অনলাইন শপের নারী উদ্যোক্তা

জাহাঙ্গীর আলম শোভন

luxor_hands

চলতি বছরের (2015) প্রথম দিকের একটা হিসেবে এসেছে যে প্রায় 3 হাজার ফেইসবুক পেইজে বেচাকেনার জন্য কাজ করছে। এবং বেশীরগুলোতে আবার মেয়েদের পন্য বিক্রি করা হয়। এছাড়া এগুলোর বড়ো একটা অংশের মালিকানাও কিন্তু মেয়েদের। বাংলাদেশের ই কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই ক্যাবে বেশ কয়েকজন নারী সদস্য রয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত এই লব্দপ্রতিষ্ঠ বাজারে তাদের নিজস্ব ব্যবসায়টাকে দাড় করানোর জন্য পুরুষ বা সংখ্যাগুরু ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতিযোগিতামূলক  কাজ করে যাচ্চেন। তাদের এই সাহস ও সততাকে স্যালুট করতেই এই লেখা। আজকের এই লেখায় সাতজন রমনীর অনলাইন ব্যবসায়ের গল্প বলবো। তারা একদিকে যেমনি বিশাল বাজারে সংগ্রাম করে কাজ করে যাচ্চেন। আরেক দিকে নিজেরা নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনকেও সামলে নিচ্চেন। কেউবা তাদের ব্যবসায়িক পার্টনারকে সাহার্য করছেন আবার হয়তোবা তাদের পার্টনার তাদের সযযোগি হিসেবে কাজ করছে। আবার কেউ একাই একশ পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের নানা নিরুৎসাহকে পাশকাটিয়ে এগিয়ে চলেছেন। সবচে বড়ো কথা হচ্চে আগামী দিনের আরো অনেক মেয়ের অনলাইন ব্যবসায় আসার পথকে তারা সচল করে দিচ্চেন। কোনো একদিনের আগামী প্রজন্ম তাদের অগ্রযাত্রার ইহিতাসকে ফ্রেম বন্দী করে রাখবে। আমার অতো কিছু করার ক্ষমতা নেই। আমি কেবল তাদের কাজটাকে সবার সামনে তুলে ধরছি মাত্র।

11940565_10207562771733537_166185558_o

জিতা আপুর মনিহারি ডট কম

সাহস করে যারা প্রথম হন তাদেরকে যদি পাইওনিয়ার বলি তো জিতা আপা তাদের একজন। যখন পেমেন্ট প্রসেস নিয়ে হাজারো অন্ধকার আর ডেলিভারী নিয়ে শত শত চোরাগলির টেনশান ছিলো আজ থেকে বছর কয়েক আগে তখন  monihari.com  দিয়ে তিনি শুরু করেছেন তার পথচলা। মেয়েদের থ্রিপিস ছাড়াও নানরকম আনকমন গেজেট পাওয়া যায় মনিহারিতে। ফেইসবুক পেইজের পাশাপাশি রয়েছে সুন্দর একটি ওয়েবসাইট। টাকা দিতে রয়েছে বিকাশ, ডাচবাংলা, ব্যাংক একাউন্ট আর আধুনিক পেমেন্ট মুড ভিসা মাস্টার্স কার্ড অপশন। পন্য পাঠান আর দশজনের মতো কুরিয়ার বা ক্যাশ অন ডেলিভারীতে ঢাকা শহরের মধ্যে আর জরুরী সার্ভিস চাইলে রয়েছে তার ডেলিভারী টিম। আছে ছবি দিয়ে প্রিন্ট করা টি শার্ট, মগ ও ব্যাচ। তিনি সিইও হিসেবে আছেন ইউনিকো সলুশানএ। ইউনিকো সলূশান এই প্রতিষ্ঠানটি ই ক্যাব সদস্যদের জন্য কলসেন্টার সার্ভিস দিয়ে থাকে। যে কেউ চাইলে টেলিমার্কেটিং এর সুযোগ নিতে পারেন। সারাহ জিতা ই ক্যাবের মহিলা স্টান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং ই ক্যাবের একজন একটিভ মেম্বার।তিনি বলেন ‘‘ আজকের নারীদের ই কমার্সে আসার সুযোগ এবং সম্ভাবনা দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে, কেউ একাগ্রভাবে চেষ্টা করলে সফলতা ধরা দেবে, আমাদের সমাজে কোনো ক্ষেত্রেই প্রতিস্ঠা পাওয়া সহজ নয় তাই সাধনা করেই সফল হতে হবে।আর চেষ্টা এবং সাধনাইতো সফলতার পথ দেখায়’’

