অনলাইনে টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রি সংক্রান্ত তথ্য
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর তত্বাবধানে, ই-কমার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশের নেতৃত্বে এবং টিসিবি’র সহযোগিতায় টিসিবি কতৃক সরবরাহকৃত পেঁয়াজ ও অন্যান্য পণ্য এবং বাণিজ্য মন্ত্রণলয়ের মাধ্যেমে আমদানীকৃত পেঁয়াজ সাশ্রয়ীমূল্যে
ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ম্যাধমে অনলাইনে বিক্রয় সহজ, সুন্দর ও নিয়মতান্তিকভাবে সম্পাদন করতে কিছু বিধিমালা প্রনয়ণ করা হয়েছে। যা নিন্মরুম
অনলাইনে টিসিবি’র পেঁয়াজ বিক্রির যোগ্যতা
১। অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকতে হবে।
২। কমপক্ষে ৫টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন গুদাম থাকতে হবে।
৩। ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সদস্যপদ থাকতে হবে
৪। ই-ক্যাব থেকে আলাদা সুপারিশপত্র গ্রহণ করতে হবে।
৫। টিন সার্টিফিকেট থাকতে হবে। বাজারে কোনো বদনাম থাকতে পারবেনা।
টিসিবি’র ডিলারশীপ নিতে যেসমস্ত ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে?
০১। আবেদন ফরম (ই-ক্যাব কতৃক সরবরাহকৃত)
০ ২। দুই কপি ছবি।
০৩। ট্রেড লাইসেন্স।
০৪। ব্যাংক সলভেন্সী সার্টিফিকেট/ ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
০৫। জাতীয় পরিচয় পত্র (NID)
০৬। আয়কর সনদপত্র (TIN)
০৭। দোকান ভাড়া দলিল/মালিকানার প্রমাণক।
০৮। VAT নিবন্ধন সনদপত্র (যদি থাকে)।
০৯। ই-ক্যাব এর সিলেকশনপত্র।
উপরের সব ডকুমেন্ট টিসিবিতে জমা দেয়ার পর গৃহিত হলে।
১০। জামানত বাবদ ৩০,০০০/-(ত্রিশ হাজার) টাকা। (ফেরতযোগ্য)
ও ইক্যাবের সার্ভিস ফি।
আবেদন ফরমে যেসব তথ্য প্রয়োজন হয়?
ক) | আবেদনকারীর নাম: | |
খ) | প্রতিষ্ঠানের নাম: | |
গ) | ই-ক্যাবের সদস্য নং: | |
(ঘ) | প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা: | |
(ঙ)(চ) | স্থায়ী ঠিকানা: | |
(ছ) | জন্ম তারিখ: | |
(জ) | জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর | |
(ঝ) | ই-মেইল: | |
(ঞ) | ওয়েবসাইট এড্রেস | |
(ট) | ফেইসবুক পেইজ | |
(ঠ) | আয়কর সনদ (TIN) |
পেঁয়াজ বিক্রির নিয়ম
১। টিসিবি থেকে সরবরাহকৃত পেঁয়াজ টিসিবি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয নির্ধারিত মূল্যে নির্ধারিত পরিমাণে বিক্রয় করতে হবে। অনলাইনে কাস্টমার প্রতি ৫ কেজী পেঁয়াজ বিক্রয় করা যাবে। তবে সরবরাহ কম হলে এই সীমা ৩ কেজীও হতে পারে। বর্তমান দাম ৩৬ টাকা। এবং ডেলিভারী চার্জ সর্বোচ্চ ৩০ টাকা। টিসিবি’র পেঁয়াজ সমন্বয় কমিটির অনুমতি ব্যতিত অন্যকোনো অফারের সাথে শর্তযুক্ত করে বিক্রি করা যাবেনা।
২। পেঁয়াজের মূল্য সরাসরি টিসিবি বা সরবরাহকারীকে চেক/ চালান/ ব্যাংক জমার মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। মূল্য বুঝে পাওয়ার পর টিসিবি পেঁয়াজ প্রদান করবে।
৩। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে পক্ষসমূহের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় অপারেটিং প্লাটফর্ম ও ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবে। এ সংক্রান্ত কোনো ব্যয় থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ ও ই-ক্যাব আলোচনার মাধ্যমে সংস্থান করবে।
৪। টিসিবি পেঁয়াজের ক্ষেত্রে প্রমোশন এব মোড়কে বা ট্যাগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, টিসিবি ও ই-ক্যাবের এর লোগো ব্যবহার করতে হবে। পন্য অনলাইনে প্রদর্শণের ক্ষেত্রেও টিসিবি’র পেঁয়াজ উল্লেখ থাকতে হবে। এবং আলাদা পণ্য বা ক্যাটাগরি হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে।
৫। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসওপি বা নীতিমালা অনুমোদন দেবে। এসওপি সঠিকভাবে মেনে চলছে কিনা তা নজরদারী করবে। সমন্বয় ও নজরদারী কমিটিকে সহযোগিতা করবে। ভোক্তাদের অভিযোগ তদারক করবে।
৬। কোনো প্রতিষ্ঠান নিয়ম ভঙ্গ করলে এ ব্যাপারে প্রধান কার্যালয়কে জানাবে। এবং কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতি অন্যায় আচরণ করলে তারা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যাপারে অভিযোগ করতে পারবে।
৭। ই-ক্যাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কতৃক নিয়োজিত মধ্যস্থতাকারী এবং নজরদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। কোন কোন প্রতিষ্ঠান অনলাইনে সরকারী পেঁয়াজ বিক্রি করবে তা ঠিক করবে ই-ক্যাব। কোনো রকম নিয়মভঙ্গ করলে ই-ক্যাব সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের সুপারিশ করতে পারবে।
৮। প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র অনলাইনে পেঁয়াজ বিক্রি করবে। অন্যকোনো মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেনা। অন্যকোনো ভাবে পেঁয়াজ বিক্রি হলে সে প্রতিষ্ঠানের তালিকাভূক্তি ও ডিলারশিপ বাতিল করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে জামানতের ৩০ হাজার টাকা ফেরতযোগ্য হবেনা।
৯। কমিটি প্রতি ৭-১৪ দিন পর পর প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে প্রতিবেদন গ্রহণ করবে। এবং সমন্বয় করে ই-ক্যাবকে প্রতিবেদন পেশ করবে এবং প্রয়োজনে টিসিবি ও ভোক্তা অধিকার পরিষদকে প্রেরণ করবে।
১০। প্রতিষ্ঠানগুলো যদি এসওপি এর বিধান ভঙ্গ করে অথবা ভোক্তা অধিকার আইন লঙ্গন করে সেক্ষেত্রে সমন্বয় কমিটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করতে পারে অথবা ডিলারশীপ বাতিল করতে পারবে।
নোট:
*** অন্যান্য বিধান জানতে এসওপি অনুসরণ করতে হবে।
*** পেঁয়াজ বিক্রির জন্য ডিলারশীপ পেতে ই-ক্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে যে গুগল লিংক মেইল করেছে সবার আগে সে ফরম পূরণ করতে হবে।
*** যোগ্যতার শর্তপূরণকারী প্রতিষ্ঠানকেবল ডিলারশিপ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
5,049 total views, 6 views today