পন্যের ছবি তোলা:
ছবিতোলা একটা টেকনিক্যাল এবং গ্রামাটিক্যাল বিষয়। তাই ছবি তোলা তোলার জন্য যতটা সম্ভব প্রয়োজনীয় বিষয় খেয়াল করুন।
১. ক্যামরা: ভালো প্রিক্সল এবং ভালো ডিপিই রেজুলেশানের ক্যামরা সংগ্রহ করুন। আজকাল ডিএসএলআর ব্যবহারের একটা প্রবণতা রয়েছে, যতটা সম্ভব ভালো ক্যামরা ব্যবহার করার চেস্টা করুন, তবে নিজের জ্ঞান না থাকলে দামী ও উন্নত ফিচার সম্পন্ন ক্যামরা ধরার প্রয়োজন নেই।
২. ছবি তোলার সময় আলোর প্রতি খেয়াল করুন। আলো প্রক্ষেপন সব দিক তেকে সমান হলে পন্যে থ্রিডি লুক নাও আসতে পারে। আবার একদিকে খুব আলো অন্যদিকে বেশী ছায়া যেন না থাকে। পন্যের গায়ে বা পেছনে যেন আলো প্রতিফলন না হয় সেটাও খেয়াল করুন।
৩. ছবি তোলার সময় এমনভাবে তুলুন যাতে পন্যের আশপাশে জায়গা থাকে। তবে সে জায়গাটা এতটা থাকবে, যেন পন্যটাই মূল ফোকাসে থাকে।
৪. দুই তিনটা পন্যের ছবি একসাথে তোলার সময় কম্বিনেশন খেয়াল করন। রংএর ক্ষেত্রে কালার মিলিয়ে সাজান। যেন কান্ট্রাস্ট না হয়। কোন কালারের পন্যের পর কোন কালারের পন্য সাজাবেন কালার সেন্স ব্যবহার করে সাজান। কোনটি আগে এবং পিছে থাকবে সেটাও সাইজ অনুসারে ব্যালেন্স করুন।
৫. ছবি তোলার সময় হালকা রঙ এর ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করুন। ব্যাকগ্রাউন্ড এর কালার ম্যাচ করুন, যদি কনট্রাস্ট কালার হয় তবে আপনার মুন্সিয়ানা থাকলে তা করুন। নচেৎ কন্ট্রাস্ট কালারে যাবেন না।
৬. পন্যের লুকিং সুন্দর করার জন্য সাথে ফুল, রঙিণ কাগজ, মকমলের কাপড়, পাতা, রঙীন কাগজ, ইত্যাদি জিনিস পন্যের পাশে রেখে ছবি তুলুন। তবে খেয়াল রাখুন যেমন , মূল বিষয়টা ফোকাসে থাকে। যেমন একটা মধুর বোতলের পাশে একটি ফুলের কড়ি তো মানানসই হতে পার্
ে৭. একই পন্যের ছবি তোলার সময় পন্যটি একই ফ্রেমে ২/৩টা মুডে রাখতে পারেন। যেমন একটা শালের ছবি তুলতে একটি ভাঁজ করা শাল, সাথে একটি খোলা শাল, সাথে একটি প্যাকেট করা শালের ছবি একসাথে রাখতে পারেন।
৮. আপনার ক্যামেরাটি কোনমুডে কোন সময় ভালে ছবি তোলা যায় তা আগেই ঠিক করে রাখুন। ভালো ব্যাকগ্রাউন্ড আগে থেকে তৈরী করে রাখতে পারেন।
৯. ছবি তোলার সময় ফ্রেমের দিকে খেয়াল রাখুন আপনার ছবিতে যে বিষয়গুলো আসছে তার কোনোটা যেন কাটা না পড়ে।