 

নাজমুন নাহারের নাজ ফ্যাশন

নাজমুন নাহার মুন্নি আমার ছোট বোনের নাম, না্মটা শুনলেই আমার বোনের মুখটা আমার সামনে চলে আসে। এই নাজমুন নাহার এর স্বপ্ন আমাদের দেশীয় বিভিন্ন  প্রডাক্টস নিয়ে তিনি কাজ করবেন NAAZ একদিন Brand name হবে তার পন্যের সুনাম দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি ই-ক্যাব এর একজন মেম্বার, তার শপের নাম ” NAAZ exclusive fashion house” তিনি এখনো ফেইসবুকে বিকিকিনি করছেন, তার একটি সুন্দর ওয়েবসাইট বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তার ওয়েবসাইটের কাজও প্রায় শেষপর্যায়ে। কিন্তু তিনি ব্যবসায়ীক হিসেবে একজন পরিপূর্ন উদোক্তা, নিজস্ব কারিগরি টিম দিয়ে আধুনিক মহিলাদের রুচি সম্পন্ন গহনা তৈরী করে থাকেন। জুয়েলারি পন্যগুলোও আবার তিনি নিজে ডিজাইন করেন। এতে আমরা তার শিল্পমনের পরিচয়টাও সহজে পেয়ে যাই। আমার একান্ত দূর্ভাগ্য যে তিনি শুধু মেয়েদের জন্যই এসব পন্য তৈরী করেন। অনলাইনে জুয়েলারী ব্যবসার প্রসার এবং বিশ্বস্ত একটি ব্রান্ড তৈরী করতে তিনি কঠিন প্রতিজ্ঞা নিয়ে কাজ করছেন। নিয়মিতই তিনি তার পন্য কাস্টমারদের হাতে পৌছে দিচ্চেন-  cash on delivery in Dhaka city এবং condition delivery তে দেশজুড়ে পন্য সরবরাহ করছেন। ।অবশ্যই যেখানে এরিয়াতে কুরিয়ার সার্ভিস রয়েছে সেখানকার ক্রেতারা তার পন্য পেতে পারেন সহজেই। দেশের বাইরের ক্রেতাদের জন্যও তিনি তার হস্ত প্রসারিত করেছেন সূতরাং প্রবাসীদের আর চিন্তা কি?
Western Union/Money gram/ASAP এর মাধ্যম টাকা পাঠালেই এবং FedEx এর মাধ্যমে তিনি  product আপনার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেবেন। বিদেশ থেকে কিনলে খরচটা বেশী পড়ে যাবে, তাইনা। আরে ভাই সে বেশী খরচ দিয়ে বিদেশী পন্যতো ঠিকই কেনেন। এবার দেশী পন্য কিনুন না। কারণ তিনি আবার ১বছরের কালার ওয়ারেন্টিও দেন। চলুন গিয়ে দেখি আসি কি পসরা সাজিয়েছেন তিনি।https://www.facebook.com/NAAZFashionHouse

নাজমুন নাহার নাজ বলেন, ‘‘আমি মনে করি অদুর ভবিষ্যৎ এ বাংলাদেশের নারীদের জন্য ই-কমার্স আশীর্বাদ স্বরূপ হতে পারে। কারণ ই-কমার্সের মাধ্যমে তারা ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এ সেক্টরের সমস্যার সমাধান করতে হলে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করতে হবে তবে নারীদের জন্য যেন ই ক্যাব বিশেষ ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে ‘’

 

