আবুল খায়ের

দেশের ই-কমার্স ক্ষাত যত এগিয়ে যাচ্ছে, আমদানি এবং রপ্তানির চাহিদাও দিন দিন ততো বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো এখনো পর্যন্ত জানেন না, কিভাবে আমদানি/রপ্তানির জন্য সনদ পেতে হয়। এই আলোচনা থেকে আমরা জেনে নেবো কিভাবে আমদানি/রপ্তানির সনদ পাওয়া যায় এবং সনদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কী কী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে এবং কী পরিমান অর্থ খরচ হতে পারে। তার আগে আমরা আমদানি/রপ্তানির সনদ থাকার সুবিধা সম্পর্কে সংক্ষেপে একটু জেনে নেবো।

আমদানি/রপ্তানি সনদের সুবিধাঃ সাধারনত আপনি যখন বিদেশ থেকে দেশে কোনো পন্য আমদানি অথবা দেশ থেকে কোনো পন্য বিদেশে রপ্তানি করতে যাবেন, সেক্ষেত্রে আমদানি বা রপ্তানিকৃত পন্যের পরিমান, মূল্যসীমা সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর আপনার উপর কিছু বাধ্য বাধকতা থাকবে এবং উচ্চ হারে আপনার উপর পন্য পরিবহন চার্জ এবং অতিরিক্ত ভ্যাট/চার্জ ইত্যাদি ধার্য করা হবে। কিন্তু আপনি যখন আমদানি/রপ্তানি সনদ পেয়ে যাবেন তখন এসব বাধ্য বাধকতা আপনার উপর থেকে মউকূফ করা হবে। যেকোনো বৈধ পন্য আমদানি/রপ্তানির ক্ষেত্রে মূল্য এবং পরিমানের উপর আপনি পূর্ন স্বাধীনতা পাবেন এবং কোনো বাধা থাকবে না। পাশাপাশি এব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছে আপনাকে কোনো জবাবদিহিতা করতে হবে না। আমদানি/রপ্তানি সনদ থাকলে এর বাইরেই অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করা যায়।

তো চলুন আমদানি রপ্তানির সনদের জন্য কোথায় এবং কিভাবে আবেদন করতে হয়, এবং আবেদনের সঙ্গে কী কী কাগজপত্র রাখতে হয় এবং কী কী শর্ত পূরণ করতে হয়, তা জেনে নেই।

আমদানি এবং রপ্তানি মহাপরিচালকের কার্যালয় বরাবর আমদানি/রপ্তানি সনদের জন্য আবেদন করতে হয়। আমদানি/রপ্তানি সনদ রেজস্ট্রেশনের আবেদন প্রক্রিয়া খুবই সহজ। আবেদনের সঙ্গে প্রধানত নিন্মোক্ত কাগজপত্র গুলোর দরকার পড়বে।

১। ট্রেড লাইসেন্স
২। স্বীকৃত চেম্বার/ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সনদ
৩। ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (TIN)
৪। ব্যাংক সনদ
৫। যদি লিমিটেড কোম্পানী হয় সেক্ষেত্রে অ্যাসোসিয়েশনের মেমোরেন্ডাম ও আর্টিকেলস এবং ইনকর্পোরেশনের সনদ দরকার পড়বে।

উপরোক্ত কাগজপত্র এবং আবেদন পূরন করে জমা দেওয়ার পর ঐ একই দিনে তিন ঘন্টার মধ্যে আমদানি/রপ্তানি সনদ প্রদান করা হয়।

বার্ষিক আমদানির মূল্যসীমার উপর ভিত্তি করে আমদানি সনদকে ছয়টি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়। শ্রেণী ভিত্তিক নূন্যতম রেজিস্ট্রেশন ফি এবং বার্ষিক নাবায়নের ফি নিচে তালিকার মাধ্যমে দেখানো হলঃ

শ্রেণী বার্ষিক আমদানির মূল্যসীমা নূন্যতম রেজিস্ট্রেশন ফি বার্ষিক নবায়ণ ফি
প্রথম ৫,০০,০০০ টাকা ৫,০০০ টাকা ৩,০০০ টাকা
দ্বিতীয় ২৫,০০,০০০ টাকা ১০,০০০ টাকা ৬,০০০ টাকা
তৃতীয় ৫০,০০,০০০ টাকা ১৮,০০০ টাকা ১০,০০০ টাকা
চতুর্থ ১,০০,০০,০০০ টাকা ৩০,০০০ টাকা ১৫,০০০ টাকা
পঞ্চম ৫,০০,০০,০০০ টাকা ৪৫,০০০ টাকা ২২,০০০ টাকা
ষষ্ঠ ৫,০০,০০,০০০ টাকার উপরে ৬০,০০০ টাকা ৩০,০০০ টাকা

 

রপ্তানী কারকদের ক্ষেত্রে নিম্মোক্ত রেজিস্ট্রেশন এবং নবায়ণ ফি ধার্য হবেঃ

শ্রেণী নূন্যতম রেজিস্ট্রেশন ফি বার্ষিক নবায়ণ ফি
রপ্তানী কারক ৭,০০০ টাকা ৫,০০০ টাকা
ইন্ডেনটর ৪০,০০০ টাকা ২০,০০০ টাকা

 

এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন এখানে

তথ্য সূত্রঃ www.ccie.gov.bd

আরও পড়তে পারেনঃ

ই-কমার্স সাইটের জন্য সিএমএস এর প্রয়োজনীয়তা ও পরিচিতিঃ ম্যাজেন্টো

ই-কমার্স সাইটের জন্য কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) নির্বাচন

ফেইসবুক বিজ্ঞাপনের কন্টেন্ট সংগ্রহঃ ওয়েবসাইট প্রোমোট

ফেইসবুক বিজ্ঞাপনের কন্টেন্ট সংগ্রহঃ পোষ্ট বুস্ট/পোষ্ট এংগ্যাজমেন্ট
ফেইসবুক বিজ্ঞাপনের কন্টেন্ট সংগ্রহঃ পেজ প্রোমোট
পণ্য সীমাবদ্ধতা ও মান নিয়ন্ত্রনের উপায়
ই-কমার্সের সম্ভাবনা ও প্রস্তাবনা

8,651 total views, 2 views today

Comments

comments

Your email address will not be published.