু এটি ফাইল শেয়ারিং সাইট 😀

 

আপনার ব্র্যান্ডকে রক্ষা করুনঃ যখন আপনি কোন আপনার ফিক্সড কি ওয়ার্ড সিলেক্ট করবেন , যেমন , womenshoes.com এই ধরণের সাইটে আপনাকে নারীদের জুতো সম্পর্কিত কন্টেন্ট রাখতে হবে । আর এখন যদি এইখানে নারীদের জায়গায় পুরুষদের জুতোর কন্টেন্ট নিয়ে আসেন তাহলে ভিজিটররা সেটা ভালো ভাবে নাও নিতে পারে । এখন আপনার যদি এই ধরনের পুরুষ , নারী উভয়ের জুতো রাখতে চান তাহলে সেই ধরণের ডোমেইন নাম সিলেক্ট করা উচিত যাতে নির্দিষ্ট কারও এর না হয়ে পুরুষ , নারী উভয় পক্ষের সাথে নামটা বানায় , যেমন shiningshoes.com .

যখন একটা সাইট জনপ্রিয় হয়ে যায় তখন একই সাইটের নাম দিয়ে বিভিন্ন ধরণের এক্সটেনশন দিয়ে সাইট খোলা হয় । যেমন , আপনার সাইট ধরুন abc.com , আরেকজন abc.net খুলে বসে থাকতে পারে । এখন যদি ভিজিটর ভুল করে com এর জাইগায় net লিখে অন্য সাইটে চলে যা তাহলে কিন্তু আপনি অনেক ভিজিটর হারাবেন । কারন আপনি জানেন ট্রাফিক= ভিজিটর ।
শুতরাং এটি যাতে না হয় , তার জন্য রিলেটেড ডোমেইন এক্সটেনশন বা ডোমেইন লিখতে কি কি ভুলহতে পারে তা  রেজিস্টার করে রাখতে পারেন এবং পরে মেইন ডোমেইনে রি-ডাইরেক্ট করে রাখতে পারেন ।

নাম্বার এবং হাইফেনঃ

নাম্বার মিক্সড বা হাইফেন সহ ডোমেইন নেয়া ভালো না । কারন এটি ব্যাবহার করতে ঝামেলা হয় । যদি আপনার ডোমেইন দুইটা শব্দ নিয়ে হয় এবং আপনি চাচ্ছেন শব্দ গুলা আলাদা করে বুঝানোর জন্য তাহলে হাইফেন দিতে পারেন । কিন্তু একটার বেশি হাইফেন স্পাম হিসেবে গণনা করা হয়

যদি নাম্বার হিসেবে কোন ডোমেইন নির্বাচন করতে চান তাহলে সেতি যাতে অর্থবোধক হয় তার দিকে খেয়াল রাখা উচিত। যেমন ২৪, ৬ , ৩৬৫ । এই ধরণের ডোমেইন দেখা যায় বেশি নিউজপেপার গুলাতে। যেমন bdnews24.com । আপনি অন্য সাইট গুলোতে এই ধরণের সংখ্যা ব্যবহার করতে পারেন । কিন্তু সেটা যাতে অর্থ-বোধক হয় ,এবং সেই ধরণের কন্টেন্ট সাইটে যাতে থাকে । নাম্বার বেইজড ডোমেইন মাঝে মাঝে গুগল স্পাম হিসেবে গণনা করে ।

Taposh Ghosh এর মতে , 

 

ডোমেইন এক্সটেনশনঃ

যদি আপনি কোন সাইট দীর্ঘ দিনের জন্য চালাতে চান এবং আপনি জানেন না কোন ধরণের কন্টেন্ট রাখা উচিত তাহলে ডট কম (. com) ব্যাবহার করাটাই উত্তম । আর আপনি যদি ভিজিটরের ধরন সম্বন্ধে নিশ্চিত থাকেন তাহলে আলাদা এক্সটেনশন ব্যবহার করতে পারেন ।

.co : কোম্পানি , বাণিজ্য , কমিউনিটি এর জন্য সংক্ষেপণ রুপ
.info : তথ্য পূর্ণ সাইটের জন্য
.net : টেকনিক্যাল , ইন্টারনেট গঠন বা এর সম্পর্কিত সাইটের জন্য
.org : বিনা বাণিজ্যিক সংগঠনের জন্য
.biz : ব্যাবসায়ী বা বাণিজ্যিক সাইটের জন্য । যেমন ই কমার্স ।
.me : ব্লগ , পোর্টফলিও বা পার্সোনাল সাইটের জন্য ।