টুনাটুনির টুনিবিবি

আপনাদের কারো মনে না পড়লেও আমার কবি জসিম উদ্দীনের টুনটুনি গল্পের কথা মনে পড়েছে। গল্পে টুনা আর টুনি রাস্তায় এক পয়সা কুড়িয়ে পায়, তারপর তাদের আর আনন্দ ধরেনা। গাছের ডালে পাতায় পাতায় গান গায় ‘‘ রাজার আছে যতটাকা- মোদের আছে ততটাকা’’ এই গান শুনে রাজাতো আগুন তারপর আরো কতো লংকাকান্ড। না টুনাটুনির ব্যবসার কথা শুনে আমরা রাগ করিনি। না আমরা খুশি হয়েছি।  তিনি আমাদের জন্য দারুন এক অনলাইন শপ নিয়ে এসছেন সেজন্য। শপের নাম : Tunibibi.com, ওয়েব এড্রেস : http://tunibibi.com/

তিনি সায়মা নেহাল অর্না, Tunibibi.com চালাচ্চেন আরেকজন পার্টনারসহ। তাদের শপে রয়েছে মেয়েদের জুয়েলারী পণ্য। তবে তার কাস্টমার তালিকায় ছেলেদের সংখ্যাও কম নয়। না গহনা পরে ব্রান্ডের গান গাওয়ার জন্য ছেলেরা ওসব কিনেনা, মা বোন স্ত্রী বন্ধুকে উপহার দেয়ার জন্য ছেলেদের আসতে হয়ে টুনিবিবি.কম এ। তিনি আমাদের সঠিক দামের গ্যারন্টি দিয়েছেন আর গ্যারান্টি দিয়ে সঠিক পন্যটি কুরিয়ারে পাঠানোর, হ্যা তার আগে তাকে কিন্তু বিকাশে পেমেন্ট করতে হবে। লিংক : https://www.facebook.com/TuniBibicom?fref=ts তাদের ফেইসবুকের পাশাপাশি ওয়েবসাইট রয়েছে যাতে ক্রেতা বান্ধব ফিচার দিয়ে সাজানো।

তার শপ যেমন জাগ্রত তিনিও তেমনি সচেতন: আমি চাই বাংলাদেশে ই-কমার্সকে নতুন শিল্প/সেবা হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়ার এবং ট্রেড লাইসেন্স এ ই-কমার্স অন্তর্ভুক্ত করা জোর দাবী জানালেন তিনি। আরো জানালেন ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ফি সর্বন্মি করার দাবী। সায়মা বলেন ‘‘আমাদের সমাজে উদ্যোক্তাদের পরিবার থেকে তেমন কোন আর্থিক/মানসিক সহযোগিতা করা হয় না’’। তাই তিনি মহিলা উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে এবং সহজ শর্তে চলতি মূলধনের জন্য ঋণ দিতে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

 

আমু আর ইমুর ‘জামদানি মেলা’

টুনাটুনির গল্প শেষ না হতেই শুরু হলো আমু আর ইমুর গল্প। নারী পুরুষ সবার জন্য জামদানি শাড়ি, টু-পিস, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবী ও দেশীয় হস্ত শিল্পজাত নানা চমৎকার পসরা নিয়ে হাজির হয়েছেন ইমু খাদিজা আখতার । Web: www.jamdanimela.com এর মাধ্যমে তারা দেশীয় পন্যের জয়গান গাইতে এসেছেন অনলাইন ব্যবসার জগতে। চলতি বছর ২রা মার্চ,২০১৫ আনুষ্ঠানিক ভাবেআমার যাত্রা শুরু করার পর সমঝতার ভোক্তাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়ে আসছেন এবং ক্রেতাদের চাহিদা পূরন করে সন্তুষ্টি অর্র্জন করে চলেছেন। তাদের ফেইসবুক ঠিকানা: www.fb.com/jamdanimela.bd, মূলত ফেইসবুক মার্কেটিং দিয়েই তারা ক্রেতাের কাছে পেছে যান। মুনাফার চেয়ে দেশীয় পন্যের প্রসারকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্চেন। তাই দামের ব্যাপারে ক্রেতারা ঠকবেন না এমনটাই জানালেন খাদিজা আপা। তিনি আরো বলেন ‘‘কুরিয়ার সার্ভিসের যন্ত্রনায় মাঝে মধ্যে খুব বিরক্ত হই পরে আবার উৎসাহ নিয়ে কাজ শুরু করি হয়তো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে এই ভরসায়’’। তাদের ব্যবসায়ের সবচে সুবিধাজনক দিক হলো তারা স্বামী স্ত্রী দুজন মিলে দেখে শুনে পন্য ক্রয় করেন। এবং কোয়ালিটির দিকটাও খেয়াল রাখেন। জামদানী শাড়ী কালেকশান এর জন্য তাদের ভালো একটি চ্যানেলও রয়েছে।

