kuakata (1)

ট্যুরিজম এ খাতে তথ্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন টুরিস্ট খুব স্বাভাবিক ভাবেই কোন গন্তব্যে যাবার পূর্বেই সেখানকার আকর্ষণীয় স্থান, সুযোগসুবিধা, যোগাযোগ ব্যাবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চাইবে। টুরিস্টরা আরো কিছু তথ্য জানতে চাইবে সেগুলো তার যাত্রাকে আরো আরামদায়ক , নিরাপদ ও আনন্দদায়ক করে তুলবে। দেখা যাচ্ছে ট্র্যাভেল সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য এবং ট্র্যাভেল সম্পর্কিত বিভিন্ন পণ্য বা সেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় । তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে টুরিস্ট ও উদ্যোগতাদের মাজে একটা বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব পাশাপাশি ই-কমার্স খাতে সক্ষমতা বাড়ানো,মার্কেটিং , প্রমোশান ইত্যাদি ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখা সম্ভব।

সাড়া বিশ্বেই ট্যুরিজম হচ্ছে সবচেয়ে বর্ধিষ্ণু খাতগুলোর একটি। বাংলাদেশে নব্বই দশকের মাজামাজি সময় থেকে এখন পর্যন্ত এই সম্ভাবনাময় খাতটি ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে। বিগত ৩০ বছরে বিশ্ব ট্যুরিজম খাত ইনফরমেশন এন্ড কমুনিকেশন টেকনোলজি (আই সি টি) খাতের বড় তিনটি ঢেউ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। এগুলো হল ১। ৭০ দশকের কম্পিউটার রিজার্ভেশন সিস্টেম ( সিআরএস), ২। ৮০ দশকের গ্লোবাল ডিসিট্রিবিউসান এবং ৩। ৯০ দশকের মাজ থেকে ইন্টারনেট। সাম্প্রতিক সময়ে টেলিকমিউনিকশন, নেটওয়ার্কিং ডাটাবেজ, ইলেক্ট্রনিক মার্কেটিং খাতে প্রভূত উন্নতি ট্যুরিজম খাতের জন্য অনেক সুযোগ নিয়ে এসেছে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ট্যুরিজম পণ্য বা সেবাতে ভ্যালু যোগ করে। ই-কমার্স পুরো ট্যুরিজম ভ্যালু চেইন, (গন্তব্যের তথ্য, আবাসস্থান, যোগাযোগ, প্যাকেজ ট্যুর সার্ভিস ) প্রক্রিয়া ব্যাবস্থাপনা ও সেবা সরবরাহে প্রভাব ফেলতে পারে।

ট্যুরিজমে ই-কমার্সের সম্ভাবনাঃ

ই-বিজনেসটা হচ্ছে কোন একটি ফার্মের ভিতরে এবং তার বাহিরের অংশীধারদের সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাবহার । ট্যুর অপারেটর থেকে শুরু করে ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি নিয়ে গঠিত ট্যুরিজম ইন্ডাজট্রি। যে ধরনের এন্টারপ্রাইজ কোম্পনি এ সেক্টরে রয়েছে সেগুলো ১। ট্যুর অপারেটর , ২। ট্র্যাভেল এজেন্ট, ৩। টুরিস্ট গাইড সার্ভিস, ৪। এয়ারলাইন্স ৫। ট্রান্সপোরটেশান ৬। রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে ৭।হোটেল ও গেস্ট হাউস ৮। মিউজিয়াম ও এতিহাসিক স্থান ও দালান, ৯। ন্যাচারাল রিজারভড সার্ভিস, ১০। ট্যুরিজম এডুকেশন ও ট্রেনিং ১১। স্থানীয় টুরিস্ট অফিস

ম্যানেজম্যান্ট কমিটমেন্টঃ

বাংলাদেশের ট্যুরিজম সেক্টরে থাকা কোম্পানিগুলো সর্বোচ্চ ৩০ জন জনবল নিয়োগ দেয়। মুলত বেশির ভাগ ফার্মই হচ্ছে ছোট ।
পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল,প্রযুক্তি দক্ষতার ঘাটতি, বিনিয়োগের স্বল্পতা ইত্যাদি কারনে বাংলাদেশের ট্যুরিজম ফার্ম এর ম্যানেজম্যান্ট বা মালিকেরাই বিজনেসে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন।

Screenshot_1

উপরের টেবিল অনুযায়ী বাংলাদেশের ৮৫% ট্যুরিজম কোম্পানি ই-বিজনেসের ব্যাপারে একমত পোষণ করেন। মানে ম্যানেজম্যান্ট ই-বিজনেসকে স্বাগত জানায় বা এর উপকারিতা বুজতে সক্ষম।