আরও অনেক এক্সটেনশন আছে , এইগুলা বহুল ব্যবহৃত এক্সটেনশন ।

কোন দেশকে টার্গেট করাঃ

যদি আপনার ব্যবসা লোকাল হয় তাহলে দেশকে টার্গেট করা ভালো । কারন আপনার সাইট রিলেটেড প্রোডাক্ট গুলো গুগলের country based সাব ডোমেইন গুলোতে ranking এ আগে রাখে । ধরুন , আপনার টার্গেটড দেশ যদি বাংলাদেশ হয় তাহলে abc.com.bd অথবা ভারত হলে abc.in , এইভাবে ডোমেইন নিতে পারেন ।

বাতিলকৃত ডোমেইনঃ

যখন আপনি কোন নতুন সাইট রেজিস্টার করবেন , তখন কোন ডোমেইন অথোরিটি থাকে না, তাই পোস্ট রাঙ্কিং করাতে কঠিন হয় । এক্সপায়ারড বা বাতিলকৃত ডোমেইন গুলোর অথোরিটি বেশি থাকে । তাই সহজে রাঙ্কিং করাটা অনেক সোজা হয়ে যায় । এই সব সাইট থেকে বাতিককৃত ডোমেইন গুলো নিতে পারেন ।

ExpiredDomains.net  , Auction GoDaddy

শুধু আপনার কি ওয়ার্ড টা সার্চ বক্সে লিখে সার্চ দিলেই অনেক এই ধরণের ডোমেইন পাবেন । কিন্তু এই ধরণের ডোমেইন কিনতে হলে আপনাকে বাজেট রাখতে হবে কারন এক্সপায়ারড ডোমেইনের দাম এক্তু বেশি থাকে
সাধারণতঃ ইভেন্ট ব্লগিং বা affilate মারকেটিং সাইট গুলোতে এইগুলো বেশি ব্যবহার করা হয় ।

স্পাম স্কোর পরীক্ষাঃ
যখন আপনি কোন ডোমেইন নির্বাচন করবেন বিশেষ করে স্পাম স্কোর পরীক্ষা করা উচিত । নাহলে আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিন থেকে পেনাল্টি খেতে পারে ।কারন এখন সার্চ ইঞ্জিন গুলো বেশি স্মার্ট । 😀

অনেক ধরণের সাইট আছে , তার মধ্যে moz এ স্পাম চেক করতে পছন্দ করি ।

Screenshot_10

ব্যাকলিঙ্কঃ

যখন কোন বাতিলকৃত ডোমেইন নিতে যাবেন তখন খেয়াল রখাবেন যে নিশ বা কিওয়ার্ড রিলেটেড ব্যকলিঙ্ক যাতে থাকে । যদি না থাকে তাহলে আর সামনে না আগানোই ভালো হবে । সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ব্যাকলিঙ্ক চেক করার টুলস গুলো হচ্ছে ।

1. OpenSiteExplorer
2.aherfs
3. Semrush

কিছু বহুল ব্যবহৃত সাইট যেখান থেকে আপনি ডোমেইন সাজেশনের জন্য ব্যবহার করতে পারেন ।

1.Dyna Dot

2.Name Mesh

3. Bust A name

4. Domainr

5. Domize

6. Panabee

7. Nameboy
ডোমেইন কিনার আগে দুই তিনটা সাইট থেকে পরীক্ষা করা উচিৎ যে আগে কেউ কিনেছে কিনা বা ব্যবহার করছে কিনা ।

Whois.net

Who.is

 

এখন আপনার পালা। পোস্টটি পড়ার পর  আমি নিশ্চিত যে ডোমেইন নির্বাচন করতে   এখন কোন অসুবিধা হবে না । ফিলিং Boss  😀

এই পোস্টটি অনুবাদ করা হয়েছে এইখান থেকে … ” How to Choose Domain Name for Personal Website in a Killer Way ”

এইতো …  আগের দুইটা পোস্ট পড়তে ভুলবেন না যেনো

একটি ই-কমার্স ব্লগে কি কি থাকা উচিত

” E-Commerce-Myth-vs.-Reality “

আজ এই পর্যন্ত ।  ভালো লাগছে আবার ই ক্যাব ব্লগে লিখতে পেরে । সে জন্য   ধন্যবাদ রাজিব ভাইকে  । আর এই লেখাটি লিখতে  আমাকে অনেকে সাহায্য করেছে । তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।    ভালো থাকুন সবাই । বিদায় ।

আমার পেইজঃ  Tech of World

ফেইসবুকে আমিঃ Partho

17,165 total views, 6 views today

Comments

comments