ইফাত শারমিন: জামদানী ভ্যালী

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলোরে। এমনি একটি নীতিতে শুরু করেছেন অনলাইনে জামদানী ব্যবসায়। শুধু শাড়ি নয় জামদানীর তৈরী সুন্দর সুন্দর থ্রিপিসও রয়েছে ইফাত শারমিন আপুর কাছে। ওগুলো দেখলে মনে হয় ‘‘ ইশ- কেন যে মেয়ে হলাম না’’।

তিনি নিজে রুপগঞ্জের গ্রামে গ্রামে তাতীদের বাড়ী বাড়ী যান নিজহাতে দেখে শুনে বুঝে পন্য কিনেন। JamdaniVille দিয়ে ইতোমধ্যে তিনি দেশে বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। পৃথিবীজুড়ে রয়েছে তার ক্রেতারা। তা সত্বেও কুরিয়ার সার্ভিসের ঝামেলা আর মাঝেমধ্যে কাস্টমারদের অসহযোগিতা ও ভালো পন্যের দাম দিতে না চাওয়ার প্রবণতায় তিনি মর্মামহত হন কিন্তু আশাহত হননা। তিনি ক্যাবের একজন একটিভ মেম্বার। তিনি নিজের প্রফেশনাল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ শুরু করেন, তাই বলে তিনি নিজের কথা ভাবেন তা নয়, তিনি সেইসব তাতীশিল্পীদের কথা ভাবেন যারা মাথার গাম পায়ে ফেলে এই গৌরবময় ঐতিহ্য আর সুন্দর পোষাক তৈরী করেন, তারা অনেক সময় ভালো খাওয়া পোষাক বা চিকিৎসা পান না। তিনি স্বপ্ন দেখেস অনলাইন শপের কল্যানে একদিন বিশ্বজুড়ে আবার জামদা্নীর প্রসার হবে যেমন করে প্রসার হয়েছিলো মসলিনের। হয়তো সেদিন কোনো বিশ্ব আসরে জামদানী পল্লীর তাতী আজিজ ভাই আমন্ত্রণ পারে আমাদের বিবি রাসেলের মতো।  তিনি ভাবেন দেশীয় শিল্পের উত্তরনের কথা। আরো যারা তার মত ভাবেন সবাই কি তহালে একটা করে জামদানী শপ দিবেন, না তার দরকার নেই, দেশীয় পন্য প্রসারে এইসব শপ থেকে কেনাকাটাতো অন্তত করতে পারেন। বিনিয়োগ না হয় না ই দিলেন।

অদম্য লড়াকু মনোভাব নিয়ে ইফাত শারমিন তার কজে করে যাচ্ছেন। তিনি যেমনি নিবেদিত তেমনি পরিশ্রমী তার নিজের পেশার প্রতি শ্রদ্ধা এবং লেগে থাকার মানষিকতা তাকে ধীরে ধীরে আগুয়ান করছে।

 

জাহিন আফরোজের সাত রঙ

100 ভাগ দেশীয় এবং  হাতে তৈরি পণ্য দিয়ে মাজিমাত করতে চান জাহিন আফরোজ. তার পন্যের মধ্যে রয়েছে পোশাক ও জুয়েলারি। নিজের পছন্দ ও ডিজাইনে তার পন্য তৈরী হয়। সময়ের সাথে সাথে নিজেকে আপডেট করে নেন, আপডেট করে নেন তার পন্যকে। ফলে সব সময় নতুন ধরনের পন্য পাওয়া যায় তার কাছে। তাই বলে শুধু তরুনীদের জন্যই তিনি পন্য বানান না। বরং  যেকোনো বয়সের নারীপুরুষই তার গ্রাহক হতে পারেন।  ক্যাশ অন ডেলিভারী এবং বিকাশে তিনি পেমেন্ট নিয়ে থাকেন। আপাতত তার প্লাটফরম ফেইসবুক। www.facebook.com/satrang131

