ই-ক্যাবের সদস্য ফরম

ই-ক্যাবের সদস্য ফরম পূরন করতে গিয়ে যে ধরনের ভুল করেন উদ্যোক্তারা

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর শুরু থেকে ই-ক্যাবের মেম্বারশিপ আবেদনসহ সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া অনলাইনে সমন্পন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যায় বেশীরভাগ আবেদনকারী তাদের আবেদন প্রথমবার সম্পন্ন করতে পারেন না। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে তারা কিছু ভুল করে থাকেন। এধরনের ভুল অস্বাভাবিক বা অমূলক না হলেও এতে করে তাদের বেশ সময় নষ্ট হয়। এবং সঠিক সময়ে তারা সদস্যপদ গ্রহণ করতে পারেন না।  তাই এই লেখার মধ্য দিয়ে আমরা আগেই তাদের সতর্ক করে দেব। যেন তারা প্রস্তুতি নিয়ে সহজে ফরম পূরণ করতে পারেন।

১. প্রয়োজনীয় তথ্য হাতের কাছে না নিয়ে ফরম পূরণ করতে বসা।

অনেকে আগে থেকে দেখে নেননা যে, ফরম পূরণ করতে কি কি তথ্য লাগতে পারে। তাই তারা সেসব তথ্য হাতের কাছে রাখেন না। আর যখন ধাপে ধাপে ফরমটি পূরণ করতে যান তখন তারা দেখেন যে, ট্রেড লাইসেন্স বা টিন স্ক্যান করা হয়নি। ছবি কিংবা এনআইডির সফট কপি নেই। ইউটিলিটি বিলের কপি, অফিসের ছবি বা প্যাড ও লোগো হাতের কাছে নেই। তখন তারা ফরম পূরণ সম্পন্ন করতে পারেন না।

 

২. বেশী ভারী ফাইল আপলোড করা।

এটা খুবই কমন একটি সমস্যা। এখানে যেসব ডকুমেন্ট আপলোড করতে হয় যেমন, ছবি, লোগো, এনআইডি, টিন, ইউটিলিটি বিলের কপি, সিগনেচার এসব ইমেজের সাইজ অবশ্যই ১ মেগাবাইটের কম হতে হবে। এক মেগাবাইটের বেশী হলে ফাইল আপলোড হবে না।

 

৩. রেফারেন্স এর বিষয়ে দায়িত্বশীলতা

ই-ক্যাবের সদস্য হওয়ার জন্য অবশ্যই একজন ই-ক্যাব সদস্যের রেফারেন্স লাগে। এক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকের ই-ক্যাবে পরিচিত কেউ নেই। আবার অনেকের থাকলেও তাকে না বলেই তার নাম দেয়া হয়। ফলে ই-ক্যাব থেকে তাকে যাচাইয়ের জন্য জিজ্ঞেস করা হলে তিনি যদি ভালোভাবে না চিনেন তখন মেম্বারশিপ ঝুলে যায়।

 

৪. আপলোড ফাইলের সমস্যা

অনেকে পুরনো ফাইল আপলোড করেন। যেমন নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্স না দিয়ে পুরনো ট্রেড লাইসেন্স দেন। টিন সার্টিফিকেট এমনভাবে দেন যে লেখা পড়া যায়না। আবার কেউ কেউ ট্রেড লাইসেন্সে যার নাম আছে তার আইডি কার্ড না দিয়ে অন্য কারো আইডি কার্ড দেন। ফলে যখন ই-ক্যাবের সেক্রেটারিয়েট টিম বিষয়টি চেক করে তখন অসঙ্গতি ধরা পড়লে সদস্যপদ পাওয়া পেন্ডিং হয়ে যায়।

 

৫. তথ্য বিভ্রাটের সমস্যা

কেউ কেউ মনে করেন যেকোনো ধরনের তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করে দিলেই হয়। একটা তথ্যের সাথে আরেকটা তথ্যের মিল থাকার কি দরকার। কিন্তু রেজিস্ট্যার্ড ঠিকানা অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স এর ঠিকানার সাথে মিল থাকতে হয়। তাছাড়া ইউটিলিটি বিলের যে কপি থাকে তার ঠিকানা যেকোনো একটা ঠিকানার সাথে মিল থাকতে হয়।  মালিক হিসেবে যার নাম দেয়া হবে তার নাম ট্রেড লাইসেন্স বা মেমোরেন্ডাম অব আর্টিক্যালে থাকতে হয়।

 

৬. অন্যান্য

ট্রেড লাইসেন্সে কোম্পানীর যে নাম আবেদন ফরমে এবং ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজে সেই নাম থাকতে হয়।  যদি এরকম হয় কোম্পানীর নাম আর ব্রান্ডের নাম আলাদা হয়। আর ব্রান্ডের নামে ওয়েবসাইটের নাম আলাদা হয়। তাহলে অবশ্যই ওয়েবসাইটের কোথাও যেন সেটা মেনশন করা থাকে। সেটা প্রমাণ করবে যে এই ব্রান্ড ও ওয়েবসাইটটি সে কোম্পানীর। অনেকে এ ব্যাপারে উদাসীন হোন। তারা ফোন করে মুখে জানিয়ে দেন ভিন্ন নামের হলেও এটা তাদের ওয়েবসাইট।

 

লেখা: জাহাঙ্গীর আলম শোভন

6,165 total views, 5 views today

Comments

comments