১০. ক্যামেরায় রুলস অব থার্ডের একটি বিষয় আছে। এটা ছবি তোলা জ্ঞানের একেবারে প্রথম ধাপ, বলতে পারেন বর্নমালার ‘অ’ । এটি অন্তত চেস্টা করুন। এর মূল সূত্র হলো আপনার মূল ফোকাসটি ফ্রেমের সেন্টারে না থেকে সেন্টার থেকে একটু দূরে আরো ৪টি সাইড সেন্টারে মূল ফোকাসটি রাখতে হয়। মাঝখানে আড়াআড়িভাবে এবং লম্বালম্বিভাবে সমান দুরত্বে দুটি করে রেখা কল্পনা করলে আপনার মূল ফ্রেমটি ৯টি সামনভাগে বিভক্ত হবে। এবং প্রতিটি লাইন চারটি বিন্দুতে ক্রস করবে। সেগুলোই আপনার ফোকাস বিন্দু হবে।
১১. ছবি তোলার সময় হাতে রাখার মতো কোন জিনিস হলে। আপনি যদি সেটা সাইজ বোঝাতে চান তাহলে সেটা হাতে রেখে তুলতে হবে। যাতে করে হাতের সাথে তুলনা করে বোঝা যায় জিনিসটার সাইজ কতো ছোট। অথবা বড়ো কোন জিনিস যেমন ধরুন গাড়ি বা মোটরসাইকেল বা বাই সাইকেল তখন সাথে একজন মানুষ দাড়িয়ে থাকলে পন্যটির আকার কত তার একটা ধারণা পাওয়া যাবে।
১২. ফ্রেমের ভেতর যা কিছু আসবে তার একটা শৈল্পিক কম্পিনেশনের প্রতি খেয়াল রাখুন। যদি এ বিষয়ে আপনার খুব জানা না থকে তাহলে নিজের সাধারণ জ্ঞান ও সৌন্দর্যবোধকে কাজে লাগান।
13. নিজের দূর্বলতা বুঝে সেটা সমাধানের চেস্টা করুন। বার বার ছবি তুলন। নতুন নতুন জিনিসের অনস্ণধান করে ছবি তুলন। প্রতিটি জিনিসিরে মধ্যে সেীন্দর্য খুজে বের করুন। সঠিকভাবে ছবি তোলা বুঝতে অনলাইনে সঠিকভাবে তোলা ছবিগুলো দেখুন।
১৪, যারাই মোবাইল দিয়ে ছবি ভুল হলো অনেকে ছবিতে ঠিকমত সাবজেক্টকে ফোকাস করেনা। ছবি তোলার সময় সাবজেক্টকে ঠিকমত ফোকাস করবেন এবং যতটা সম্ভব কাছ থেকে ছবি নিবেন তাহলে সহজেই ভালো ছবি পাবেন
১৫. মোবাইল দিয়ে ছবি তোলার সময় মোবাইলটিকে নাড়াচাড়া করবেন না তাহলে ছবি ভালো আসবেনা ।
১৬. খুব প্রয়োজন ছাড়া কখনোই জুম ব্যবহার করবেন না, জুম ব্যবহারে ছবির কোয়ালিটি ভালো থাকেনা
১৭. ছবি তুলার সময় সবোর্চ্চ রেজুলেশন ব্যবহার করুন , নকিয়া এন৭৩[৩.২মেগাপিক্সেল] দিয়ে ছবি তুলার সময় ২০৪৮*১৫৩৬ ব্যবহার করুন।
১৮. অনেক মোবাইলেই যদি হোয়াট ব্যালেন্স অপশন থাকে যার কাজ আপনি কোন আবহাওয়াতে ছবি তুলছেন তা সিলেক্ট করে দিন।
১৯. ছবি তুলার পর পিসিতে নিয়ে ফটোশপে কিছুটা ইডিটিং করে ছবির মান উন্নয়ন করে নিতে পারেন।
২০: এই লিংটি দেখুন এখানে কিছু ছবি রয়েছ। …….
11,392 total views, 4 views today