কেউ চাইলে নিজে তার কাছ থেকে পন্য আনতে পারেন। খুব কাছে হলে তিনি লোক দিয়ে ডেলিভারী দেন আর সারাদেশের জন্য কুরিয়ার তো আছেই। দামের ব্যাপারে তিনি খুব সচেতন. তার উৎপাদন  খরচ ও বাজার যাচাই করে তিনি পন্যের দাম ঠিক করে থাকেন, এবং দাম ও চাহিদার সাথে মিল রেখে সর্বোচ্চ মান দেয়ার চেষ্টা করেন, আমাকে এমনটাই বলেছেন তিনি। তিনি আরো বলেন ‘‘নারীদের জন্য এবং ই কমার্স উদ্যোক্তাদের জন্য কম মুনাফায় ও সহজ শর্তে লোনের ব্যবস্থা থাকলে তিনি ব্যবসাটা আরো বড়ো করে শুরু করতেন’’।  তিনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ই কমার্স বাজারের দিকে নজর দেয়ার আহবান জানান।

একদিন সাতরঙ অনলাইন এবং অফলাইনে প্রথম সারির দেশীয় এবং হাতে তৈরিকৃত পণ্যের ব্র্যান্ড/প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠবে এবং দেশের কর্মসংস্থান বাড়াবে। এটাই তার স্বপ্ন।

 

সুমি আপুর এতিহ্যের স্বাদ

চট্টগ্রামেরে উম্মে আরা মেহেনুর সুমি আপা বলেন, রান্না একটা শিল্প আর আমি এই শিল্পটাকে খুব ভালবাসি। ভালবাসি আমাদের আমার সোনার বাংলা, এই বাংলার সোনা ঝরা ধান মাড়িয়ে নবান্নের উৎসব, সে উৎসবে তৈরী হতো হরেক রকম পিঠা- পুলি। সে পিঠা পায়েস আর আটার স্বাদ অতুলনীয়। তিনি বলেন – যখন থেকে গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য আর স্বাদকে বুঝতে শিখি তখন থেকে আমি নিজে পিঠা,পুলি বানানো শিখতে শুরু করি। এভাবে আমার জগত আজ শত শত রান্না আর পিঠায় সমৃদ্ধ।

oitijjershadh.ctg মূলত হোম মেইড প্রতিষঠান, তিনি বাসায় বসে বানান আর অর্ডার পেলে বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই দেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন ঐত্যিহের স্বাদকে শুধু বাংলাদেশের মানুষ না,পুরো পৃথিবীর মানুষ চিনবে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশকেও জানবে। আপনারা চট্টগ্রাম গেলে আপুর কাছে গিয়ে দেখে আসতে পারেন তার বানানো পিঠার স্বাদ ও সেীন্দর্য। গেলেতো আর না খেয়ে আসবেন না সেটা জানি, খেয়েই আসবেন আর আমার কথা বললে উনি হয়তো আমার জন্য একটা আকর্ণীয় প্যাকেজ গিফট করবেন। যার কাছেই দিকনা কেন, প্যাকটা ঢাকায় এসে আমাকে পৌছাতে ভুলে যাবেন না কিন্তু।

আর শুকনো পিঠাগুলো যে কেউ চাইলে কুরিয়ারে অর্ডার দিয়ে নিতে পারেন। তার বানানো পিঠায় ১০০ ভাগ ঘরোয়া স্বাদ রয়েছে। তিনি এমন কিছু পিঠা বানান যেগুলো কোন ক্ষেত্রে প্রচলন বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি কিছু ফাস্ট ফুডও ডেলিভারী করে থাকেন। তার পিঠা বা রান্না কেমন স্বাদ এটা তার পেইজে রাখা ছবি দেখলেই বুঝেতে পারবেন। আমারতো মনে হলেই জিবে জল এসে যায়। বিশ্বাস হচ্চে না। পেইজ ভিজিট করেই দেখুন।

বিরিয়ানী আর রসগোল্লার স্বাদ পেতেও সুমি আপুকে আপনার প্রয়োজন হতে পারে। আর চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানী মাংশ আর অন্যান্য রান্নার কথা কি ভুলবো। যারা ভাবছেন আমি গুল মারছি তারা খাওয়ার দরকার নেই। এত ভালো আর স্বাদের খাওয়ার সবার খেতে হয়না। হা হা হা।

 

10,598 total views, 3 views today

Comments

comments