আন্তজাতিক ট্যুরিজম ব্যবসাগুলো তাদের কর্পোরেট ও স্টেটিজিক লক্ষ্য পুরনে এখন অনেক বেশি টেকনোলজি ও ই-বিজনেস নির্ভর। তাদের প্রধান উদেশ্য হচ্ছে ব্যবসায়ের উদ্যেশ্যে ও প্রক্রিয়ার সাথে ইন্টারনেট অন্যন্য আই সি টির মিলন ঘটানো । মজার হলো অধিকাংশ সংঘঠনের ই-বিজনেসের উপর কোন পলিসি পেপার নাই।

Screenshot_2

উপরের টেবিলে দেখা যাচ্ছে মাত্র ১৫% কোম্পানির ই-বিজনেসের ব্যাপারে লিখিত পলিসি আছে। অন্য দিকে ৭০% ট্যুরিজম ফার্মের ম্যানেজম্যন্ট ই-বিজনেস ডেভেলেপম্যন্টে বিনিয়োগ বরাদ্দে একমত। কিন্তু একটি ই-বিজনেস পলিসি ছাড়া কিভাবে তারা তাদের রিসোর্স এস্টিমেট ও এলোকেট করবে আর কিসের ভিত্তিতেই বা এই সেক্টরে করে বিনিয়োগের মুল্যায়ন হবে ?

Screenshot_3

ই-বিজনেসের সুবিধাঃ

ট্যুরিজম সেক্টরের জন্য ই-বিজনেস খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা এর মাধ্যমে এই সেক্টরে অপারেটরা ফার্মগুলো তাদের উৎপাদনশিলতা বাড়াতে পারবে। ট্যুরিজম ফার্মগুলো এখন বুজতে পারছে যে , বিশ্বব্যাপি নিজেদের উপস্থিতি জানান ইন্টারনেট খুব দরকারি একটি মার্কেটিং টুল ।

Screenshot_4

জরিপে অংশ নেয়া ৩৫% মনে করেন তাদের নিজেদের বিজ্জাপনের জন্য,২০% মনে করেন অনলাইন লেনদেন সেবার জন্য ওয়েবসাইট দরকার।

ট্যুরিজম প্রমোশান, মার্কেটিং ও বিক্রয়ের উপর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। আই সি টির নতুন ধরনের সাথে সাথে নতুন ধরনের ট্যুরিজম , ই –ট্যুরিজম আবির্ভূত হচ্ছে। সাংগঠনিক কোশলের কেন্দ্রে ই বিজনেসকে স্থাপন করতে ট্যুরিজম সেক্টরের ফার্মগুলোর দরকার ই-বিজনেস পরিকল্পনা দক্ষতা। লোকে এখন ট্যুরিজম গন্তব্য ও ট্যুরিজম অফার সম্পর্কে জানতে ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকে। তাই অনলাইন কন্টেন্ট , অনলাইন সার্ভিস, এভাইলেভিলিটি চেক, অনলাইন রিজার্ভেশন , ও অনলাইন পেমেন্ট ইত্যাদি কাজ সম্পাদনের জন্য ট্যুরিজম অপারেটরদের দক্ষতা ও আই সি টি টুল অর্জন করতে হবে।

বাংলাদেশের আকর্ষণীয় ট্যুরিজম স্পট গুলো নিয়ে কিছু ভিডিওঃ

তথ্যসুত্রঃ

১। http://www.asaub.edu.bd/data/asaubreview/v6n1sl13.pdf
২। http://en.wikipedia.org/wiki/Tourism_in_Bangladesh
৩। http://tourismboard.gov.bd/

পূর্ববর্তী লেখাঃ

১। ই-কমার্স সাইটে ভিজিটর আনার যত পদ্দতি এবং সেগুলো শেখার রিসোর্স । (১য় পর্ব)

২। ই-কমার্স সাইটে ভিজিটর আনার যত পদ্দতি এবং সেগুলো শেখার রিসোর্স । (২য় পর্ব)

৩। ই-কমার্স সাইটের জন্য কেন করবেন ভিডিও মার্কেটিং ?

৪।৭ টি মারাত্তক ভুল যা ই-কমার্স সাইটগুলো করে থাকে ।

৫।আপনার ই-কমার্স সাইটটিকে কিভাবে কার্যকর ও আকর্ষণীয় ভাবে সাজাবেন।

আনোয়ার হোসেন

Content Writer & Online Marketer

Cell: 01916 572 657 , Email: [email protected]

ফেসবুকে আমি । জানতে বা জানাতে যোগ দিতে পারেন ফেসবুক গ্রুপে

6,610 total views, 2 views today

Comments

comments

Your email address will not be published.